
পাড়হীন সাদা থান জড়িয়ে এক দিন- ক্ষন গুনে নিয়ে হাঁটতে থাকব। সাড়ে তিনহাত ছেড়ে হাঁটতে থাকব। মাটি ছেড়ে, বরই পাতার স্নান সেড়ে, কর্পূর আর লোবানের গন্ধ রেখে, খালি পায়ে হাঁটতে শুরু করব। পায়ের তালু ফেটে রক্তাক্ত চিহ্ন রেখে – যেতে যেতে যেতে– শুকনো মরা পাতাগুলোও উঁকি দিয়ে দেখবে….বৈধব্যের বেশে কে যায় অবশেষে!
ধুলিকণা ভিজে কঁকিয়ে উঠে কথা কয়ে উঠে বলবে-‘ সবুজ কাঠ, তুই বিবরে নিলিনা কেন ঠাঁই!’
চিকন ঠোঁটে রাবার বৃক্ষের কষ নিয়ে চোখের লাভা ছড়িয়ে হেঁটে যেতে থাকব মরুপ্রান্তর ছাড়িয়ে।
বিষুবীয় রেখা পর্যন্ত খসে যাবে যাবতীয় লহু আর কাঠামোগত যত অববয়বের উপমা।
মাটিতে হবেনা সমাপ্তির ঠিকানা।
পৃথিবী যজ্ঞে নামধারীদের মিছিলে বলী হতে থাকা কোমলতার ঠাঁই নেই– কোথাও কোনো সাক্ষি সাবুদের স্বাক্ষর নেই….
মাধবীলতার শরীর শুধু বেতকাঁটায় ফুটে ওঠে থোকা থোকা চিহ্ন।
কিছু কিছু ধুলোদের নাম হয় না।
মুছে যায়না ডাকনামের কেচ্ছা।
শুন্য করতলে শুন্যতাই রয়ে গিয়ে ফিরে আসে বুমেরাং হয়ে। একা চলতে চলতে যে পথের আলো খুঁজতে বেরিয়ে ছিলো হাতি ডোবা শির্ণ নদী!
সমুদ্রে গিয়ে পিপাসা ভুলে তৃষ্ণা নিয়েছিলো কিনে আজন্মাবধি।
কড়ি খেলতে খেলতে পাশা খেলে যে যুধিষ্ঠির হারিয়েছে দ্রৌপদীর নোলক! তারে দোষে কে আর কতটা হয়ে বিচারক!!
মাটিতে নেবনা ঠাঁই,,,,এই বলে গেলুম!
পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে দিয়ে যাব চিহ্নগুলো শুধু….
সমস্ত দাগ পড়া আয়নাগুলো ভেঙে চুর চুর হয়ে যাক, কারো মুখ আর কেউ যেন না দ্যাখে সে কাঁচে।
যে কাঁঁচ সত্য বলে না, শুধুই মুখোশ রাখে তাতে….
৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ আবেগময় এক অনুভূতির ছোঁয়া প্রকাশ করেছেন লিপি আপু ভাল থাকবেন
বন্যা লিপি
আপনাকেও আল্লাহ্ ভালো রাখুন। শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
“সমুদ্রে গিয়ে পিপাসা ভুলে তৃষ্ণা নিয়েছিলো কিনে” অসাধারণ সৃজন। মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল।
বন্যা লিপি
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।
সর্বময় মঙ্গল কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
আজকাল সবেতেই কাঁচ,
যতক্ষণ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা যায়, ততক্ষণ শোভা ছড়ায়,
ভেদ করে গূঢ় সত্যি জানলেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।
বরাবরই ভালো লিখ।
শাব্দিক না বুঝলেও ভাবের তরঙ্গ ঠিকই দুলে উঠছে।
বন্যা লিপি
ভাষারা যখন বোধহীন তোলপাড় তোলে অতল গহীনে!
আমি ঠিক তার চারপাশ ধীরলয়ে হেঁটে ফিরে আসি দেয়ালের এই ভেতরে…..
ভালবাসা খাঁটি হোক সর্বস্তরে।
জিসান শা ইকরাম
কল্পনায় কত কিছু ভাবি আমরা, ঘটমান বর্তমানে যার অমিল খুব।
এমন কাঁচ আমরা চাইনা, যে সত্যি বলে না।
একান্ত অনুভুতি ভালো হয়েছে।
বন্যা লিপি
অনেক অনেক দিন পর এলেন!!! আর কিছু না হোক এই উঠোন বাড়ি জিবীত রাখার দায়িত্বটুকু তো পালন করবেন!!! না হলে লেখা টেখা কারোই এগোচ্ছে না।