আন্দোলন—-

অরুণিমা মন্ডল দাস ৭ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার, ০৯:৩২:২৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য

10613140_1721072771460220_2663840916063186391_n
ব্লগার হত্যা, দলিত শ্রেণী হত্যা বেড়ে চলেছে হেমন্তের কুয়াশার মত!!???
তাজা লাল রক্তের ছাপ কদম ফুলের আলপনার মত ফুটে উঠছে এখানে ওখানে!!???
পোলট্রী মাংস রান্নার কড়াই থেকে মুরগীটা লাল ঝুটি নাড়িয়ে মানুষদের দিকে তাকিয়ে কি যেন বলছে!!!!
জানতে চাইছে গোমাংস, শূকরের মাংস, ইঁদুরের মাংস, কচ্ছপের মাংস, শৃগালের মাংস, তো খাওয়া হল!!
এবারে টাটকা মানুষের মাংসের সংগে নুন লবণ, তেল ,হলুদ ,গোলমরিচ, কাচালঙ্কা ,
তেজপাতা দিয়ে কচুঘণ্ট ঠিক কেমন জমবে বিরিয়ানির সংগে!!!!!!???
আপন জনের গলাকাটা দেহ থেকে ফিনকি দিয়ে গরম রক্ত বেরোচ্ছে !!
হাতের চারিদিকটা লাল /
চোখ রগড়াতে রগড়াতে মূর্ছা যাচ্ছে /
বুকের ভিতর, বাইর কষ্টের চোটে ফেটে যাচ্ছে!!! তবু মরতে পারছে না!!???
কিছু মিডিয়া আর প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছক কষছে জনপ্রিয়তার প্লাস মাইনাস র বীজগাণিতিক অঙ্কের খেলা!!???সঃ

রাজনৈতিক চাপানউতোর এর হাডুডু আর রুমাল চোর খেলায় বুদ্ধিজীবী চিন্তবিদ নেতা নেত্রীগণ মেতে উঠেন/
যার ফলে ক্রিকেটের মাঠে বোলার, আ্যম্পায়ার, রানার ,ক্যাপ্টেন সবাই ব্যস্ত!
দোষারোপের মাঠে নিখুঁত ছক্কা মেরে
পাবলিকের মন ভুলিয়ে ভোট জিততে!!???
#
মিডিয়া অসহায় নারদমুনির মত“ নারায়ণ”,“ নারায়ণ” করছেন আর রাত জেগে জেগে ক্যামেরার ফ্রেম পরিস্কার করে চাতক পাখির মত খবরের নেশায় ছুটে বেড়াচ্ছেন!!!!!
কিছু নেতাদের মুখের পান হইস্কির মত ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে সামাণ্য ঘটনা আর খুন মানে বলা হচ্ছে সামাণ্য ভুল!!!???
#
একজন মারা গেল কুড়িজন পিছিয়ে গেল!!!??
দুজন মারা গেল পঙ্চাশ জন পিছিয়ে গেল!!??
তিনজন মারা গেল একশ জন পিছিয়ে গেল!!?
যখন নিজের বাপের গলাকাটা হল/ বোনের আঁচল টেনে খুলে অর্ধনগ্ন করে ধর্ষন করা হল/ নিজের মাকে গর্তে কবর দেওয়া হল/
তখন টনক নড়ল মাথার তার ছিঁড়ে এদিক ওদিক বাঘের মত গর্জন করতে লাগল!!!
কিন্তু সমাজ বড়ই নিষ্ঠুর!!???
প্রতিশোধের আগুনে এক ঘট কেরোসিনে
কি পাঁচতালা বিল্ডিং কি জ্বালানো যায়!!!???
গ্যাসের জন আন্দোলনের উত্তাপের হাওয়া ছাড়ার আগেই পুলিশ নেতাদের দমকল এসে নিজেদের স্বার্থে নিভিয়ে দেওয়া হয়!!!??
আজও ভগৎ সিং, বিনয়, বাদল, দিনেশ রা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করছে!!??
কত মা হারানো ক্ষুদিরাম অকালে ঝরে পড়ছে!!??
আজও নেতাজী ,ভগিনী নিবেদিতারা বিদেশের পথে পথে ন্যায়ের জন্য ঘুরছে
আমাদের বাংলা মায়ের পরিবেশে যথার্থ
পূর্ণ নিষ্পাপ অক্সিজেন দিতে!!
#
একজনকে মারলে একশ জন ঝাঁপিয়ে পড়লে দশজন ভয়ে পালিয়ে যায়!!
অহিংসআন্দোলনে অনশন করে নিজেকে কষ্ট দেওয়ার থেকে দু একবার চ্যানেলে মুখ দেখানোর থেকে /
হাতে গুলি মারার বদলে পায়ে গুলি মারা অনেক ভালো!!!
গলা কাটতে সাহস পায় না আর তাতে ওই চিৎকার করে ধর্মঘটের সূচ, সেপ্টিপিনের ভয় দেখালে কিছু হয় না/
তাতে চ্যানেলের দাম বাড়ে আর মশলাদার খবর তৈরীতে বিট-লবনের কাজ করে!!!??
#
চাষীর বাচ্চা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হলে কিছু ব্যাক্তির গা চুলকায়/
ডাক্তারের বাচ্চা কোন কারণে ভিখারি
হয়ে গেলে চাষীদের মুখ চক্ চক করে ওঠে /
আর বাচ্চাটা অনাথ হয় তবে তাঁর জীবন পাগলাগারদের থেকেও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে!!???
#
কোন অভিনেতা কোন ডাক্তার বা নেতা ক্ষমতায় থাকলে নারী বাহিনী আর দরদিনী মহিলা সমিতির বিশ্বসুন্দরী মহিলাদের অভাব হয় না!
ডানে ,বামে ,সামনে ,পিছনে জোঁকের মত ঘুরে বেড়ায়!!!
#
কোন কারণে ডাক্তারটি পাগল হয়ে গেলে
কোন সুন্দরীর পাত্তা থাকে না আর বেডরুমেও আসার জন্য বায়না ধরে না ললিপোপ খাওয়াতে!!?
বৌ ও ছেড়ে চলে যায়!!??
শুধু পড়ে থাকে পেটের সন্তান!!
#
পাগলের বাচ্চা আর মা ছেড়ে যাওয়া অসহায় বাচ্চা হিসেবে বেঁচে থেকে
বিড়ালের বাচ্চা হিসেবে জন্ম নেওয়া বা ক্যাঙারুর বাচ্চা হিসেবে জন্ম নেওয়া বা অনাথ শিশু হয়ে অনাথ আশ্রম বা পথের ধারে বাঁচা অনেক শান্তির ও মঙ্গলদায়ক।

