
নীলাঞ্জনা নামে একটি মেয়ে ছিল সে বেলী, সাদা গোলাপ , দোলন চাপা,ও যে কোনো সাদা ফুলের পাশাপাশি শিউলি, বকুল খুব পছন্দ করতো।
ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতিটি সিজনেই তাই ফুলের তোড়া আনা ছিল বাধ্যতামূলক। এক সময় অভ্যাসেই পরিণত হয়।
শরৎ এলে কাশফুলের কাছে যাওয়া অন্যরকম পাওয়া।
প্রতিদিন সদ্য ফোটা ফুল বা কাঁচা ফুল যা ই বলিনা কেন,সেই ফুল দিয়ে ঘরের সব ফুলদানি সাজানো ছিল নেশার মত।
[ ] নীলাঞ্জনার সাজুগুজুর একটি অংশ ছিল ফুল দিয়ে নিজেকে সাজানো। বড় কোনো পার্টিতে গেলে ফুল তো চাই– ই- চাই।একবার হঠাৎ ফুলের দোকানীরা আর ফুল বিক্রি করবেন না,কারণ জানালো সরকার সব ফুল কিনে নিয়েছেন এবং পরের দুইদিন ফুল সাপ্লাই আসবেনা। কি বিপদে যে পড়লো নীলাঞ্জনার স্বামী,মিশন শুরু করতে হবে ফুল চাষীদের কাছেই যাওয়া হোক।যেই ভাবনা সেই কাজ। কাছের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে শহর থেকে রওনা হলো গাড়ী নিয়ে।যাচ্ছে তো যাচ্ছে পথ আর শেষ হচ্ছেনা।এক সময় পাকা রাস্তা শেষ হয়ে এলো। মাটির সরু রাস্তা দিয়ে কিছুতেই গাড়ী বেশী দূর এগিয়ে নেয়া গেলনা। কিন্তু চাষীদের বাড়ি ও ফুলের ক্ষেত এখনো অনেক দূর।মাটির সরু পথ ও মাঠের আইলের পথ ধরে গ্রামের মানুষের আসা যাওয়া।কয়েক জন লোক এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলো স্যার কই যাইবেন আপনারা? গাড়ী তো যাইবো না। নীলাঞ্জনার স্বামী বললো ফুল চাষীদের বাড়ি যাব।আর কেন যাওয়া যাবেনা? এই হাইটা যান স্যার,গ্রামের এই মাটির রাস্তায় গাড়ী চলার জায়গা না।আপনার গাড়ীতে তো রাস্তা আটকাইয়া যাইবো অন্য মানুষ কেমনে আইবো,কেমনে যাইবো।চুপ করে বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে নীলাঞ্জনা র স্বামী সেই লোকদের বললো আচ্ছা ভাই শোনো আমরা পায়ে হেঁটে যেতে পারবোনা। অন্য কিছুর ব্যবস্থা আছে কি? রিক্সা বা অন্য কোনো যানবাহন? না না স্যার তয় মটর সাইকেল ভাড়া কইরা যাইতে পারেন,যদি যাগো সাইকেল তারা যায়। তাহলে তোমরা একটু ব্যবস্থা করে দাও।কিন্তু স্যার আপনে গো গাড়ী সেই মোড়ে পাকা রাস্তায় রাখতে হইবো। আচ্ছা চলো।সহজ সরল তিনজনকে গাড়ীর পিছনের সীটে বসিয়ে আবার রওনা হলো পাকা রাস্তার উদ্দেশ্য। এক সময় পৌঁছেও যায়।সেই মানুষরাই দুটো মটর সাইকেলের ব্যবস্থা করে দেয়। রাস্তার পাশে চায়ের টং দোকানে বসিয়ে তিনজনকেই চা, বিস্কুট খাইয়ে চাষীদের বাড়িতে যাওয়া শুরু করলো।