পৃথিবীর পথে পথেঃ মরক্কো ,ম্যারাকাস আর সাহারা মরুভূমি ,সাল  ২০১৯

“You have to taste a culture to understand it” 

 

২০১৯ সালের ডিসেম্বর । এবার আমাদের ট্র্যাভেল পরিবারের গন্তব্যস্থান “মরক্কো” ।

মরক্কোর একটা বৃহৎ শহর “ম্যারাকেস” বেশ বিখ্যাত টুরিস্ট দের জন্য। কারন এর একটা ক্যারেক্টার  বা বিশেষত্ব আছে। মরক্কো উত্তর আফ্রিকার একটা দেশ । স্পেনের জিব্রালটার থেকে মরক্কোর এটলাস মাউন্টেন দেখা যায়। মরক্কোকে আফ্রিকার গেটওয়ে বলা হয়।

মরক্কো আমাদের খুব ভালো লেগেছে এখানকার মানুষদের জন্য। খুব সহজ সরল আর ফ্রেন্ডলি । যদিও এখানে একটা বিরাট সংখ্যার মানুষ ইহুদী যা ইসলাম ধর্মের পরেই কিন্তু এরা মিলেমিশে আছে । ধর্ম নিয়ে কোনো গণ্ডগোল নাই।  এরা মিলে মিশে থাকতে যানে।

মরক্কো ফ্রেঞ্চের কলোনি ছিল । যার ফলে এদের সেকেন্ড ভাষা ফ্রেঞ্চ। কিন্তু আরবী এদের মাতৃ ভাষা। ইংলিশ তেমন কেউ বলতে পারেনা। সবচেয়ে বেশি টুরিস্ট আগে আসতো ফ্রান্স থেকে তবে বেশ কয়েক বছর থেকে ব্রিটিশ আসে সব চেয়ে বেশি তারপর জার্মানি। যেহেতু এতো ব্রিটিশ ইদানীং আসা শুরু করেছে তাই ট্যাক্সি চালক,  গাইড আর হোটেল  কর্মচারী কাজ করতে করতে ইংলিশ ভাষা  প্রাকটিস হয়ে যাচ্ছে । তা ছাড়া মোবাইল ট্রান্সলেট তো আছেই।

আমরা যখন ডিসেম্বরে লন্ডন থেকে রওনা দেই তখন ছিল লন্ডনের গ্লুমি ওয়েদার । ঠাণ্ডা ,বাতাস, মেঘ আর ফ্রস্ট যা মোটেও সুখকর ছিলনা। একটা মানুষকে ডিপ্রেস করে দায় এই বাজে ওয়েদার । আমাদের প্লেন রাত পাঁচটায় । পাঁচটা মানে আমরাকে বাড়ি থেকে বের হতে হবে রাত তিনটায়। অন্ধকার,  ঠাণ্ডা   আর বৃষ্টি মাথায় করে ট্যাক্সি তে উঠলাম আর এয়ারপোর্টে গেলাম সেই বৃষ্টি মাথায় করে।প্লেনে উঠলাম অন্ধকারেই । জানি যেদিকে যাচ্ছি সেদিকে একটু পরেই আলো দেখা যাবে। কারন সূর্য তো পূর্ব দিক থেকেই উঠছে। আর মরক্কো তো সেই দিকেই। প্রায় তিন ঘণ্টার জার্নি শেষে আমরা এসে পোওছে গেলাম  মরক্কোর ম্যারাকেস এয়ারপোর্টে । রোদ ঝলমল একটা শুকনো সুন্দর দেশ। নামতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।

আগে থেকেই একটা হোটেল বুকিং করা ছিল । হোটেল বললে ভুল হবে । এটা কোনো এক ধনী পরিবার বসবাস করতো তার পরিবার নিয়ে । বিরাট এক মহল টাইপের । অনেক ঘর  সব এখন হোটেল কক্ষ হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে । রিসেপসনিস্ট  এসে আমরাকে মরক্কো স্টাইলে চা পরিবেশন করল । বুঝিয়ে দিলো ঘরের চাবি । তার সাথে ম্যারাকাসের একটা ম্যাপ দিলো। এবং ব্যাবস্থা করে দিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় টুরিস্ট সাইট তিন  দিন দুই রাতের “সাহারা মরুভূমি”  দেখার ব্যাবস্থা। যার জন্যই আমাদের আগমন।

