
“আমি তোমার জন্য এসেছি -(পর্ব-৬০)
পাপা মিষ্টি আন্টি চলে যাচ্ছে ওনাকে এগিয়ে দিচ্ছি।ওরে বাবা আমার ছেলেটা দেখি বেশ দায়িত্ববান হয়ে গেছে বলেই আরাফ হা হা হা হা করে হেসে দিল।তারপর শ্রেয়ার দিকে ফিরে হাঁটা শুরু করলো, প্রিয়া পিচন ফিরল চিনতে পারল না।তবে আরাফের পিচনের মাথার কুঁকড়ানো কাঁধে পড়ে থাকা চুল গুলো বলে দেয় এটা গুন্ডা ছেলে আরাফ।
হাঁটার স্ট্যাইলটা বলে দেয় এটা সেই আরাফ যার সাথে প্রিয়া হেঁটে যেত নিভয়ে। যার দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি প্রিয়াকে করে তুলে ছিলো পিচ্চি প্রিয়া।প্রিয়া এমন মনে করে কষ্ট বাড়াতে চায় না, আজ সবকিছু অতীত প্রিয়া পা বাড়িয়ে সামনে তাকায়। আরাফ এসে শ্রেয়ার পাশে দাঁড়ায় প্রিয়ার দিকে তাকাল দূর থেকে মুখটা ভালো দেখতে পারছে না।তবে গোলাপি রংয়ের শাড়ীটা অনেক কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে। পিচ্চি প্রিয়া হয়ত এমন বড় হয়ে গেছে আর ছোটটা নেই।আরাফ ভাবতে ভাবতে অমিকে দেখে অচেনা একটা মানুষের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে বড্ড মায়ায় পড়েছে ছেলেটা।আরাফ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোহানের মাকে প্রশ্ন করে। আন্টি আমার বোনটা মিতু বউ হিসাবে কেমন?আলহামদুলিল্লাহ্ বাবাজী।
তোমার বোন কি কখনো খারাপ হতে পারে! মিতু আমার বাড়ির লক্ষী গত দুইদিনে ওর ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ।মিতু মুচকি হাসে,আরাফ মিতুকে প্রশ্ন করে, বাবা মায়ের জন্য মন খারাপ?মিতু লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে একটু।আরাফ মিতুর মাথায় হাত রেখে বলে মন খারাপ করো না বোন এখানে সবাই তোমাকে ভালোবাসে। আন্টি,আঙ্কেল খুব ভালো মানুষ ছোটবেলা থেকেই খুব কাছ থেকে দেখেছি।
মিতু একটা কথা মনে রেখো তুমি কাউকে যতটুকু দিবে তা দ্বীগুন ফিরে পাবে।এটা তোমার পরিবার সবাইকে ভালোবেসে আপন করে নিবে দেখবে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে।আর এই ভাইয়া তো আছে তোমাকে দেখে রাখার জন্য বলেই মুসকি হাসল আরাফ। জানি ভাইয়া আপনার মতো ভাই পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার সত্যি আমি সৌভাগ্যবতী আপনার মতো মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি।
নারে পাগলি জীবনটা কতক্ষন বলো, যতটা পারি সবার সাথে ভালো আচরনটা করার চেষ্টা করি।শোন তুমি কাউকে খাইয়ে,পড়িয়ে, সন্তুষ্ট করতে পারবে না।কিন্তু একটু সহযোগীতা, একটু ভালোবাসা,ভালো ব্যবহার দিয়ে দেখবে সারাজীবন তোমাকে মনে রাখবে।মিতু সুযোগ বুঝে বলেই ফেলল আরাফ ভাইয়া, আমার ফুপাত বোন আপনাকে দেখতে চাইছিলো।আপনার প্রশংসা শোনে।