গ্রামের রাস্তা দিয়ে যখন মটর সাইকেলে যাচ্ছিল নীলাঞ্জনার স্বামী দুই পাশে সবুজের মেলা দেখতে দেখতে এলোমেলো বাতাস আর গোধূলির লগ্ন শেষের দিকে তাই উপভোগ করতে করতে এক সময় গন্তব্যে পৌঁছে যায়। মটর সাইকেল আরোহীর ডাকে জীর্ণশীর্ণ শরীরের দুজন মুখের কাঁচা পাকা দাড়ি তে আংগুল বুলাতে বুলাতে ঘর থেকে বের হলো।সাথে অপরিচিত দুজন মানুষ দেখে কিছুটা হকচকিয়ে গেল। কেডায় ডাহে? চাচা আমরা দুজন মেহমান লইয়া আইছি।ফুল নিয়ে কথা কইবো মনে হয় ভাবে বুঝলাম। আইচ্ছা।সালাম সাব। তা কি কইবেন কন? আমরা ফুল নিতে চাই বলার আগেই দুজনেই এক সাথে সাব, দুইদিন তো ফুল বেচা মানা। সরকার তো নিয়ম দিছে। তোমাদের কে বলেছে এসব কথা? কেন সাব? আমগো নেতা যারা আছে ফুল ব্যবসায়ী তারাই কইছে।বেচনের সময় অইলে তারাই নাকি আমাগো জানাইয়া দিবো। আপনারা কই থিকা আইছেন? আমরা শহর থেকে এসেছি।আমাদের অল্পকিছু ফুল লাগবে তাই নিতে এসেছি।কি কন স্যার অল্পকিছু মানে কি? কয় বস্তা লইবেন? আরে নানা। কয়েকটি মাত্র ফুল নিবো আমার বউয়ের জন্য।শহরে কোথাও ফুল না পেয়ে আপনাদের শরনাপন্ন হলাম। ততক্ষণে মাগরিবের আযান দিয়েছে।চাষী দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে এক সাথেই বলে উঠলো স্যার আর একটু আগেই আইলেও দুই চার টি ফুল তুইল্লা দিতাম।কিন্তু অহন বেলা শেষ আইজ আর অইতো না। এবারে নীলাঞ্জনার স্বামীর বন্ধুটি বলে, আচ্ছা আমরা যদি দুই তিন বস্তা ফুল চাই দিতে পারবেন।? পারুম না ক্যান,খুব পারুম তয় আপনেরা বেইন্নাকালে আইবেন? এই বেইন্না কাল আবার কি? সাব সকাল কন না আপনারা হেই কথা কইছি। কেন? এখন দেয়া যাবেনা? নাহ সাব,কিছু নিয়ম মাইন্না চইল্লা আইছি তো তাই। যা বুঝার তা বুঝা হয়ে গিয়েছে মটর সাইকেল আরোহীদের সাথে ফিরে এলো পাকা রাস্তার মোড়ে। তাদের ভাড়া মিটানোর সময় জানতে চাওয়া হলো আসোলেই কি এই নিয়ম ঠিক। হ্যা স্যার। গ্রামের এই সহজ সরল মানুষেরা নিজেরাই অনেক নিয়ম নীতি মেনে চলে যা আপনারা সব বই পুস্তকেও খুঁজে পাবেন না।
