
জলরাশি এসে ফিরে গেছে; শুকনো এখন বালুচর,
বালুচরে রোদ পোহাতে পারো দিনভর।
কিন্তু কতক্ষণ?
সী সিকনেস হতে পারে, হতে পারে ডিহাইড্রেশন।
মানুষকে যে ভিজতে হয় পরিমিত পরিমাণ !
ধূসর গোধূলি শপথ ভেঙে আঁধারে নামে,
আড়মোড়া দিয়ে সূর্যটা সাগরের গভীরে গিয়ে থামে!
প্রকৃতির অলিখিত নিয়মনীতি!
আমি শুধু শুনি ভাঙনের গীতি,
অসহনীয় ঝনঝন শব্দ দূষণ!
টের পাই শিরশির বেদনার অনুরনন!
বালুচরে রাত শীতের করাত,
অস্থিমজ্জা জমে মস্তিষ্কে হানে হাইপোথার্মিয়ার আঘাত!
আশ্চর্য হলে ও কেন যেন মৃত্যু হয়না!
প্রায় মৃত আমি সূর্যের দেখা পেলেই বেঁচে উঠি!
ফের শূন্য আসনে অভিষিক্ত হই।
হৃদয়ের পরাকাষ্ঠা ভেলায় ভাসান দেই,
চোখের কোণ ভিজে উঠছে পাচ্ছি টের!
শুনতে পাচ্ছি ছাইচাপা স্বর!
আহত চিতার গোঙানির মতো কিছু শিৎকার!
জীবনের রুঢ় খেরোখাতায় কিছু ভুল,
কিছু অপরিশোধ্য মাশুল।
কিছু তোলপাড় করা চুরমার স্মৃতির অবগাহন!
আমি শুধু কড়াগুলো উল্টো গুনি…
তিন,দুই, এক ।
দু’চোখ জুড়ে ঘুম নেমে আসুক।
৪টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
এ জীবন দেখছি আজরাইলের হাতেও যাবে না।
বাপরে বাপ এতোকিছুর পরও সূর্যের দেখা পেলেই বেঁচে যায়। জীবনের যত্ন বড্ড জরুরী। অপরিশোধ্য খাতার হিসাব পাতির দরকার নেই।
হালিমা আক্তার
পরিমিত আয়োজন আর নিয়মের বেড়াজালে জীবন বন্দী থাকতে চায়না। অযত্নের অবগাহনে ডুবতে মন চায়। শুভ কামনা রইলো।
নার্গিস রশিদ
সুন্দর প্রকাশ। অনেক শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