আরে বাহ্ আমার এত প্রশংসা কে করেছে তা বলো শুনি! জিসান ভাইয়ার বউ আমার ভাবী, আমার বান্ধবী মাধবী,পিংকি,আমার আব্বু,আম্মু বিয়ে বাড়ির প্রায় সবাই বলছে। আপনি খুব সুন্দর এবং খুব ভালো মানুষ, আসলে ভালো মানুষ গুলো খুব তাড়াতাড়ি সবার নজর কাড়ে।আরাফ মাথা নিচু করে সবার প্রশংসা গ্রহন করে মুগ্ধ হয়।ভাইয়া আপ্পির কাছে আপনার প্রশংসা শোনছে কখনো দেখে নাই।ওহ্।তাই আপনাকে দেখতে চাইছিলো।
ও তিনি কোথায় চল দেখা করে আসি বলেই আরাফ বাসার দিকে মুখ করে দাঁড়াল।ভাইয়া ওরা বাসায় নেই এই মাত্র চলে যাচ্ছে,সো সেড দেখাটা হলো না।চিন্তা করো না আমাদের আবার দেখা হবে,শ্রেয়া বাসায় চল।প্রিয়া সামনে হাত বাড়িয়ে বলে আরাফ ভাইয়া অমির হাত ধরে যে মেয়েটা যাচ্ছ সেই আমার ফুপাত বোন প্রিয়া আপ্পি।
প্রিয়া! বলেই আরাফ মিতুর দিকে তাকায় ওর নাম প্রিয়া???বাহ্! চমৎকার নাম, জানো মিতু নামটা আমার ভিষন প্রিয় বলেই শ্রেয়ার দিকে তাকায়।শ্রেয়া মোন হাসি দিল সেও নামটার সাথে পরিচিত বহু দিন ধরে।হ্যাঁ, ভাইয়া।ওনার নাম পাপিয়া জাহান প্রিয়া।আরাফ প্রশ্ন করে বাড়ির গেইটের আর্ট যে মেয়েটা করেছিলো সে এই প্রিয়া???হ্যাঁ ভাইয়া।
আরাফ অবাক হলো পিচ্চি প্রিয়া তো ছোটবেলা খুব ভালো ছবি আঁকতে পারতো!আরাফ ভাবলো এই মেয়েটার সাথে বিয়ে উপলক্ষে কয়েকবার দেখা হলো অথচ মুখটার দেখতে পারলাম না।নিজেকে সবার থেকে আড়ালে রাখে কেন! আর ওর নাম শোনলেই আমার বুকের ভিতরে চিন চিন ব্যাথা করে! কে এই প্রিয়া আমাকে জানতেই হবে।প্রিয়া সম্পর্কে জানার কৌতুহল বাড়ে আরাফের,
আরাফ সামনে চেয়ে দেখল প্রিয়া অমির হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে হাতে চুঁড়ি মানে প্রিয়া হাতে চুঁড়ি পড়তো।আরাফ উক্তেজিত ভাবে প্রশ্ন করে মিতু তোমার ফুপির শ্বশুর বাড়ি কোথায়???মিতু অবাক হয় আরাফ ভাইয়া এত প্রশ্ন করছে কেন! মানুষটা পাগল হলো নাকি!আচ্ছা তুমি এতকিছু জেনে কি করবে শ্রেয়া আরাফকে প্রশ্ন করে।দরকার আছে শ্রেয়া তুমি চুপ থাকো, মিতু তুমি বলো প্লীজ।
মিতু বলতে শুরু করে মিরা ফুপির শ্বশুড় বাড়ী ময়মনসিংহ শহরে বর্তমানে প্রিয়া আপ্পি ম্যাজিস্ট্রেট তাই ফুপিরা ঢাকা থাকে।আরাফ চমকে উঠে প্রিয়ার মায়ের নাম মিরা!!আরাফ বলতে থাকে মিতু,প্রিয়ার বাবা কি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন???হ্যাঁ ফুপাজী অবসর নিয়েছেন এখন ফুপিকে নিয়ে প্রিয়া আপ্পির সাথে ঢাকায় থাকে মতিঝিলে।আরাফ চিৎকার করে ওঠে আমার পিচ্চি প্রিয়া!