[ ] আচ্ছা অনেক ধন্যবাদ আপনাদের বলে দুই বন্ধু নিজেদের গন্তব্যে রওনা হলো, মিশন তো সাক্সেসফুল হলোনা এবার কি হবে? দেখা যাক আগে সোজা বাসায় যাই পরে পার্টিতে যাব।সারাদিন অপেক্ষায় থেকে যখন দেখলো নীলাঞ্জনা তার স্বামী আসছেই না চুপ করে ঘরে বসে আছে।পর্দা উঁচু করে শ্বশুর শ্বাশুড়ি বলে কি ব্যাপার রেডি হবেনা? তোমাদের তো বাইরে যাওয়ার কথা? তা তুমি অমন করে বসে আছো কেন? জ্বি,মা, বাবা রেডি হবো কিন্তু। কিন্তু কি? বাবা আমার ফুল নিয়ে এখনো এলোনা আপনাদের ছেলে।দুজনেই হেসে বলে ওঠে ও আচ্ছা এই কথা! এইতো একটু পরেই চলে আসবে তুমি অন্য কাজ গুছিয়ে নাও।নীলাঞ্জনার শ্বশুর বললেন,আচ্ছা দেখি , বলে ছাদের চাবি নিয়ে চলে গেলেন।মিনি ছাদ বাগান সেখান থেকে কিছু সাদা ফুল তুলে নিয়ে হাজির। এই নাও এগুলো দিয়ে আজকের মত কাজ শেষ করে ফেলো।ছেলে এসে চিৎকার শুরু করবে দুজনেই তাদের রুমে চলে গেলেন।তাড়াতাড়ি করে ফুল দিয়ে রেডি হয়ে বসেছিল।অপরাধীর মত বাসায় ঢুকেই তোমার ফুল পেলাম না। সিদ্দিক কে সাথে নিয়ে গেলাম কত জায়গায় কিন্তু কাজ হলো না। নীলাঞ্জনা থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো দরকার নেই কিছু ফুল পাওয়া গিয়েছে।এতোক্ষণে তার স্বামী তাকিয়ে বললো, আগেই বলে দিতে পারতে, উফফ কি জার্নি টাই না আমরা সারাদিন করলাম।ওকে চলো বের হয়ে পড়ি।
নীলাঞ্জনার স্বামী তাকে প্রতিটি ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে বা ইচ্ছে হলো বাসায় ফেরার সময় কিছু রজনীগন্ধা ও গোলাপী গোলাপ নিয়ে আসতো। মাঝে মাঝে ফুলের দোকানের ছোট ছেলেদের দিয়ে বড় ফুলের ঝুড়ি পাঠাতো।
আর সাথে থাকতো চকলেট, একটি করে কার্ড যেখানে লেখা থাকতো —” যা ইচ্ছে হয় কিছু লিখে নিও “
তার ,ভালোবাসার প্রকাশ ছিল এমনই, মুখে কখনোই বলেনি। আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটি মুখে বলতে পারো না? নীলাঞ্জনা প্রশ্ন করতো, সে উত্তর দিত,আরে! এগুলো কি মুখে বলা খুব জরুরী? কাজে প্রমান করতে হয়। সব সময় কথা বলতে নেই।
…
কিন্তু হঠাৎ একদিন নীলাঞ্জনার স্বামী মারা যায় ।কিন্তু
তিনি মারা যাওয়ার পরেও শরতের সময়ে সেই রকম ফুলের তোড়া,সাথে যুক্ত হলো সুন্দর করে ফলের ঝুড়িও।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে যেরকম একি ভাবে কার্ড
সহ গোলাপের তোড়া কার্ডে লেখা ছিল
“আমি এখনো আগের মতই বলি নিজের ইচ্ছে মত কিছু লিখে নিও “”এই দিনে তোমাকে যতটুকু
ভালোবাসতাম, এখন তার থেকে আরও বেশি ভালোবাসি।
প্রতিটি বছর পার হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তোমার
জন্যে আমার এই ভালবাসা আরো বাড়বে”। এগুলো তো মুখে বলার জিনিস নয় তাইনা?
