তথ্য সংশোধনে হলফনামা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা সকলের জানা দরকার

[ছবি : ইন্টারনেট থেকে]

কিছুক্ষণ পূর্বে জনৈক ভদ্রলোক ফোন দিয়ে বললেন, তার আত্নীয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য হলফনামা সম্পাদন করতে হবে। আমি যেহেতু আদালতের কর্মচারী, সেই দিকে থেকে আমার অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি আমার সাহায্য চাইলেন। সকল সনদপত্রে নাম ও বয়স সঠিক থাকলেও  জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও বয়স সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকায় সনদপত্রসমূহের অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এরুপ সমস্যা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। তাই সকলের জানা থাকা দরকার কি কি সমস্যায় আমরা পতিত হচ্ছি এবং এগুলোর সমাধান কিভাবে করা যাবে।

► জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানানে ভুলের ক্ষেত্রে সংশোধনীর পর্যায়ে যে যে ডকুমেন্টে (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সর্টিফিকেট) শুদ্ধ নাম রয়েছে সেগুলো উপস্থাপন করতে হবে।

►  জন্ম তারিখ সংধোধনীর ক্ষেত্রে যে যে ডকুমেন্টে (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সর্টিফিকেট) শুদ্ধ নাম রয়েছে সেগুলো উপস্থাপন করতে হবে।

► সার্টিফিকেটে নিজ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদি সংশোধনীর ক্ষেত্রে যে যে ডকুমেন্টে (নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র, বিবাহের কাবিননামা ইত্যাদি) উপস্থাপন করতে হবে।

► পাসপোর্টে যে কোন তথ্য ভুল সংশোধনীর ক্ষেত্রে যে যে ডকুমেন্টে (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সর্টিফিকেট)  ইত্যদি উপস্থাপন করতে হবে।

হলফনামা সব সময় ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে যিনি হলফনামা সম্পাদন করবেন তার নামে ক্রয় করে লিপি করতে হয়।

হলফনামা জেলার ক্ষেত্রে একজন প্রথম শ্রেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  এবং মেট্রো এলাকার ক্ষেত্রে একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা সম্পন্ন করে উপস্থাপন করতে হয়।

“আশা করি তথ্যগুলো সকলের ভাল লাগবে। এরপরও করো কোন প্রয়োজন হলে লেখকের সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা পাবেন।” 

 

 

৩৯৭জন ৩২৯জন
0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