মিতু প্রশ্ন করে আপনি আপ্পির গুন্ডা ছেলে আরিয়ান চৌধুরী আরাফ?হ্যাঁ মিতু! পিচ্চি প্রিয়া আমাকে গুন্ডা ছেলে বলেই ডাকতো আমি জাপান চলে যাবার পর আর যোগাযোগ হয়নি…!মিতুর চোখে আনন্দের অশ্রু আপ্পির ভালোবাসার অপেক্ষা শেষ হলো। কিন্তু প্রিয়া আপ্পি কি পারবে আজকের এই পরিস্থিতিটা মেনে নিতে।
আমার পিচ্চি প্রিয়া আসছে বলেই আরাফ শ্রেয়ার দুহাত জড়িয়ে ধরে চোখে আনন্দের অশ্রুর ঢলমল করছে।শ্রেয়া তুমি তো সবটা জানো নতুন করে আর কি বলবো বলো! আমি পিচ্চি প্রিয়াকে ১বার দেখার জন্য, জাপানের সব ছেড়ে চলে আসছি।শ্রেয়ার চোখেও পানি জীবনে এমন একটা সুন্দর মুহূত্বের সাক্ষী হতে কে না চায়! শ্রেয়া চোখে ইশারা করে বুঝাল আরাফ তুমি যাও।
বেগম ফরিদ কিছুই বুঝতে পারছেন না এখানে কি কথা হচ্ছে, তবে সবার আনন্দ দেখে তারও ভালো লাগছে।তাহলে বেয়াই সাহেব বলেই আজাদ ফরিদ সাহেবের সাথে হ্যান্ডসেক করলেন, শেখার সাহেবও হাত মিলালেন।বাসায় পৌঁচ্ছে অবশ্যই জানাবেন আপনার শরীরের কি অবস্থা বললেন আজাদকে উদ্দেশ্য করে।আচ্ছা বেয়াই সাহেব বলেই আজাদ মাইক্রোবাসে ওঠে বসল মিরার পাশে।
শেখর সাহেব বসে আছেন সাথে বড় মামী বসে বাইরে দেখছেন পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবি ডুবি অবস্থা।প্রিয়া মা এবার আসো অমিকে বিদায় দাও জিসান বউমাকে ফোন করেছিলে?হ্যাঁ মা ওরা ঠিক মতো বাসায় পৌঁচ্ছে জেমীর মা আর মেজ চাচী রাতের রান্না বসিয়ে দিয়েছে।প্রিয়া অমিকে আদর করে বিদায় দিল, তোমার পাপা, মমকে নিয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে যেও অনেক চকলেট দিব।
ওকে মিষ্টি আন্টি আমি তোমাকে দেখতে যাব, তোমাদের বাসায় যাব। বলেই এক দৌঁড়ে অমি ফরিদ সাহেবের হাত ধরে রাস্তার অপর পাশে গিয়ে দাঁড়াল।প্রিয়ার মনের অস্তিরতা যেন কমছিলো না মন বার বার বলছিলো পিচ্চি প্রিয়া যেও না তোমার গুন্ডা ছেলে এখানেই আছে।কিন্তু কোথায় আজ সারাদিনেও তো তার দেখা পেলাম না তাহলে মন কেন বার বার মিথ্যা শান্তনা দিচ্ছে। একটা অদৃশ্য ছায়া চোখের সামনে হারিয়ে গেল, একটা পরিচিত কন্ঠস্বর কানের কাছে এসেও থেমে গেল প্রিয়া তাকে খোঁজেও পেল না।
আচ্ছা আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি! তাহলে কেন বা আজ গুন্ডা ছেলেকে এতটা মিস করছি। ভাবতে ভাবতে প্রিয়া গাড়িতে পা রাখে পিচন থেকে সেই পরিচিত কন্ঠ! পিচ্চি প্রিয়া!
প্রিয়ার হাত পা কাঁপতে থাকে সেই পরিচিত কন্ঠস্বর।আরাফ চিৎকার করে আবার ডাকলো পিচ্চি প্রিয়া আমি আরিয়ান চৌধুরী আরাফ। এবার প্রিয়ার পা যেন আর নাড়াতে পারে না সে কি শুনল আরাফ! প্রিয়া গাড়ি থেকে পা নামিয়ে নেয় আরাফ বলেই পিচন ফিরে তাকায়।জিসান প্রিয়াকে গাড়িতে ওঠার জন্য তাড়া দিতে থাকে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে প্রিয়া গাড়িতে ওই। প্রিয়া চেয়ে দেখল একটু দূরে মিতু,শ্রেয়া, আন্টি দাঁড়িয়ে আছে তার সামনেই দাঁড়িয়ে আরাফ ডাকলো পিচ্চি প্রিয়া “আমি তোমার জন্য এসেছি” বলেই আরাফ তার দুহাত বাড়িয়ে দিল! প্রিয়া সামনে তাকায় ফর্সা একজন মধ্য বয়সের লোক দাঁড়িয়ে আছে।
ফিরোজা রং এর পাঞ্জাবী পড়া মুখটা ঠিক গুন্ডা ছেলের মতো প্রিয়ার ভাবনায় আটকে যায়।গুন্ডা ছেলে বলেই প্রিয়া দৌড়ে গিয়ে আরাফের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরাফ পরম স্নেহে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কারো মুখে কোন কথা নেই চারপাশে সবাই নিরব দর্শক।প্রিয়া বাচ্চাদের মতো আরাফের সার্টের ক্সলার ধরে বুকে জড়িয়ে থাকে তার কান্না যেন আর থামছিলো না।
……চলবে।
২৫টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চরম ভালবাসা এরকম হয় আবার হয় না