নীলাঞ্জনা ভাবল, তার স্বামী হয়ত মারা যাওয়ার অনেক
আগেই তার জন্যে এইসব অর্ডার দিয়ে
রেখেছিল আজকের দিনটির জন্যে। সে মন
খারাপ করে ভাবলো এটাই তার শেষ শরতের কিছু পাওয়া
স্বামীর কাছ থেকে। কিন্তু কাশফুল তো আর দেখা হবেনা।
সে ফুলগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে
রাখল আর তার স্বামীর ছবি দেখেই দিনটি কাটিয়ে
দিল।
নীলাঞ্জনার মনে পড়ে কাশফুল দেখতে যাওয়ার ঘটনা। তার স্বামী কাজ শেষ করেই কাশবনে নিয়ে গেল। গাড়ী ড্রাইভ করতে করতে বলেছিল, ” দূর থেকে কাশফুল খুব সুন্দর লাগে, বাতাস ঢেউ খেলে যায়,আরও অপূর্ব লাগে,কাশফুলের নরম স্পর্শ তুলোর মত মনে হবে, হয়তো তার থেকেও মোলায়েম, কিন্তু কাছে গিয়ে তার দূরত্ব বুঝতে পারবে ” কাশবনে পৌঁছে গেল।হাত ধরে কাশফুলের কাছে নিয়ে তার স্বামী বলেছিল,জীবনে চলার ক্ষেত্রেও ঠিক এই কাশফুলের মত মানুষের আনাগোনাও দেখতে পাবে।দূর থেকে খুব মিষ্টি করে মন ভুলিয়ে কথা বলবে,মনে হবে আহা সবাই পজেটিভ।কিন্তু সবাই পজেটিভ হয়না।প্রয়োজন টাই বেশী খুঁজে। নীলাঞ্জনা অবাক হয়ে একবার কাশফুলের উপরে আবার নীচের অংশ দেখতে লাগলো।আর ভাবছে তাইতো কত দূরে দূরে এক একটি কাশফুলের গাছ।ভদ্রলোকের অনুপস্থিতিতে কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে প্রমান পেয়েছে সব ক্ষেত্রেই নীলাঞ্জনা।
এভাবে দেখতে দেখতে এক বছর কেটে
গেল। এই এক বছর ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া একা
একা থাকা নীলাঞ্জনার জন্য ছিল খুবই কষ্টের।
শরতের প্রথম দিন সকালে তার বাসায় কে
জানি বেল বাজালো। সে দরজা খুলে দেখতে
পেল দরজার সামনে কার্ডসহ বিভিন্ন রকমের গোলাপের
বড় ঝুড়ি রাখা। সে অবাক হয়ে কার্ডটিপড়ে দেখল এটা তার
স্বামী পাঠিয়েছে। এবার সে রেগে গেল
কেউ তার সাথে মজা করছে ভেবে। সে
ফুলের দোকানে সাথেসাথে ফোন করে
জানতে চাইলো এই কাজ কে করেছে।
দোকানদার তাকে যা বলল তা হল “আমি জানি ম্যাডাম,
“স্যার “এক বছর আগে মারা গেছেন, আমি এও
জানি আপনি আজকে আমাকে ফোন করে সব
জানতে চাইবেন। ” স্যার” আগে থেকেই
সব পরিকল্পনা করে গিয়েছেন। তিনি অনেক আগেই
আমাকে বলে রেখেছিলেন আপনাকে যেন
প্রতি ভ্যালেন্টাইন্স ডে সহ সব ফুল ভিত্তিক দিবসগুলোয় আমার দোকান
থেকে ফুল পাঠানো হয়।তিনি আগাম টাকা
পরিশোধ করে গেছেন। আরও একটি জিনিষ
আছে, যা আপনার জানা দরকার। ” স্যার ” আমার
কাছে আপনার জন্যে একটিবিশেষ কার্ড লিখে
রেখে গেছেন, তিনি বলেছিলেন যদি আপনি
কখনো জানতে পারেন বা বুঝতে পারেন তিনিই এই সব করে গিয়েছেন,তাহলেই যেন আপনাকে কার্ডটি দেয়া হয়। ” আপনাকে কার্ডটি পাঠিয়ে দিব “।নীলাঞ্জনা যখন কার্ডটি হাতে পেল তখন সে কাঁপা কাঁপা
হাতে কার্ডটি খুলে দেখতে পেল, সেখানে তার
স্বামী তার জন্যে কিছু লিখে গেছে। সেখানে
লিখা ছিল “আমি জানি আমার চলে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ
হয়েছে, এই এক বছরে তোমার অনেক কষ্ট
হয়েছে। কিন্তু মনে রেখ আমি তোমাকে সব
সময় সুখী দেখতে চেয়েছি, হাসিখুশি চঞ্চলা, তোমার
চোখের পানি নয়। তাই প্রতি বছর তুমি আমার কাছ