 

সাহারা মরুভূমি দর্শন এবং পথে পথে আরও কিছু স্পট  

 

সাহারার যে স্থানে যাবো সেটার নাম ” Merzouga Dunes” ।

সকালে ব্রেকফাস্টের পর আমরা রেডি হয়ে পড়লাম গাড়ির জন্য । সকাল সকাল যেতে হবে অনেক দূর পথ। ড্রাইভার যথারীতি বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিলো আরও কিছু টুরিস্ট । তারপর শুরু হল যাত্রা।

মরক্কোর হলিউডঃ

মাত্র আধা ঘণ্টা ড্রাইভ করে আমরা এসে পড়লাম  ওউরযাযটে  (ouarzazte) ,যাকে বলা হয় ‘মরক্কোর হলিউড’ কারন সারা পৃথিবীর নামকরা ফিল্ম মেকার এখানে এসে ফিল্ম বানায়। যেমন Gladiator, Mission Impossible, Game Of Throne, The Mummy,  Lawrence of Arabia ইত্যাদি । এখানে একটা ‘মিউজিয়াম অফ সিনেমা’ আছে। এখানে আমাদের ড্রাইভার আমরাকে নামিয়ে দিয়ে দেখার সুযোগ করে দিলো। খুব ভালো লাগলো।

কিছুদূর গিয়ে আর একটা স্পটে ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিয়ে দেখার সুযোগ করে দিলো হার্বালিস্ট দেখার জন্য । যেখানে ন্যাচারাল পদ্ধদিতে বানানো হয় নানা রকম মেডিসিন ,সাবান,স্যাম্পু আর  সেন্ট । এখানে তার ট্রেনিং দেয়া হয় কি ভাবে বানাতে হয় আর এসব বানাতে sand wood, amber, orrange blossom ব্যাবহার করা হয়।

পথে পড়লো আর একটা সুন্দর ভিউ দেখার ব্যাবস্থা এবং সাথে খাবারের জন্য একটা রেস্টুরেন্ট তার নাম  ,’Timzzillite Chez Mohamed’ ।

তারপর আবার চলা। এবার পাহাড়ের ধার দিয়ে এঁকে বেঁকে উপরে উঠার রাস্তা ,যা শুধু উপরে উঠছে তো উঠছেই । উপর থেকে নিচে তাকাতে ভয় লাগছে । দ্রুত উঠছে উপরে। ২,২৬০ মিটার অ্যাটলাস মাউন্টেনের  চূড়াতে। এই স্থান টিকে বলা হয় Tizi-n-Tichka।

কোথাও দুই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে ,কোথাও পাহাড়ের ধার  দিয়ে, কোন সময় ছোটো ছোটো গ্রাম ,কোথাও  ধুলাময় রাস্তা পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, কোথাও আফ্রিকান সমতল ।  যেখানে সবুজ গাছ বা খেত । মানুষ ভেড়ার পাল নিয়ে চরাতে  যাচ্ছে, মেয়েরা বিরাট কাঠের বোঝা পিঠে করে বাড়ি আনছে বা গাধার পিঠে ঘাস নিয়ে বাড়ি আসছে। কোথাও লুকিয়ে থাকা পানির অয়াসিস । যা ছিল সত্যি আনন্দদায়ক এক অভিজ্ঞতা এবং উপভোগ করার মতো দৃশ্য।

Ait Ben Haddou এইট বেন হ্যাডু,  একটা দুর্গ

 