বরাবরি সুন্দর লেখছেন আপু——————-
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
সব ভালোবাসা এরকম হয় না এটা ঠিক তবে কিছু ভালোবাসা এভাবেই পূর্ণতা পায়।
তবে আরাফ প্রিয়া এই সুখ কতক্ষন স্থায়ী হয় সেটাই দেখার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে।
কৃতজ্ঞতা রইল দাদা সুন্দর মতামতে মৃগ্ধ হলাম।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
আলমগীর সরকার লিটন
সবই ভাগ্য সবার কপালে ত সবসহ্য না
সুরাইয়া নার্গিস
হুম, বিয়েটা উপরওয়ালার হাতে তাই মানুষ চাইলেও সব সময় পায় না।
নিতাই বাবু
অহ্ আচ্ছা! তাহলে আরিয়ান চৌধুরী আরাফই শেষমেশ জাপান থেকে পিচ্চি প্রিয়ার জন্য এসেছে? বাহ্ চমৎকার উপভোগ্য এক ভালোবাসার গল্প। সত্যি খুব সুন্দরভাবে মিলিয়ে যাচ্ছে, আপনার কাঙ্ক্ষিত সিরিয়াল, “আমি তোমার জন্য আসেছি”।
ভালো লাগলো, শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
নিতাই বাবু
হবে “আমি তোমার জন্য এসেছি”
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
উপন্যাসের শুরু থেকে ভাবছিলাম শেষ
পর্যন্ত ভালো লাগার রেশটুকু থাকবে তো!
আলহামদুলিল্লাহ্ সবার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমি পেরেছি। কৃতজ্ঞতা রইল দাদা আপনার সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম।
সবটা আপনাদের দোয়া উপন্যাস এগিয়ে চলছে, দেখা যাক পরের পর্ব কি ঘটে।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল দাদা
ফয়জুল মহী
অসাধারণ চয়ন
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।
বরাবরের মতো সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম। সুখ,দুঃখ মিলিয়ে মানুষের জীবন দেখা যাক পরের পর্বে গল্পের মোড় কোনদিকে ঘুরে যায়।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
সুরাইয়া নার্গিস
সমস্যা নেই দাদা টাইপিং ভুল আমি বুঝতে পেরেছি।
খাদিজাতুল কুবরা
আরাফ প্রিয়ার মিলন দারুণ রোমাঞ্চকর হয়েছে।
ভালো লাগলো বেশ।
শুভেচ্ছা রইল আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ আপু।
উপন্যাসের শুরু থেকে চিন্তায় ছিলাম শেষটা সুন্দর ভাবে মিলাতে পারব তো! যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে বুঝতে পারলাম।
গল্প ভালো ভাবেই এগুচ্ছে আর এটাই একজন লেখকের স্বার্থকথা।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
সুপায়ন বড়ুয়া
গুন্ডা ছেলে বলেই প্রিয়া দৌড়ে গিয়ে আরাফের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরাফ পরম স্নেহে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না যেন আর থামছিলো না।
আনন্দের কান্না থামতেই চায় না।
সুন্দর শেষ করলেন।
ভাল লাগলেন। শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম, প্রতীক্ষার প্রহর মিষ্টি হয় আরাফ প্রিয়ার মিলনক্ষনটা তার প্রমান।
তবু অনিশ্চিত জীবনের বাঁকে এই সুখ কতক্ষন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
শ্রদ্ধেয় দাদা উপন্যাসে “জিসান ভাইয়ার নাম আগেই আসছে, সামনের পর্বে আপনার নামটা ব্যবহার করবো অনুমতি চেয়ে রাখছি।
সত্যি বলতে উপন্যাসটা ৬০ পর্ব পর্যন্ত পার করতে পারবো কখনো কল্পনা করি নাই।
কিন্তু আপনাদের উৎসাহ্ আমাকে আরো কয়েক পর্ব লেখার অনুপ্রেরনা দিচ্ছে।
দোয়া রাখবেন দাদা শেষটুকু যেন সবার ভালোবাসায় সমাপ্ত করতে পারি।
ভালো থাকবেন দাদা,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
দেখব আমার নাম
আমি খুশিতে আটখান।
ধন্যবাদ আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় দাদা।
উপন্যাসের শুরু থেকে আপনি আমার লেখা প্রতিটা লেখা পড়ে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