থেকে ফুল পাবে। আর এটা তো তোমার পছন্দের জিনিস।
যখনই তুমি ফুলগুলো পাবে, তখন ফুলগুলোকে
দেখে আমাদের সোনালী, রুপালী কথা মনে করবে,
মনেকরবে আমাদের একসাথে কাটানো সুন্দর
মুহূর্তগুলোকে। সবসময় হাসিখুশি থাকতে চেষ্টা
করবে, আমি জানি এটা অনেক কঠিন হবে তবুও আমি
আশাকরি তুমি পারবে। প্রতি বছর তোমাকে বিভিন্ন ফুল সহ
গোলাপ পাঠানো হবে একেক বার করে। তুমি যদি
ফুলগুলোকে কোন একদিন না নাও, তাহলে
দোকানী সেদিন প্রয়োজনে বাসায় ছয়বার যাবে
দেখার জন্যে যে তুমি বাইরে গিয়েছো কিনা।
শেষবার দোকানী অবশ্য জানবে তুমি কোথায়।
সে তখন ফুলগুলোকে সেখানে পৌছে দিয়ে
আসবে যেখানে আর তুমি আবার একবারের মত
একসাথে হবে চিরদিনের জন্যে। তুমি সবসময় মনে
রাখবে আমার উপস্থিতি সব সময় থাকবে তোমার কাছে।
প্রতিবিম্বে প্রতিবিম্বে শুধুই তুমি। আর আমার যে প্রকাশ কম তাও তো তুমি জানো। “”
প্রতিটি মানুষের জীবনে কখনো না কখনো এমন
একজন থাকে যে আপনার জীবন কে পুরো
বদলে দেয় আপনার জীবনের একটা অংশ হয়ে।
যে আপনাকে উপলব্ধি করতে শেখায় যে
পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। এবং একসাথে কাটানো সময়।
১৭টি মন্তব্য
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
নিটোল প্রেমের অপূর্ব গল্প। চিঠির কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে — “তুমি সবসময় মনে
রাখবে আমার উপস্থিতি সব সময় থাকবে তোমার কাছে।
প্রতিবিম্বে প্রতিবিম্বে শুধুই তুমি। আর আমার যে প্রকাশ কম তাও তো তুমি জানো”। “”
আমাদের সকলের জীবনও সুখী সুন্দর হোক। ধন্যবাদ।
উর্বশী
মোহাম্মদ মজিজুরুল আলম চৌধুরী ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
চমৎকার মন্তব্যের করেছেন,ও সময় করে পড়ার জন্য অজস্র শুভ কামনা। সুস্থ ও যত্নে থাকুন
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনারও সুস্থতা কামনা করছি এবং শুভ কামনা রইলো।
উর্বশী
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী ভাইয়া,
শুকরিয়া জানাচ্ছি।
সব সময় ভাল থাকুন। কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা অবিরাম।
উর্বশী
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী ভাইয়া,
শুকরিয়া।
আপনিও ভাল থাকুন সব সময় কামনা রইলো
হালিমা আক্তার
চমৎকার ভালোবাসার গল্প। ভালোবাসা এভাবেই বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে। শুভ কামনা রইলো।
উর্বশী
হালিমা আপা,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সময় করে পড়ার জন্য অফুরান ভালোবাসা রইলো। সুস্থ ও যত্নে থাকুন।শুভ কামনা সব সময়।
ফয়জুল মহী
বন্ধু আমার উর্বশী । লিখেছো গল্প নীলাঞ্জনার । সময় করে পড়ে নিতে চেষ্টা করবো।
উর্বশী
ফয়জুল মহী,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সময় ও সুযোগ করে পড়ে নিও হয়তো ভাল লাগবে।
সুস্থ ও যত্নে থেকো মহী,অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
আরজু মুক্তা
কথোপকথন গুলো আলাদা হয়নি কেনো? পড়তে পড়তে মনে হলো, তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন।