ড্রাইভার এবার নিয়ে গেলো আমাদের গ্রুপকে একটা বারবার দুর্গ দেখাতে। যা পুরোটায় লাল মাটি দিয়ে তৈরি । মাঝে একটা পানির নালা চলে গেছে আর দুর্গ টি অনেক উঁচুতে । কত যে  মাটির ঘর চারদিকে ঘেরা শুধু লাল শক্ত মাটির ঘর। ।  এটা একটা ক্যারাভান রুট । মরক্কোর আর্কিটেকচার এর  একটি সুন্দর উদাহরন। এটি হাই এটলাস মাউন্টেনের দক্ষিণ স্লপে বা ঢালুতে । এটিকেও অনেক ফিল্মে ব্যাবহার করা হয়েছে এবং এখন এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট । মাঝ খানে আমাদের বিরতি এক রাতের জন্য । ভালোই ছিল থাকার জায়গাটি। রাতের খাবার খেতে গেলাম গ্রুপের সাথে।এক গ্রুপে যাওয়ার এই এক মজা ,আর তা হল পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের সাথে মেলা মেসা আর মত বিনিময় করা। যা মন কে করে বিস্তৃত ।  সকাল সকাল উঠতে হবে merzougaর পথে।

Todra Gorge বা তদরা গোর্জ ঃ

Tinghir শহরের কাছা কাছি Todra gorge । গোর্জ তাকেই বলা হয় যেখানে একটা খরস্রোতা নদী দুই সুউচ্চ পর্বতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় । ‘এইট বিন হ্যাদ্দন’ বা লাল মাটির দুর্গ থেকে এটা ৩/৪ ঘণ্টার দূরত্বে । এখান থেকে সাহার ৩/৪ ঘণ্টার দূরত্বে । এতো উঁচু মাটির পর্বত আগে দেখিনি ।দুই দিক ৪০০ মিটার উঁচু। মধ্যে দিয়ে তদ্রা নদী বয়ে চলেছে শত শত বছর ধরে। যেন এক প্রাগ ঐতিহাসিক জায়গাতে আমরা আছি।  কোথাও লাল,কথাও কমলা আবার কোথাও খয়েরি রঙের মাটির রং। এঁটেল মাটির মতো,  রকি বা পাথরের নয়। মরক্কের একটা রিমোট অঞ্চলে এর অবস্থান। প্রকৃতি কতখানি ক্ষমতা পূর্ণ এগুলো দেখলে বোঝা যায়।

অনেক সময় নিয়ে ঘোরাঘুরি করে সব কিছু দেখলাম এবং তারপর রওনা দিলাম পরবর্তী স্পট সাহারা মরুভূমি। কিছুক্ষণ ড্রাইভ করার পর বোঝা যেতে লাগলো দৃশ্য পটের পরিবর্তন । প্রখর সূর্যর তাপ, বাতাস শুকনো আর মাইলের পর মাইল বিরান ভূমি । কাঁকর ভরা মোটা দানার লাল শুকনা বালু । কোথাও মানুষ, গাছ বা জন্তু নাই। নাই পাখ পাখালী । এই ভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ড্রাইভ করার পর আমরা চলে আসলাম পড়ন্ত বেলায় একটা স্পটে যেখান দাঁড়িয়ে আছে লাইন দিয়ে উটের সারী আমরাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

