
লিখা আছে দেয়ালের লিখনে,
মোবাইলে রিংটোনে,
লিখা আছে তুমি অতলের জল,
যাকে ছুঁয়ে দিতে গেলে,
মিশে যায় নীল মেঘে তীব্র অনল!
তারা বোঝেনি কখনো মানবীর ভাষা,
তার হৃদয়ের লয়,
তবু হেসে বলে চলো ছায়াপথে হাঁটি,
মেয়েটি উঠে আসে বুকে নিয়ে,
পৃথিবীর গন্ধের মতো সোঁদা মাটি,
সুরেলা মেঘের মতো চোখে মায়া অক্ষয়!
তবুও বাস্তুচ্যুত হবো এই অবারিত ত্রাসে,
কফির তরংগের মতো,
গহীনে সুদূর বনে মৃদু জাগে ভয়!
মেয়ে তো নিজেই সমুদ্র,
কি করে ভেজাবে তাকে নিশুতি জোয়ার?
মেয়ে নিজেই তো অমোঘ নীল,
আরো বেশি গাড় জলে নামবে না আর!
তবুও পূর্ণিমা ডাকে! টানে বালুচর,
সারা রাত জেগে মেয়ে
দেখে যাক হৃদয়ের উৎসারিত ভোর!
মেয়ে মেঘ ছোঁবে না সূর্য্য ছোঁবে,
এই কথাটাই ভাবতে বসেছে বারান্দায়!
আলাপগুলো যায় পেঁচিয়ে,
পরাগরেণু ফুলকে ছেড়ে থমকে থাকে,
তার খোঁপায়!
ইচ্ছে জাগে- হুট করে নামুক জোরে বৃষ্টি!
সাতমহলার গুমোট দৃষ্টি,
দেখুক অনাসৃষ্টি! নামুক প্রলয় আজ!
সমরাস্ত্রের শব্দ বাজুক! প্রণয়দেবতা
মূর্চ্ছা যাক!
থমকে আছে প্রজাপতি! নীলাভবরণ পাখা,
ঘুমের শেষে মেয়েটি উঠে,
দেখছে সমীকরণের শেষ প্রান্তটা ফাঁকা!
উঠোন জুড়ে বিশাল সাগর,
মধ্যে জমেছে হাজার রাতের সিক্ত গল্পকথা
রাত্রি জেগে সেও তো দেবীর মতো গম্ভীর,
নাও ভাসাল অতল জলে! শুকতারাটাও স্থির,
আনতে হবে ভোর! পৃথিবী কুয়াশা ঢাকা!
সূর্য্য যদি দেয় ফাঁকি আজ দিক,
তার তো হাতে আছে জ্বলন্ত দ্বীপশিখা!
৫টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
গিরিপথের গুহায় আটকে থাকা পথিকের কোন কাজে লাগেনা সূর্য,
কিন্তু দ্বীপশিখা!
দ্বীপ শিখাই পথচিনে ফিরিয়ে আনে লোকালয়ে।
দারুণ সুন্দর কবিতা
আমাদের কবি এমনি করে লিখুক জীবনের জলছবি
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর অনুভবের ছোঁয়া।
অতুলণীয় শব্দ চয়ণ ও উপমার ব্যবহার।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির প্রকাশ কবি দা
রোকসানা খন্দকার রুকু
মেয়ে তো নিজেই সমুদ্র, সে মেঘ ছোঁবে না সূর্য ছোঁবে। চাইলে সে যে কোনটাই করতে পারে কিন্তু অনেক বাঁধা পথ আগলে রাখে। তবুও সে দীপশিখাকে অনুসরন করুক!!
সাবিনা ইয়াসমিন
সব লতা স্বর্ণলতা নয়, কিছু লতা সময়ের পথ বেয়ে সবার অলক্ষ্যেপরিনত হয় মজবুত ডালে। নারীও তাই। মেয়ে থেকে মানবীর রুপান্তর সবার দৃষ্টিগোচরে আসে না।
❝তারা বোঝেনি কখনো মানবীর ভাষা,
তার হৃদয়ের লয়,
তবু হেসে বলে চলো ছায়াপথে হাঁটি,
মেয়েটি উঠে আসে বুকে নিয়ে,
পৃথিবীর গন্ধের মতো সোঁদা মাটি,
সুরেলা মেঘের মতো চোখে মায়া অক্ষয়!❞
সরলতার মোহনীয় প্রকাশ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। চমৎকার লিখেছেন সৌবর্ণ।