
আসুন কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস করি
কুরআন তেলাওয়াত আপনাকে আলোকিত করবে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ তেলাওয়াত আপনাকে পরিচ্ছন্ন ও উদার মানসিকতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে তাকে কোন সন্দেহ নাই। শুধু সাওয়াবের উদ্দেশ্যেই কুরআন তেলাওয়াত নয়। যেহেতু যেকোন অবস্থায় যে কোন সুরতে তেলাওয়াত করা হোক না কেন সাওয়াব হতেই থাকবে সেহেতু ব্যক্তিগত জীবনে প্রার্থীব উন্নতি সাধন, আত্নার শুদ্ধিকরণ, ধারাবাহিক জ্ঞান চর্চার উৎস হিসাবে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের কোন বিকল্প নাই।
প্রিয় ভাইবোনগণ, এই ব্লগে সকলে মানবিক বিষয়ে অনেক ইতিবাচক-সেটা লক্ষ করেছি। তাই এখানকার সকলকে ভাল লাগে। কারো সাথে ব্যক্তিগত স্বার্থ-সম্পর্ক না থাকলেও সকলকেই কাছের ও আত্নার বলেই মনে হয়। এভাবেই মনে হয় মতের মিল মানুষকে দূর থেকে কাছে নিয়ে আসে। আত্নার সাথে আত্নার বন্ধন তৈরী করে দেয়। কতো সুন্দর করে এই ব্লগে আমরা একে অপরের পাশাপাশি আছি। এভাবে মহান আল্লাহর জান্নাতেও আমরা এক অপরের পাশাপাশি থাকবো ইনশাআল্লাহ। আদম সন্তান ও দয়াল নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর উম্মত হিসাবে আমরা একে অপরের ভাইবোন। তাই আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকলেও মূল যেন ঠিক থাকে সেদিকে লক্ষ্ রাখতে হবে। আমাদের কথা-কাজ, মন্তব্য যেন কোরআনোর সাথে সাংঘর্ষীক না হয়ে বরং সেগুলোর উৎসমূল যেন কোরআন হয় সেদিকটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
তাই, ভালবাসার দাবী হতে, ভাই বোনের সম্পর্কের পবিত্রতা হতে সকলের প্রতি আহ্বান আসুন! প্রতিদিন পবিত্র কুরআন হতে কিছু পরিমাণ তেলাওয়াতে অভ্যস্থ হই। আজ থেকে এখন থেকেই সেই শুভ সূচনা হোক। অভ্যান না থাকায় প্রথম প্রথম জড়তা আসলেও কয়েক দিনের মধ্যেই সেটা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তারাও কুরআন পড়ুন, কুরআনের ম্যাসেজ বুঝার চেষ্টা করুন। আপনি দুনীয়া ও পরকালের মুক্তির জন্য আপনার করণীয় নির্দেশনা পেয়ে যাবেন। ভয় নেই! কুরআন পড়লেই আপনি মুসলমান হয়ে যাবেন না বরং আপনার আত্না সত্যানুসন্ধানে উৎসুক হবে। সত্যের পথে থাকতে সহায়ক হবে। সকলকে ধন্যবাদ, শুভ কামনা সবার জন্য।
৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
খুরশীদ ভাই, আমি খুব চেষ্টায় আছি আরবি শিখার জন্য। বাংলা উচ্চারণ আমি একেক বইয়ে একেক রকম পাই তাতে ভয় হি যদি ভুল হয়। আর আরবি আমি পড়ত৪ই ভয় পায়। পারিনা। আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন যেন অতি শীঘ্রই তা পড়তে আল্লাহ সক্ষম করে। আত্র ইচ্ছা তাছাড়া আমার পড়া অসম্ভব।
মোঃ খুরশীদ আলম
আরবি শেখার প্রতি আপনার আগ্রহ আমামে মুগ্ধ করেছে। আরবী শিখার আগে আপনাকে ধৈর্য্য ধরে কয়েকটি কাজ ধাপে ধাপে করতে হবে। সেগুলো হল।
► যেহেতু নামাযে কেরাত পড়া ফরজ আর সূরা অশুদ্ধ হলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায় সেজন্য 5 ওয়াক্ত নামাযে শুদ্ধভাবে সূরা পড়ার জন্য আগে সূরা ফাতেহা থেকে সূরা ফিল পর্যন্ত সূরাগুলো সহিহ শুদ্ধ করে মুখস্ত করে ফেলুন।
► এর পর নামাযের দৈনন্দিন মাসয়ালা মাসায়েলগুলো পড়ে পড়ে শিখে ফেলুন। যেমন- অযুর ফরয, নামাযের ফরজ, তায়ুম্মুমের ফরজ, নামাযের ওয়াজিব, নামায ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি।
এটুকু শেষ করার পরে আপনি আরবি শিখার কাজে হাত দিন। প্রথমে কায়দা, তারপর আমপাড়া, তারপর নির্বাচিত সূরাসমূহ শেষ করুন।
এটুকু সফলভাবে শেষ করার পরে আপনি আরবি শব্দার্থ ও গ্রামার পড়ে পড়ে ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হোন। ইনশাআল্লাহ কামিয়াব হবেনই।
তবে একটা কথা আবশ্যই মনে রাখতে হবে, যে কোন কাজ ভালভাবে আয়ত্ব করতে হলে ওস্তাদের কিন্তু কোন বিকল্প নাই। সেজন্য যে কোন একজন আলেমের স্মরণাপন্ন আপনাকে হতে হবে। ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপ্রাণ চেষ্টা করব ভাইসাব। দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন সেঈ তৌফিক দেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহর ইচ্ছা তাছাড়া আমার পড়া অসম্ভব।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর আহ্বান চেষ্টা করি————–
ফয়জুল মহী
আমাদের অর্থসহ কোরান পড়া উচিত। সাচ্ছা মানবিক মানুষ সই
মোঃ খুরশীদ আলম
প্রথম মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা বলা হয়েছে তা আমার আপনার সকলের জন্য অনুকরণীয়। সেভাবে করতে পারলে কামিয়াবি নিশ্চিত। ধন্যবাদ মাহী ভাই।
আরজু মুক্তা
অর্থ জেনেই কোরআন পড়া উচিত। অনুবাদ করলেই বোঝা যায় কতো মহিমান্বিত এই কোরআন