সবায় যার যার উটের পিঠে উঠে বসলো । তবে আমি নোই । একটু চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু এতো ভয় লেগেছিল যখন উটটা সামনের দিক নিচে করা পেছনের দিক উঁচু করল । তখন বুঝলাম এটা আমার জন্য নয়। একেবারে পড়ে যাচ্ছিলাম । শেষে একলা একলা উটের সারীর পেছন পেছন হাঁটা আরম্ভ করলাম। এটা আমার জন্য ভালোই হয়েছিল কারন ভালো করে মরুভূমির চারদিক বোঝার ,দেখার অনুভব করার বিরাট সুযোগ হয়েছিল । প্রায় চার মাইল দীর্ঘ পথ । দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম । চারদিক সুংসাং নীরবতা । ছোটো বড় ঢেউ খেলানো উঁচু নিচু সোনালী কালার বালুর ঢিবি ।কোন রাস্তা নাই । লাইট পোস্ট নাই। নাই কোনো দিক নির্দেসনা । বালুর ঢিপির উপর দিয়ে হাঁটছি সাবধানে কারন একবার পা পিছলে ঢালু বেয়ে পড়ে গেলে আর উঠা সম্ভব নয়। কারন কোনো হাতল নাই যা  ধরে ধরে উঠতে পারি । তাই কেয়ারফুলি হাঁটতে হচ্ছিল। পায়ের জুতা ভরে গেলো বালু দিয়ে। আসতে আসতে সূর্য অস্ত গিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসছে। আমরা হাঁটছি তো হাঁটছিই।  বালু  মোটেও শক্ত নয় তাই পা বালুর মধ্যে  ডুবে যাচ্ছে আর হাঁটাও দ্রুততার সাথে হয় না সফট বালুর মধ্যে , উটের সারী আগে আগে চলে গেছে অনেক দূরে। আমি তারাকে আর দেখতে পাচ্ছিনা। চার দিক অন্ধকার হতে শুরু করেছে। আমি  পথ হারাতে শুরু করলাম। কিন্তু মাহুত ভালো মানুষ ছিল সে বুঝেছে আমি পিছে পড়ে গেছি যার ফলে পথ হারাবো । তাই সে সবায়কে থামিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। অবশেষে মাহুত আমাকে তার কোমরের দড়ী এক হাতে ধরতে বলল।   উটের সারীর দড়ী আর এক হাতে নিয়ে  উট চালানর মাহুত  হলাম। প্রত্যেকটি উট একটার সাথে আর একটা চেনের মতো বাঁধা ছিল দড়ী দিয়ে , এদিক  ওদিক যেন না যায়।

আকাশ ভরা সুর্জ তারা

তারপর সবচেয়ে সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা আমার হল যা জীবনের মতো দাগ কেটে গেলো। আর তা হল রাতের তারা । সাহারা মরুভূমির সারা আকাশ জুড়ে বিলিয়ন বিলিয়ন তারা গিজ গিজ করছে । কোন গ্যাপ নাই একটার সাথে আর একটা তারার ।  যেন লেগে লেগে একে অপরের সাথে  নিশ্ছিদ্র হয়ে। সে এক চমৎকার দৃশ্য ।বাংলাদেশে গ্রামে আকাশে অনেক তারা থাকে কিন্তু সাহারার বুকে খোলা আকাশে যত তারা দেখলাম তার তুলনা কোন স্থানের সাথে সম্ভব নয়। এতো অবাক করা তারা ময় আকাশ আমি জীবনে কোথাও দেখিনি।

আকােশের দিকে তাকিয়ে অবাক বিস্ময়ে তারা দেখে  হাঁটছি আর ভাবছি আল্লাহ্‌র সৃষ্টি নিয়ে। তারপর তিন ঘণ্টায়  চার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে দূরে আলো দেখতে পেলাম ।বুঝতে পারলাম গন্তব্য কাছে আসছে। তাই ঠিক এসে গেলাম আমাদের তাঁবুর ঘরের দিকে। সেখানে থাকা মানুষ সব ঠিক করে রেখেছিল যেমন পানি,খাবার আর শোবার বিছানা কম্বল সহ তাঁবু । ওয়েলকামের কোনো কমতি ছিলনা। এত হেঁটেছি তাই খিদেও ছিল বেশ।বড় একটা রেকাবী ভরা খাবার ,আলুর চিপ্স ,  ভাত রুটি আর মাংস, যা দলের সবায় মিলে এক সাথে এক থালা থেকে খেলাম যা কিনা আরব বিশ্বের একটা রেওয়াজ  ।  আমাদের তাবুতে তিনটি বেড ছিল।  কিন্তু সাহারায় রাতে এতো ঠাণ্ডা মাইনাস ১ বা জিরো ডিগ্রি হবে ।এর মাঝে মধ্য রাতে বাইরে এসে রাতের তারা দেখতে আবার বাইরে এসেছিলাম । পরে  সব কম্বল একসাথে করে সবায় মিলে লাগালাগি করে শুয়ে পড়লাম । মাঝ রাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় মাথা জমে যাচ্ছিলো তারাটারই কম্বলের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দিলাম। আর ভাবতে থাকলাম সেই ছোটো বেলা থেকে ভূগোলে পড়া সাহারার কথা কত শুনেছি আর আজ সেই সাহারায় আমি শুয়ে আছি। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি।  রাত শেষ করে সকালে আমাদের জীপ গাড়ি আসা পর্যন্ত সেবাকারী মানুষ দের আগুনের পাশে বসে গল্প আর ব্যাদ্য সহ  গান  আর তাদের মরুভূমির গল্প শুনলাম।মরুভূমি ছাড়া তারা থাকতে পারেনা। কারন জনমানব শূন্য এই নীরবতা যে কাউকে এই মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবতে শেখাবে ,দিবে শান্তি। এখানে শেয়াল আর সাপ আছে তবে অল্প ।