থিমটা ভালো লাগলো।
উর্বশী
আরজু মুক্তা আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
মোবাইলে কিছুটা ঝামেলা ও তাড়াহুড়ো ছিল বটে। কঠিন সময়ের মধ্যে আছি আপু। সময় নিয়ে পড়েছেন,গুড সাজেশন দিয়েছেন,সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা
রোকসানা খন্দকার রুকু
বিষাদময় প্রেমের গল্প। ভালোবাসা বেঁচে থাকে এভাবেই।একবছর পরে হলেও মন কাকতালীয় ভাবে জেনেই যায় চিঠিই তার প্রমান।
প্রিয় ব্লগার, আপনার লেখাগুলো পড়তে একটু কষ্ট হলো কারন প্যারা হয়নি। কথোপকথন একটু আলাদা হতো তাও হয়নি। আমার ফোনেও এ সমস্যা ছিলো। সরাসরি নোটস এ লিখে কপি পেষ্ট করলেই এলোমেলো হয়ে যেত। আমি নিজের নামে একটা ম্যাসেন্জার বক্স খুলে তাতে পোষ্ট করে সেখান থেকে কপি করে ব্লগে দেই।
আর ল্যাপটপ যদি হয় তাহলে প্যারা করে ছেড়ে দেই।
আরও এমন গল্প লিখুন। অনেক অনেক শুভকামনা।
উর্বশী
রোকসানা খন্দকার রুকু আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
হ্যা,সমস্যা কিছুটা হয়েছে আপু।পড়তে অসুবিধা হওয়ার জন্য দুঃখিত। পরের লেখা সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ। ভাল ও যত্নে থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
রেজওয়ানা কবির
অনেকদিনপর আপনার লেখা পড়লাম। বিষাদময় প্রেমের গল্প পড়ে ভালো লাগল। তবে মনে হয় ফোনের ফ্রন্টের প্রব্লেম তাই প্যারা হয়নি। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা আপু।
উর্বশী
রেজওয়ানা কবির আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য অফুরান ভালোবাসা রইলো। জ্বি হ্যা আপু ফোনের কিছুটা ঝামেলা হবে হয়তো।পরের লেখা সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করবো। খুব ভাল ও যত্নে থাকুন।
শুভ কামনা সব সময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
মা বাবা, ভাইবোন, সন্তান ছাড়া আর একজনই পারে কারো সম্পূর্ণ অস্তিত্বে মিশে যেতে, কারো পুরো অস্তিত্ব হয়ে থাকতে। সেইজন হলো স্বামী/স্ত্রী। যদি এই সম্পর্কটি হয় বিধাতার আশীর্বাদপুষ্ট, এবং যথার্থরুপে একে অপরের পরিপুরক।
এই গল্পের থীমে অনেক আগে একটা বিদেশী মুভি দেখেছিলাম, নাম মনে পড়ছে না। মনে পড়লে জানাবো। সেখানে মেয়েটির স্বামীর এক সময়ে মৃত্যু হয়, কিন্তু মেয়েটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার বিশেষ দিনগুলোতে স্বামীর দেয়া উপহার পেতে থাকে, স্বামী বেঁচে থাকতে যেভাবে যেমন পেতো।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। নিয়মিত লিখুন। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
উর্বশী
সাবিনা ইয়াসমিন আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সহমত পোষণ করছি। জীবনমুখী লেখা,বা জীবনের প্রতিচ্ছবির ছাঁয়া অবলম্বনে চারিপাশের ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করেই সাধারণত পথ চলা। পুরোপুরি সুস্থতা লাভ করতে পারিনি। মনে হয় এভাবেই দিন পার হবে।দোয়া করবেন।
ভাল ও যত্নে থাকুন অফুরান শুভ কামনা সব সময়।