কোন ধর্মই বলে না যে তোমরা মানুষকে খোঁচাও — তাদের নবী / অবতারদের নিয়ে ঠাট্টা তামাসা কর —- কোন ধর্মই বলে না যে তোমরা বাড়াবাড়ি করে মানুষের ঘর বাড়ি জালিযে দাও — হায় ! আমরা এ কোথায় অবস্থান করছি !!! প্রতিটি ধর্ম ধৈর্য্য ধারনের কথা বলে, সহযোগিতা, সহানুভূতি, আর ইমপ্যাথির কথা বলে – একজন অন্যায় করলো আর তার দায় কেন এত মানুষকে নিতে হবে !!! যে অন্য মানুষের মনে আঘাত দিয়েছে তার শাস্তিতো প্রচলিত আইন অনুযায়ীই হবে — তবে কেন আমরা ধৈর্য্য ধারণ করতে পারি না !!! আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, ক্ষতি যা হবার সবতো যে কোন ধর্ম এর অতি দরিদ্র মানুষদেরই হয়, উচুতলার মানুষদের হয় না — ধনীরা কিছুদিন লম্ফঝম্ফ করে –ব্যাস এই পর্যন্তই —– কিন্তু অসহায় দরিদ্র মানুষেরা !! যাদের তিল তিল করে গড়া সংসার !! তারা কি সব এক নিমেষেই আগের মতই করে ফেলতে পারে !!! সব দেশে মনে হয় দরিদ্ররা আর অতি নিম্নবিত্তরাই সংখ্যালুঘু — আর বাকী সকল ধর্ম বর্ণ এর মানুষ মনে হয় সব এক কাতারের —
আমার খুবই মনে পড়ে আমার বাবা আর কাকার কথা। ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হলো, এই নিয়ে এই দেশেও একটু গরম সরম অবস্থা। আমার বাবা আর কাকা আমাদের এলাকার সব তরুন আর মরুব্বীদের জড়ো করে বললেন যে, কোন দেশে কি হয়েছে জানি না, তবে আমাদের এলাকায় কোন টু শব্দটিও যেন না হয়, এটি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ব্যাস !! কোন টু শব্দটিও হয় নাই — আজ বাবা নাই, কাকাও নাই। চোখে আমার পানিতে ভরে যাচ্ছে। নীল কষ্ট মনের ভেতর ভর করেছে। “ওরে তোরা আমার ভাই, বোন, স্বজন, আমার প্রতিবেশি, আমার দেশের প্রিয়জন। ডান হাত আমার, বামহাতও কিন্তু আমার। আসুন প্রতিজ্ঞা করি আর নয় হানাহানি –পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই — মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাড়াই ——-
৪টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
সহিঞ্চুতা, ধরয্য, স্থির এগুলো বর্তমানে বেশিভাগ মানুষের মাঝে অবস্থান করছে বলে মনে হয়না। আর যারা ধর্মের নামে দ্রত উস্কানি দিয়ে মানুষকে অত্যাচার করছে ঠিক তারচেয়েও বেশি দ্রত ভাবে তাঁদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে আমাদের সমাজে আরও অস্থিরতা দেখা দেবে। তাই সরকার অ প্রশাশনের উচিত গোয়েন্দাদের এমনভাবে পরিচালনা করুন জাতে ঘটনা ঘোঁটানর পূর্বেই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাবরী মসজিদ যখন ভাঙ্গা হলো, আমি তখন সিলেটে ছিলাম। রামকৃষ্ণ মিশন ভাঙ্গা হলো। কিন্তু আমাদের মেয়েদের ছাত্রীনিবাসে আঁচও লাগতে দেয়নি পাড়ার ভাইয়ারা। আসলে আপু এখন ধর্মপালন করার চেয়ে দেখানো হয় বেশী। একটা সময় ছিলো ধর্মপালন করতো মানুষ, কিন্তু দেখাতো না। ধর্মের রাজনীতি সৃষ্টি করে গেছে ব্রিটিশরা, আর আমরা সেসব জেনেও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে যাচ্ছি।
ভালো লিখেছেন আপু।
সঞ্জয় কুমার
দিন বদলেছে এখন মানুষের চেয়ে বকধার্মিক বেশী
জিসান শা ইকরাম
আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে না দেখে দেখি ধর্মের হিসেবে।
যেকারনেই এত হানাহানি, এটি আর কমবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
ছোট লেখায় বেশ বড় বার্তা।
শুভ কামনা।