এরা বেঁচে থাকুক, থাকুক বহাল তবিয়তে, থাকুক এরাই বেঁচে
হে মহান রাব্বুল আলামীন
তারচে আমাদের তুলে নাও, তুলে নাও অদৃশ্য হাতে তোমার !
কেনো না কসাই কাদের কিংবা সাঈদীর বিচার চেয়ে ভুল করেছি আমরা
ভুল করেছি রক্তে লেখা ইতিহাসের পাতা খুলে
বড়ো ভুল করেছি প্রজন্মের মঞ্চে দাঁড়িয়ে !
কেনো না বোঝা উচিত ছিলো আমাদের
ভুল করেছেন সে ভিক্ষুক
জমানো ৩৪৫ টাকায় চিড়ে-গুড় কিনে যিনি
শাহবাগে এসেছেন সন্তানতুল্য আন্দোলনকারীদের খাওয়াবেন বলে
ভুল করেছেন শোলাকিয়ার ইমাম সাহেব, করেছেন বিষম…
বড় ভুল প্রজন্মের মঞ্চ এই, ভুল বায়ান্ন, ঊনসত্তর কিংবা ভুল একাত্তর !
কেনো না বোঝা উচিৎ ছিলো আমাদের একাত্তরের পাতা মেললে জামায়াতি
ইসলাম যায়, বোঝা উচিৎ ছিলো সাঈদী আজম
কিংবা নিজামী-মুজাহিদের বিচার চাইলে জামায়াতি ইসলাম যাবে
বোঝা উচিৎ ছিলো তিনি কিংবা তাঁরা বেহেশতের (স্বঘোষিত) এজেন্ট !
সুতরাং, সব কিছুই তাঁরা করতে পারেন, বলতে পারেন, যেমনটা
একাত্তরে করেছিলেন ! চোখ বন্ধ রাখা ছাড়া
আমরা করবো না কিছুই, পারিনা কখনোই ; কেনো না
প্রতিরোধ কিংবা প্রতিবাদ শোভনীয় নয় ভুলেভালেও, নয় শোভনীয় !
কেনো না বোঝা উচিৎ আমাদের, ইসলামের ঝাণ্ডা তুলে ধরতে, মেলে
ধরতে অমন লাখ দুই ঝলমলে সিল্কি শরীর
ছিঁড়ে-খুঁড়ে লুটে নেয়া নিতান্তুই মামুলি কিছু ছিলো
বোঝা উচিৎ আমাদের, পিতার সামনে মেয়েকে ছিঁড়ে খুঁড়ে
পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠলেও জামায়াতি ইসলাম যায়না
কিন্তু তাঁর বিচার চাইলে আজ ইসলাম যায়, ইসলামের দোহাই চলে !
অতএব সম্পূর্ণ সজ্ঞানে অবনত মস্তকে আমরা ভুল স্বীকার করছি,
হে মহান রাব্বুল আলামীন
ভুল স্বীকার করছি আমি ও আমরা…
কেনো না আমাদের মেনে নেয়া উচিৎ ইসলাম কায়েমের জন্যই
সত্যি-মিথ্যার মিশেলে মানুষ বিভ্রান্ত করাটাও জরুরি কখনো সখনো !
এবং সবিনয়ে অবনতে মস্তকে ভুল স্বীকার করে জানাচ্ছি, একাত্তরের পাতা মেলে
ভুল করেছে সমগ্র বাংলা, ভুল করেছে তাঁর পনেরো কোটি সন্তান
কেনো না, বেহেশতের (স্বঘোষিত) এজেন্টদের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেনা কেউ !
পারেনা ভুলেও, তাহলে জামায়াতি ইসলাম যায়
একাত্তরের পাতা মেলতে পারেনা কেউ, পারেনা ভুলেও
তাহলে জামায়াতি ইসলাম যায়, ইসলামের দোহাই চলে
সমগ্র বাংলায় একমাত্র তাঁরাইতো ধোঁয়া তুলসি পাতা, ইসলামের প্রকৃত ঝাণ্ডাবাহক !
