ঠিক মাঝখানের বোতামটাই নেই –
সেইখানে খানিকটা অন্ধ শুন্যতা লেগে আছে,
তুমি সেই শুন্যতায় হাত বুলায়ে দিলে যেই
অমনি আমার ইচ্ছে হলো,
একটা চোখ ওখানটাতে বসিয়ে দিই ;
শুন্যতা ঢেউয়ের মতো পিছলে যাক, আলো আসুক আলো।
এবং কাধেঁর কাছে কুঁচকে থাকা আঁচলের নীচ থেকে –
উকি দিয়ে যাওয়া গোপণ রঙ,
দেবদারু বনের হাওয়ার মতোন ফুরফুরে উল্লসিত কুন্তলদাম
তার গায়ে লেগেছে যেই অবহেলায় ফিরিয়ে নেয়া হাত,
অমনি আমার ইচ্ছে হলো –
একটানে তুলে দেই হৃদমঞ্জরী ;
অলৌকিক আলোয় ভেসে যাক অনিঃশেষ আধাঁরি।
এক পা চলতেই –
সাদামাটা পাড়ের নীচে অদৃশ্য নুপূর বেজে ওঠে যেই
অমনি আমার ইচ্ছে হলো –
একজনমের সমগ্র পুণ্য, পাপ, অমৃত ও বিষ সমগ্র মিশে যাক ওখানেই।
১০টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
উপমাগুলো সত্যি চমৎকার। কবিতাকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা এবং সেই কবিতার রূপ-রস-গন্ধকে গ্রহণ করানোর জন্য একজন কবি কখনোই ভাবেনা। ভাবতে গেলেই তখন আবেগ আর থাকেনা, হয়ে যায় পেশাদারী মনোভাব। এতো কথা বলার মানে আপনার কবিতার ঘ্রাণ পেয়েছি, তার রূপ-আবহ চিত্রকল্প একেবারে আমার চোখের সামনে উঠে এসেছে। একজন পাঠক হিসেবে বলছি কবিতা ভালো লেগেছে।
আগুন রঙের শিমুল
থ্যাঙ্কিউ নীলাঞ্জনা নীলা 🙂 আপনার ভালো লাগার প্রকাশ মনোমুগ্ধকর, সত্যিকারের অর্থে পাঠকের কথা ভেবে বা দুরুহ / দুর্বোধ্য কিছু লিখতে অনেক মেধার দরকার হয় যেইটা আমার নাই 😀
তাই যা দেখি তাই লিখি, ধন্যবাদ আবারো।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই মন্তব্য যে করতে পেরেছি, তার জন্যে কৃতজ্ঞ কিন্তু আপনার লেখনীর কাছেই। অমন করে লিখেছেন বলেই তো মন্তব্য লিখতে পেরেছি। 🙂
শুভ নববর্ষ।
আগুন রঙের শিমুল
শুভ নববর্ষ -{@
শুন্য শুন্যালয়
একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, শিমূল এত্তো ভালো ক্যাম্নে লেখে? উত্তরটা জানা থাকলে দ্যান, আমি তারে দেই। 🙂
বোতামের জায়গায় চোখ শুনে কিন্তু ভয়ভয় লাগছে। কি অদ্ভুত সব ভাবনাচিন্তা,
ইচ্ছেগুলো সব সুন্দর কিন্তু কঠিন, কবির জন্য যা সহজ ছিলো। শুভ নববর্ষ ভাইয়া। -{@
আগুন রঙের শিমুল
শিমুল ভালো লেখেনা, শুন্যাপু শিমুলের চারপাশে সুন্দর সব ঘটনা ঘটে তাই দেখে লিখে 🙂 তাই ভালো লাগে হয়তো।
শুভ নববর্ষ শূন্যাপি -{@
ছাইরাছ হেলাল
অলৌকিক আলোটূকু দেখছি সবারই লাগে!!
লাগুক,
আগুন রঙের শিমুল
হ, আলৌকিকের আশায় বসবাস হেলাল ভাই
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর লিথেছেন , ভালো লেগেছে। -{@
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ ভাই