বর্বর এক দেশ , বর্বর তার আইন । ধর্ষিতা হয়েও যে দেশে বিচার হয় ধর্ষিতার – এমন দেশ কোন সভ্য দেশ হতে পারেনা , এমন দেশের আইন , বিচার ব্যবস্থা সবই অসভ্য এবং বর্বর।
মারতে দেবোরা দালেলভ একজন ২৪ বছরের নরওয়েজীয় । গত মার্চ মাসে তিনি দুবাইয়ে একটি বাণিজ্যিক সভায় অংশ নিতে গিয়ে তাঁর সহকর্মীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে উল্টো পুলিশ তাঁকে জেল হাজতে রাখে । পুলিশের কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কোন সন্তোষ জনক জবাব না দিয়ে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে আটকের কথা জানায়। অবাক হতে হয় ঐ অসভ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে । ধর্ষনের স্বীকার হলেন মারতে দেবোরা দালেলভ, আর তাঁকেই কিনা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারনে আটক করা হয়েছে ? এই দুবাইয়ের পশুদের একটুও মনে হলো না – মারতে দেবোরা দালেলভ নিজে পুলিশকে খবর দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন । এটিতো তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে করা হয়েছে , সেক্ষেত্রে বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তাঁর প্রতি কেন ?
অবশেষে বিচারঃ
*অনৈতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন
* ভুয়া জবানবন্দি প্রদান
* মদ্যপান
এই তিনটি অভিযোগে দুবাইয়ের আদালত গত বুধবার মারতে দেবোরা দালেলভ ১৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ।
ধর্ষককে আদালত মাত্র ১৩ মাসের কারাদণ্ড দেয় ।
* বিয়ের বাইরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন
* মদ্যপানের কারণে ওই ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়।
পশুদের বিচার দেখা যেতে পারে , দুজনের বিরুদ্ধে সাধারন অভিযোগ অনৈতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও মদ্যপান । নারীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বেশী , তা হচ্ছে ভুয়া জবান বন্ধী প্রদান । জবান বন্ধী যদি ভুয়াই হয় তবে ধর্ষক পুরুষটিকে কেনো সাজা দেয়া হলো ?
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ধর্ষণের সাজার জন্য প্রয়োজন হয়ঃ :
* সত্যি শপথ
* চার জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের চাক্ষুস সাক্ষী ।
কত বড় অমানুষ হলে এমন আইন থাকতে পারে । ৪ জন পুরুষের সামনে কেউ কোন দিন কোন নারীকে ধর্ষণ করে ? পশুরা এমন করে । আরবের মানুষ গুলো পশু থেকে আর উন্নত হলো না ।
এধরনের বর্বর আইনের প্রয়োগ এর পূর্বেও ঘটেছে দুবাইতেঃ মনে হচ্ছে নারীরা ওখানে ইচ্ছে করে ধর্ষিতা হয়ে অন্যায় করছেন।
* ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এক ২৮ বছরের ব্রিটিশ নারী অভিযোগ করেন, তিনি দুবাইয়ে তিনজন পুরুষের দ্বারা কিডন্যাপ হয়েছিলেন এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তুন্দুবাই আদালত উল্টো তাঁকে মদ্যপানের অভিযোগে ২৫৭ ডলারের অর্থদণ্ড দেন।
* তিন বছর পূর্বে একজন ১৮ বছরের এমিরাতি নারী ৬ জন পুরুষ কর্তৃক গণ ধর্ষণের স্বীকার হন । অভিযোগ করলে আদালত উল্টো তাঁকে এক বছরের সাজা দেন অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য ।
* ২০০৮ সালে এক অস্ট্রেলীয় নারীকে একদল দুর্বৃত্ত ওষুধ খাইয়ে গণধর্ষণ করে। অভিযোগ করার পরে আদালত এ নারীকে ১১ মাসের কারাদণ্ড দেন বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য । আর মদ্য মানের জনে সাজা দেন ১ মাসের ।
তথ্য সুত্রঃ USA TODAY . বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
মারতে দেবোরা দালেলভ এর হাস্যজ্জোল দুটি ছবি । এমন হাসি উনি কি আর হাসতে পারেবন এরপরে ?
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমন পাশবিক অবস্থার কথা চিন্তাই করা যায় না
কতটা পশু হলে এমন ভাবে বিচার করা সম্ভব , তাও চিন্তায় স্থান দিতে পারছিনা ।
আরবরা যে বর্বর তা এসব ঘটনায় প্রমান করে ।
ব্লগার সজীব
ওদের টাকা পয়সা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনো বর্বর রয়ে গিয়েছে ।
শিশির কনা
কোন সভ্য দেশে এমন আইন থাকতে পারে তা ধারনা ছিল না । আরবরা যে অসভ্য , বর্বর এই ঘটনা তার প্রমান ।
ব্লগার সজীব
ওরা অসভ্য বর্বর ।
"বাইরনিক শুভ্র"
যা পড়লাম তাতে তো মনে হয় ধর্ষণ ওদের দেশে বৈধ । আর ধর্ষণে বাধা দেয়া বা অভিযোগ করা অবৈধ ।
ব্লগার সজীব
ওদের কাছে নারী কোন ব্যক্তিত্ব নয় , একটি পন্য মাত্র ।
মিসু
অবাক হলাম খুব । এই ধরনের জংলী দেশ এখনো আছে ?
ব্লগার সজীব
আরবরা সব সময়ই জংলী । তেলের খনি না থাকলে ওদের খবর থাকতো না বিশ্বে ।
আদিব আদ্নান
এমন আইন হয় নাকি !
ব্লগার সজীব
বর্বরদের দেশে সব ই সম্ভব ।
প্রজন্ম ৭১
অ।মানুষ দেখতে হলে এসব দেশে যেতে হবে ।
ব্লগার সজীব
আসলেই ।
Alok Chiwdhury
Only in Arab states where you can see barbarism like this!
ব্লগার সজীব
সত্যি বলেছেন আপনি ।