১৪টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
ধোঁকাবাজি তা যদি হয় ধর্মের নামে আখেরে সুবিধে হয়েছে এমন নজির দেখছি বলে মনে পরছে না ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
আখেরে সুবিধে করতে পেরেছে এমন নজির না পেলেও আমাদের যে এজন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছে সেটাইবা অস্বীকার করি কিভাবে ! একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চয় চিনতো কে হিন্দু কিংবা কে মুসলমান, ইসলামকে হেফাজতের নামে গজিয়ে ওঠা রাজাকার আল-বদর রাই সেদিন সর্বনাশটা করেছিলো চরম নইলে ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করা কিংবা নয় মাস যুদ্ধ করা কোন ভাবেই হানাদারদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না । এরাই ইসলামকে হেফাজত করার নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে একত্রিত হচ্ছে আবার ।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত বেদনা এবং ক্ষোভ থেকে জন্ম নেয়া এই আকুতি ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে ?
মাঝে মাঝে আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস হাড়িয়ে ফেলি , শুধু মাত্র এদের ইসলামের নামে মিথ্যাচার দেখে , হিংশ্রতা দেখে।
লেখাটি হৃদয় স্পর্শ করে গেল ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
কবিতাটি ১৩ই ফেব্রুআরি লিখা । তখনকার প্রেক্ষাপটে এরচে অন্য কিছুই আর আসেনি ভাইয়া । আর এখনতো ইসলাম হেফাজতের ধুয়ো তুলে কিছু মহৎ ভণ্ডের আবির্ভাব ঘটে গেছে ।
ব্লগার সজীব
এই সব দুর্বৃত্তরাই বেঁচে থাকুক , আমাদের মেরে ফেলুক আল্লাহ্ । ভালো লিখেছেন ভাই।
মর্তুজা হাসান সৈকত
কবিতাটি বিদ্রূপমূলক কবিতা তাই এমন ভাব ভাষার অবতারনা করা হয়েছে তবে কখনোই চাই না এরা এভাবে থাকুক । এদের পতন ত্বরান্বিত হোক এই কামনাই মননে মগজে ভাই ।
মিসু
কস্ট লাগে ভাইয়া এসব ভাবলে । ভালো লিখেছেন ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
ধন্যবাদ আপি । ভালো থাকুন আপনি ।
খসড়া
এখনই হতাশ কেন বন্ধু। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তারা তো হতাশ হয় নি আশায় বুক বেধে আছে আমাদের পানে চেয়ে। আমরা আমাদের সাধ্যমত দেব। তার পর আমাদের সন্তানদের হাতে ঝান্ডা তুলে দিয়ে যাব। এই বাংলা অপরাজেয়। এই বাংলা মাথা না নোয়াবার। জল নয় চোখে আগুন আন। পুড়ে পুড়ে খাটি সোনা হও।
মর্তুজা হাসান সৈকত
সেসব অভিপ্রায়কে সামনে রেখেই মূলত এ কবিতা ভাই । এটি মূলত একটি বিদ্রূপমূলক কবিতা । একটু খেয়াল করলেই অন্তর নিহিত চাওয়াটা দেখতে পাবেন ।
প্রজন্ম ৭১
ইচ্ছে করে খুন করি এই সব রাজাকারদের । অত্যন্ত আশাহত হয়ে লেখা ভালো লেগেছে ভাই ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
‘ইচ্ছে করে খুন করি এই সব রাজাকারদের ।’ এবং তাঁদের বেজন্মা সন্তানদেরও । ধন্যবাদ পাঠ প্রতিক্রিয়ায় ভাই ।
ছাইরাছ হেলাল
কোন ভাবেই প্রবল আশাবাদকে এড়িয়ে যেতে চাই না ।হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
🙂 🙂 🙂