৪২৬জন ৪২৬জন
0 Shares

২৬টি মন্তব্য

  • নীতেশ বড়ুয়া

    পোস্ট সম্পর্কিত কিছু বলার নেই তবে লেখনী নিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়- আপনার লেখনীতে এমন কিছু শব্দ খুঁজে পাই যা আমাদের সমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্যের গোউরবকে মনে করিয়ে দেয় বারেবারে।

    • নীতেশ বড়ুয়া

      এইজন্যই আমি পোস্ট সম্পর্কে কিছু বলতে চাইনি। ব্লগার কে? কি এমন তাঁরা যে তাঁদের আলাদা করে ব্লগার বলতে হবে? আপনারা যাদের ব্লগার বলছেন তাঁদের কেই দলিতদের দলের তো কেউ অন্য পৃষ্ঠার। তবে ব্লগার কেন বলছেন? এদের কেউ মধ্যমের কেউ আবার সাধারণের।

      Why so specific ‘Blogger’ দিদি? উনারা কি মানুষ নয়? উনাদের কি কোন শ্রেনী জীবন নেই? আজ পর্যন্ত এই ট্যাগলাইনে যতো খুন হয়েছেন তাঁদের অধিকাংশের শ্রেনী খেয়াল করেছেন? তাঁদের অধিকাংশের জীবিকা খেয়াল করেছেন?

      আমাকে হয়তো উপরের এইসব কথার জন্য নীচ বলতে পারেন এভাবে বলায়। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি শ্রেনী বৈষম্যের মাঝে আরেক শ্রেনী বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন আপনারা? যিনি টুইট করছেন তিনিও মাইক্রো ব্লগার, যিনি কোন পত্রিকায় লিখছেন নিজের মতামত জানাচ্ছেন তিনিও ব্লগার কিন্তু পরিচিত কলামিস্ট নামে, যিনি ফেসবুকে নিজের মনোভাবের অবস্থান তুলে ধরছেন তিনিও ব্লগার সোশ্যাল সাইটে ব্লগিং করছেন, যিনি শুধু মাত্র লেখনীর সাইট লিখছেন তিনিও ব্লগার, যিনি নিজের কাগজের খাতায় লিখছেন আর তাঁর প্রজন্ম পড়ছেন তিনিও ব্লগার। এরা সবাই মানুষ তো নাকি?

