বন্ধু বলল, বল তো দেখি একজন গৃহী পুরুষের মেজাজ কিসের উপর নির্ভর করে?
আমি বললাম, কেন, বউ আর মেয়ের উপরে!
– বুঝলাম না?
বললাম, শোন! তোর কোনদিন ভাল্লুক্যা জ্বর হয়েছিল?
– হয়েছিল।
তাইলে বুঝবি! ধর, আমি অফিসে ব্যস্ত, হটাৎ বাসা থেকে ফোন এলো, রিসিভ করেই বউয়ের স্বর শুনলাম, সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা ৯৬ ডিগ্রী থেকে ১০৪ এ লাফিয়ে উঠে গেল। আবার পরক্ষনেই সেই ফোনে যদি মেয়ের স্বর শুনি, সাথে সাথে সেই উঠন্ত তাপমাত্রা নেমে আবার ৯৬।
– এটা দিয়ে তুই কি বুঝাইলি, বিয়ের আগে তো দেখতাম বৌদির সাথে ফোনে মাল্টিঘন্টা কাটাইতি? এখনকার এই অবস্থা ও জানে?
বললাম, জানে না তবে মনে হয় বোঝে!
– কিভাবে বুঝলি?
বুঝলাম, এখন দেখি- কম গুরুত্বপূর্ণ কথার পর তোর বৌদি ফোনটা মেয়ের হাতে দেয়। আর বেশী গুরুত্বপূর্ণ কথার আগে মেয়েকে দিয়ে কথা বলায়, তারপর সে বলে। যাতে তাপমাত্রাটা মাইনাসে নামে এবং পরে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। আমি যে হাই প্রেশারের রুগী এটা সে সব সময় মনে রাখে। বুঝলি?
– বুঝলাম !!!
০৩/০১/২০১৪, সকাল ১০.০০
২টি মন্তব্য
নীলকন্ঠ জয়
সুকান্তদা বৌদিকে ফোনটা না দিয়ে পারলাম না।
সোনেলায় স্বাগতম। -{@
সুকান্ত
ওকে !!!