সেই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে আমার লেখায় আপনার নামটা ব্যবহার করতে পেরে আমিও খুব খুশি ☺
ভালো থাকুন দাদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাপরে শেষপর্যন্ত দেখা করালেন অনেক ঘাটের জল ঘেঁটে। এই দিনটার অপেক্ষায় এতো দিন ছিলাম। খুব ভালো লাগলো। একবার ভেবেছিলাম দেখা না করিয়েই শেষ করবেন মনে হয়। খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি।
আমি চেয়েছিলাম আগেই আরাফ,প্রিয়ার দেখা করাতে কিন্তু গল্পটা সাজাতে একটু সময় লেগেছে।
তাই শেষের দিকে দেখাটা হলো তবে জানি না এই খুশিটা কতক্ষন স্থায়ী থাকবে।
দিদি গল্প নায়ক,নায়িকার পরিচয় দেখালাম শেষ দেখা না করিয়ে শেষ করবো না ☺
অপেক্ষা করুন আরেকটা চমক সামনে আছে।
শ্রদ্ধেয় দিদি আগামী পর্বে হয়ত উপন্যাসের কোন একটা চরিত্রে আপনার নাম থাকবে, তাই আগেই অনুমতি চেয়েনিলাম।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা রইল।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওয়াও। তাই নাকি! আমি তো খুশিতে টগবগ করছি। ধন্যবাদ আপু 💓🌹
সুরাইয়া নার্গিস
দিদি ভাই উপন্যাসের শুরু থেকে আপনি সব গুলো পর্ব পড়ে আমার পাশে ছিলেন। এটা ব্লগ জীবনের আমার সেরা পাওয়া শুরু থেকেই আপনার স্নেহ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি।
একটা পর্যায়ে মনে হলো আপনাকে একটা চরিত্র রাখবো তাই রাখলাম আপনার খুশি দেখে আপ্লুত হলাম দিদি।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম, প্রতীক্ষার প্রহর মিষ্টি হয় আরাফ প্রিয়ার মিলনক্ষনটা তার প্রমান।
তবু অনিশ্চিত জীবনের বাঁকে এই সুখ কতক্ষন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
শ্রদ্ধেয় দাদা উপন্যাসে “জিসান ভাইয়ার নাম আগেই আসছে, সামনের পর্বে আপনার নামটা ব্যবহার করবো অনুমতি চেয়ে রাখছি।
সত্যি বলতে উপন্যাসটা ৬০ পর্ব পর্যন্ত পার করতে পারবো কখনো কল্পনা করি নাই।
কিন্তু আপনাদের উৎসাহ্ আমাকে আরো কয়েক পর্ব লেখার অনুপ্রেরনা দিচ্ছে।
দোয়া রাখবেন দাদা শেষটুকু যেন সবার ভালোবাসায় সমাপ্ত করতে পারি।
ভালো থাকবেন দাদা,
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আমাদের সামাজিক পারিবারিক বন্ধনটা যদি এমন হতো —“মিতু একটা কথা মনে রেখো তুমি কাউকে যতটুকু দিবে তা দ্বীগুন ফিরে পাবে।এটা তোমার পরিবার সবাইকে ভালোবেসে আপন করে নিবে দেখবে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে।আর এই ভাইয়া তো আছে তোমাকে দেখে রাখার জন্য বলেই মুসকি হাসল আরাফ। জানি ভাইয়া আপনার মতো ভাই পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার সত্যি আমি সৌভাগ্যবতী আপনার মতো মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি”।
ভালো থাকবেন। প্রীতিময় শুভেচ্ছা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজান।
সমাজে এখনো কিছু পরিবারের পারিবারিক বন্ধন এমনি অটুট ভালোবাসায় বাঁধা আছে।
উপন্যাসের শুরু থেকে চিন্তায় ছিলাম শেষটা সুন্দর ভাবে মিলাতে পারব তো! প্রতিটা পর্বে আপনার উপস্থিতি, আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে বুঝতে পারলাম।
গল্প ভালো ভাবেই এগুচ্ছে আর এটাই একজন লেখকের স্বার্থকথা, কৃতজ্ঞতা জানাই ভাইজান।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটা মন্তব্য আমাকে উপন্যাসটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
ভালো থাকবেন,
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অসংখ্য ধন্যবাদ বোন এগিয়ে চলুন সামনের দিকে সঙ্গে আছে আমাদের শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
সুকরিয়া শ্রদ্ধেয় ভাইজা