
কে বলেছে তোমাকে ভালোবেসে কিছুই পাইনি?
এই যে এত অস্থিরতা, এত একাকিত্ব,সেকেন্ডে সেকেন্ডে দীর্ঘশ্বাস –
এসবই তো তোমারই কারণে।
তোমাকে ভালোবেসে আমার প্রাপ্তির খাতা শূন্য এটা ডাহা মিথ্যা কথা।
তোমাকে ভালোবেসে পেয়েছি হাজার বছরের বিরহ নিয়ে বেঁচে থাকার শক্তি।
তোমাকে বিশ্বাস করে ঠকেছি এটা যারা বলে,তারা ভুলই বলে বৈকি!
তুমি বিশ্বাস ভেঙ্গে না দিলে যে আমি জানতামই না, পৃথিবীতে কাউকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে নেই।
মানুষকে ঘৃণা করতে পারা,এ তো তোমার থেকেই দিব্যি শিখে নিয়েছি।
এখন কাউকে বিশ্বাস করার আগে শতবার ভেবে নেই।
এই যে এত চতুরতা;এইসব তো তোমার থেকেই শিখেছি।
তোমার শূন্যতা অনুভব করতে গিয়ে আমি ভালোবাসতে শিখেছি নিঃসঙ্গ চাঁদকে, ভালোবাসতে শিখেছি মেঘকে।
সন্ধ্যা নামলেই যে পাখিটা সঙ্গী হারিয়ে নীড়ে ফেরার পথ ভুলে আকাশে উড়তে থাকে, সেই আহত পাখিটার ব্যথা অনুভব করতে শিখেছি।
তোমাকে ভালোবেসে হয়তো তোমাকে পাওয়া হয়নি ঠিকই, কিন্তু এই যে তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায়, তোমাকে একটু স্পর্শ করার বাসনায়, অপেক্ষায় আর অবহেলায় পড়ে থেকে থেকে মানসিক ভাবে খুন হওয়ার পরও নিঃশ্বাস নিতে পারছি,এটাকে কি বেঁচে থাকা বলে না?
তোমার ঘন নিঃশ্বাস, চুলের গন্ধ, কিংবা ঠোঁটের কোণে মুঁচকি হাসি আগের মতো আর আমাকে মাতাল করতে পারে না এখন,যতটা মাতাল হই আকাশের জোছনা মাখা চাঁদ দেখে, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ শুনে।
তোমার বিরহে রাত জাগতে জাগতে এখন আমি রাতের প্রেমে হাবুডুবু খাই,রাতের জোনাকিরা আমাকে প্রেমপত্র বিলায়!
আর তাই তোমার থেকে নির্ঘুম রাতকেই এখন ভীষণ ভালোবাসি।
তোমাকে হারিয়ে, তোমার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছি,
শিখেছি প্রকৃতির মাঝে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে।
বার বার মরে গিয়েও বেঁচে থাকা তো তুমিই শিখিয়েছো।
কে বলে তোমাকে ভালোবেসে আমি কিছুই পাইনি?
৬টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার কবিতা পড়লেই মনে হয় একদম পাঠকের কথাগুলোই বলেছেন। এটাই হয়তো স্বার্থকতা লেখার।
যে যেমন করে আসুক,চলে যাক, যেটাই কিছু না কিছু ফেলে যায় আর সেটা ধরতে পারলেই তাকে ভালোবেসে বিরহের সুখ নিয়ে বেঁচে থাকা যায়। এটাই বা কম কিসে?
শুভকামনা রইলো। স্পেস কমিয়ে লিখবেন।
ফাহাদ মিয়া
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ। এখনই সংশোধন করে দিচ্ছি
আরজু মুক্তা
ভালোবাসার উল্টা পিঠ। অভিমানী বারতা। কেউ চলে গেলো। তার জন্য মন খারাপ কেনো? খুঁজে নিবো অন্যরকম ভালেবাসা প্রকৃতির কাছ থেকে।
শুভ কামনা সবসময়
স্বপ্নীল মেঘ
ভালোবাসার স্বার্থকতা এখানেই। সে যদি ছেড়ে না যায়, তাহলে ভালোবাসার নির্মমতা, ভুলে থাকার অসুখ কিংবা তাকে মনে করে এক বিকেল, এক সন্ধা নির্জনে কাটিয়ে দেয়ার মতোন সুখ পাওয়া হতোনা।
তাকে ধন্যবাদ শত মায়ার বন্ধন নিমিষেই ছিঁড়ে ফেলার জন্য। সে ভালো থাকুক।
অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। যেনো মনের কথা গুলো বিড়বিড় করে বলছেন। আরো লিখুন, ভালো থাকুন। শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
ভালোবাসার প্রাপ্তি একরাশ যন্ত্রণা বেদনাবিধুর সময় আর কিছু ফেলে যাওয়া স্মৃতি কথা। তবু আমরা ভালবাসি ভালবাসতে হয়। শুভকামনা।
হালিম নজরুল
ভালোবাসার উপাখ্যান