একটা পোস্ট করার সাহস ছিলোনা একটা পোস্ট করতে পারতামনা। অনৈতিক পোস্টে কমেন্ট করে প্রতিবাদ করলে ওমুক নেতার ছেলে ফোন দিয়ে শিবির বলে গালি দিতো। তমুক চামছার বাচ্ছাইন রিপ্লেতে হুমকি দিতো। দেখে নিব,আমার সাথে দেখা কর তর কলিজা ছিড়ে নিবো, এই সেই……।

শহর, জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি গ্রামেও মিছিল হতো একটা একটা শিবির ধর ধইরা ধইরা জবাই কর। শিবিরের চামড়া তুলে নিব আমরা। আরো কত রঙ বেরঙের স্লোগানে মুখরিত থাকতো রাস্তা ঘাট।

দিনশেষে শিবির পাওয়া গেলো ছাত্রলীগের ঘরে। শিবিরের সভাপতি থাকতো ছাত্রলীগের সভাপতির হলে আর সেক্রেটারি থাকতো ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের হলে। আর সারাজীবন আমাদের মতো সাধারণ প্রতিবাদী মানুষগুলো হুমকি ধমকি ব্লেইমের স্বীকার হতো।

চোখের দেখা শিবিরের বড় বড় নেতা সরকারের ধারে কাছে সারাদিন আওয়ামিলীগের সাথে শিবির খুঁজত। আর সন্ধার পর আমাদের সাথে আড্ডা দিয়ে ল্যাংটা হয়ে সরকারের সমালোচনা করতো। প্রসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে ডিউটি করে বনানীর ওভার ব্রিজের নিচে শিবিরের মিটিং এ যুক্ত হতেও দেখেছি।

অমর একুশে হলের এক ভদ্রলোক হল ছাত্রলীগের বিরাট নেতা। তাকেও কারওয়ান বাজার ইউনিলিভারের নিচে দেখতাম কিছু পোলাপান নিয়ে নামাজ কালাম এবং মুখে মাস্ক পরে শিবিরের মিটিং এ বিরাট নছিহত পেশ করছেন। এমন ঘটনা আমার দেখা অনেক হয়েছে আর মনে মনে হাসতাম আর বলতাম এদের রুখবে কে???

জামাত, শিবির, রাজাকারের পিছনে দৌড়তে দৌড়তে কিছুদিন আগে বর্ডার ক্রস করে ফেলছে ফ্যাসিষ্ট সরকার কিন্তু মাগার শিবির কে নিশ্চিহ্ন করতে পারলোনা, বরং নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। পুরো আওয়ামিলীগ, ছাত্রলীগ,গোয়েন্দা, সরকারি বাহিনী সব ফেল করে ফেলছে এই জায়গায় আফসোস।

অরাজনৈতিক জিবনে কত থ্রেট পেয়েছি এই ছোট্ট জিবনের প্রতিবাদী লেখালেখিতে। কিছু ব্লগ থেকেও বিদায় নিতে হয়েছে এই ফ্যাসিবাদের কারনে। গ্রামের মানুষ বিধায় ভয়ও পেতাম সেইরাম। আজ ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়তো নতুন ফ্যাসিবাদের জন্মের শুরু হবে। সবশেষে আমার প্রতিবাদী চমকপ্রদ লেখাগুলোর মানসিক শক্তি কি ফিরে পাবো???

কার কাছে রাখবো এই প্রশ্ন???

কে উত্তর দিবে এই প্রশ্নের???

১৯৫জন ১৫৭জন
0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