ধ্যাত্তেরি কাকটা আর যায়গা পেলোনা আমার গায়েই ইয়ে করতে বলেছে আর করেছে তো করেছে আবার কা কা করে বলল “তোর গায়ে শালা ইয়ে করলাম, এখন বসে বসে তাই দেখ পারলে তোর পাতা দিয়েই মুছে নিস”, কত বড় বেয়াদব দেখেছেন? প্রায় সময় আমার গায়ে বুলবুলি, কোকিল, দোয়েল, টিয়ে, ফিঙ্গে, চড়ুই বাবুই আসে আর কেউ বসে গান গায় আর কেউ পোকা মাকড় ধরে খেয়ে আমাকে বিপদ মুক্ত রাখে আবার কেউ কেউ বাসাও বানায় আমার ঢালে আর যখন ডিম ফুটে সুন্দর সুন্দর বাচ্চা ফুটে টিউ টিউ করে ডাকে তকন আমার মনটা আনন্দিত হয় কিন্তু আমার সব চেয়ে বড় দুশমন ওই মানুষগুলো, তারা এত বদ যে কি বলব, আমার জম্ম এই বনে যেখানে আমার অনেক বন্ধু ছিল, আমরা সবাই গা গেসাগেসি করে থাকতাম, ঢাল দুলিয়ে দুলিয়ে একে অপরকে আদর করতাম, খেলতাম ভালোবাসতাম কিন্তু মানুষ, মানুষ আমার বন্ধুদের কেঁটে কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে আর আমি হচ্ছি বন্ধুহারা, তারা আমার বন্ধুদের কেঁটে নিয়ে আসবাবপত্র বানাচ্ছে, কাউকে জ্বালানি হিসাবে জ্বালাচ্ছে, আমাদের কেঁটে মেরে সাফ করে দিচ্ছে কিন্তু তারা জানেনা প্রকারন্তরে তারা নিজেদেরকেই তারা শেষ করে দিচ্ছে কারণ তারা আজ যে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে তা আমাদের কারনেই নিতে পারছে কারন তারা যে নিশ্বাস ছাড়ে তা কার্বনডাই অক্সাইড আর তা আমরা খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে আমরা অক্সিজেন হিসাবে নির্গগত করছি যা তারা নিয়ে আজ নিশ্বাস নিতে পারছে, যদি আমরাই নাই থাকি তাহলে চিন্তা করে দেখুন মানুষ কি পেতো, মানুষ কি নিশ্বাস নিতে পারতো? আমাজন বনের কথায় ধরুন, আমাজন বন হোল এই ধরীত্রির ফুসফুস আর এই ফুসফুসকেও ওরা ছাড় দিচ্ছেনা সব বন বাদাড় কেঁটে সাফ করে দিচ্ছে, আরও আছে আরও আছে, যেমন ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়ার বনতো এখন প্রায় উজার, বন কেঁটে সাফ আর বাকি যা আছে তাও আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় কারন সেখানে পামের চাষ হবে যা পরিবেশের জন্যও বিপদজনক। এছাড়া আমাদের এমন কিছু জাতি আছে যাদের পাতা, ঢাল, ফুল আর ফলে আছে ঔষধি গুন, আমাদের কাছ থেকে মানুষরা আজকের এন্টিবায়োটিক পায় যা তাদের জন্য সব রীগ প্রতিরোধে কাজে আসে কিন্তু এতো কিছুর পরও তাদের লোভের কারনে আমরা আজ বিপদগ্রস্ত আর শুধু কি আমরা মানুষরাও আজ আমাদের মত বিপদগ্রস্ত, আমরা না থাকলে তারা অক্সিজেন পাবেনা, পাবেনা ঔষধ, না থাকবে পাক পাখালি, না থাকবে পোকামাকড়, তাদের বুঝা উচিত আমাদের ছাড়া তারা অচল, তারা মৃত।
আরে আরে করে কি করে কি, দেখছেন দেখছেন মানুষরুপি হারামীরা এখন আবার এসেছে আর এখন আমার উপর চোখ পড়েছে, আ আ ব্যাথা পাচ্ছি আহ কেঁটে ফেললোরে আমারে, মেরে ফেললোরে, মর মর তোরাও মর আমাদের সাথে সাথে এইটাই তোদের শাস্তি, প্রিয় পাখিরা তোমরা ভালো থেকো।।
১৫টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
পরিবেশ পরিচিত সমাজ পড়লাম। ছোটদের উপযোগী করে লেখাটা বেশি সুন্দর হয়েছে।
ইনজা
বড়দের উপযোগী কি নয় বন্ধু, আমরা বড়দের প্রথমে জানা ও বোঝা উচিত আমরা কি করছি আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজর্মকে কি উপহার দিয়ে যাচ্ছি?
আবু খায়ের আনিছ
ছোটদের উপযোগী অথাৎ বড়দের জন্য আরো অধিক সহজতর।
অবশ্যই আমাদের চিন্তা করা উচিৎ আমি আমার পরবর্তী প্রজন্মকে কি দিয়ে যাচ্ছি।
ইকবাল কবীর
ভালো হয়েছে আপনার লিখা, শুভ কামনা থাকল আপনার জন্য।
ইনজা
নিরন্তর ধন্যবাদ ভাই।
খসড়া
লেখা ভাল হয়েছে। পড়তে পড়তে হরলাল রায়ের রচনা বইয়ের কথা মনে পড়ে গেল।
কিন্তু বানানের প্রতি মনযোগী হন।
ইনজা
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আর দুঃখিত আমার বানান নিয়ে আর লজ্জাবোধও আছে কারন ছোটবেলা থেকেই বাংলা চর্চা খুবই কম ছিল বিধায় বানানে ভুল থাকে আমার আর এই অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
ব্লগার সজীব
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন লেখা। জানার আছে অনেক কিছু। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইনজা
ধন্যবাদ অবিরাম। 🙂
লীলাবতী
মেনে নিতে হয় কতকিছু আজকাল। ক্ষমতাবানদের আচরনে বুঝিয়ে দেন যে আমরা বেঁচে আছি এটিই আমাদের ভাগ্য। ভাল লেগেছে লেখা।
ইনজা
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা অপরিসীম আপু, ভালো থাকবেন। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই ভালো লেগেছে। 🙂
ইনজা
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা অপরিসীম। 🙂
মৌনতা রিতু
বাস্তবতা। আমাদের ভবিশ্যত প্রজন্ম কতোটুকু এসব উপলব্দি করবে এটিই দেখার বিষয়।
খুবই ভাল হয়েছে লেখা।
ইনজা
ভবিষ্যৎ বংশধরদের শিখানো আমাদেরপি দায়িত্ব আর তাদের শিখানোর কারনেই তাদের উপলব্ধি গভীর হবে, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। 🙂