 

 

জীপ গাড়ির  উঁচু নিচু বালুর ডিউন লাফিয়ে লাফিয়ে চলা সে আর এক অভিজ্ঞতা।একটা ইউনিক ওয়ে তে সাহারা মরুভূমির ম্যাজিক  দেখ্যা এবং বোঝা আবিষ্কার করলাম ।

এখানে বেদুইন দের বেসিক জীবন কেমন হয় তার অভিজ্ঞতা আর প্রকৃতির দুই বিস্ময় আকাশ ভরা তারা আর সীমাহীন সাহারার অভিজ্ঞতা  নিয়ে এই ম্যাজিক্যাল স্থান থেকে রওনা দিলাম।

আসার সময় যেহেতু কোনো স্পট ছিলনা দেখার জন্য তাই সোজা চলে আসলাম ম্যারাকাস । সারা রাত ভালো একটা ঘুম দিয়ে ফ্রেস হয়ে সকালে ম্যারাকাসের আস পাশের জিনিস দেখতে শুরু করলাম । এগুলো হলঃ

জেনা- এল-ফেনাঃ

একটা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ  সাইট ।একটা বিরাট চত্বর । যেখানে বিকাল তিনটা থেকেই জড়ো    হয় শত শত মানুষ আর টুরিস্ট । একটা বিরাট মেলার মতো। মরক্কোর ফোক নাচ,  গান, সাপ খেলা, খাবার দাবার এর স্টল আর বেচা কেনা। এক আনন্দ দায়ক পরিবেশ। বিদেশি টুরিস্ট এতো বেশি সেখানে ,তারা  উপভোগ করছে আর তা ক্যামেরা বন্দি করছে। আহা সে এক মিলন মেলা।একটা গ্যাদারিং আসলেই মজার।ভাবছিলাম আমরা দেশে এটা সহজেই করতে পারি বিদেশী টুরিস্ট অ্যাটরাক্সানের জন্য যে কোনো স্পটে ।

কাছেই ‘মেদিনাত অফ ম্যারাকেস’, ‘বাহিয়া প্যালেস’ , মিউজিয়াম  আর  সাদিয়ান টুম্ব সব কিছু এক দিনেই ভিজিট করা যায়।

মরক্কো ঘুরা শেষ করে আমরা ফিরে আসলাম লন্ডনে। আর মনে মনে ঠিক করলাম পরের বছর আবার আসব। কারন দীর্ঘ কয়েক মাসের শীত থেকে পালাতে  হবে তার সাথে  আরও কিছু সাইট আছে যা এবার কভার হলনা তা দেখতে হবে। ।

কারন কি ?

“কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা মনে মনে ,ভাসিয়ে দিলাম গানের সুরে এই ডানা মনে মনে”

লেখক ও গবেষকঃ হুসনুন নাহার নার্গিস ,লন্ডন

 

 

৩৫৩জন ৩৪৪জন
0 Shares

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