      একদিক বলবেন শোষক আর শোষিত শ্রেনী বৈষম্য দূ হোক আবার অন্যদিকে আরেক শ্রেনী বৈষম্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন কি করে? শুধুমাত্র লেখার এই রকমের সাইটগুলোতে লিখেন বলে বাকিদেরকে পাত্তাই দেন না এইসব ব্লগাররা, মানতেই চান না বাকিরাও ব্লগিং করছেন, বুঝতেই চান না বাকি সাধারণেরা কি বলছেন, ভাবছেন, করছেন!

      এভাবে যদি আপনারা চালান ট্যাগ লাইন তবে অচিরেই লেখনীর জগতে শ্রেনী বৈষম্য স্বীকৃতি পাবে ‘ব্লগার শ্রেনী’ ও ‘নন-ব্লগার শ্রেনী’ যা ইতোমধ্যেই প্রচলিত হয়ে গিয়েছে।

      কেন এমন করছি আমরা? কেন কলমের কালিকে এভাবে আলাদা করছি যা মন থেকে আসে!

      কেন দিদি, কেন?

      • মারজানা ফেরদৌস রুবা

        নীতেশ দা, আপনি যে বিষয়টাকে হাইলাইট করেছেন, আমি সম্পূর্ণ একমত আপনার সাথে। তবে অরুণিমা হয়তো সাধারনের মাঝের কথাটিকে তুলে ধরতে গিয়েই এ ট্যাগিংটি করেছেন। হ্যাঁ, আমাদেরকেই এ বিষয়টাকে বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং সাধারনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ব্লগিং এর মিনিং।
        মুলতঃ ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তে অনলাইন এক্টিভিস্টদের ডাকে যে গণজোয়ার উঠেছিলো প্রজন্ম চত্বরে সেটিকে দমন করতেই এক শ্রেনি ব্লগার শব্দটিকে নাস্তিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ করার মানসেই এমন ট্যাগিং করে। আর তারপর থেকে ব্লগে লিখা মানেই সে নাস্তিক।
        যাহোক, পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত নামাজ আদায়কারী দীপনকেও যখন চাপাতির নীচে পড়ে মরতে হয় শুধুমাত্র তাদের পথের কাটা হওয়াতে। তখন আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে ব্লগার বলেও আলাদা কিছু নেই। আর এর সাথে নাস্তিকতারও কোন সম্পর্ক নেই।

      • নীতেশ বড়ুয়া

        রুবাপু, আমিও আপনার সাথে শতে শতভাগ একমত অরুনিমা দিদির পোস্ট সম্পর্কিত বিষয়ে, আর তাই শুরুতেই বলেছি পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নেই। উনার আগের পোস্টটিতে আমি এমন মন্তব্য করেছিলাম যে উনি সব সময় একই পাতার অন্য পৃষ্ঠা দেখিয়ে দেন সহজভাবেই।

        আমার আপত্তি ঠিক সেখানেই যেখানে অরুনিমা দিদি এই দুইয়ের তফাৎ দেখান সেখানে আবার এই ট্যাগ ব্যহার করে আরো একটি শ্রেনী বৈষম্যকে নিজের অজান্তেই জাগিয়ে তুলছেন।

        ২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী আমাদের যে আত্মবোধ জাগিয়েছে সেতা এরপরে আর কোন অনলাইন এক্টিভিস্ট করতে পারবে না। কেন জানেন? কারণ উনারাই ‘অনলাইন এক্টিভিস্ট’ ট্যাগ লাইনকে মুছে দিয়ে ব্লগার ট্যাগ লাইন লাগিয়েছেন নিজেদের আলাদা করতে এবং সেদিন থেকেই সেই আন্দোলনের জোয়ার ভেঙ্গে গিয়ে সাধারণে যে বিশ্বাস এসেছিল তাতে কুঠার চালিয়েছে। ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা কোনদিন ‘ব্লগার’ ট্যাগ ব্যবহার করেনি, করেছেন অনলাইন এক্টিভিস্টরাই। যার নাম ‘বোয়ান/BOAN’। আপনি বলেন যে মানুষগুলো ধর্মীয় কেতাব ছাড়া বাইরের দুনিয়ার কিছুই বুঝেনি কেন তাঁরা হঠাৎ করে এই ‘ব্লগার’ শব্দকে ঘৃণা করা শুরু করলো? কেন এই ‘BOAN’ এর ব্লগাররা ধর্মীয় বোধে আঘাত করার মতো পোস্ট দিয়েছিলেন? বারংবার কেন যে মূল্যবোধ আর বিশ্বাস নিয়ে জনগোষ্ঠীর ৭০%-৮০% বেঁচে আছে পেটের তাগিদে তাদের মূল্যবোধে আঘাত করে নিজেদের উচ্চাসনে নিয়ে গিয়েছেন? কেন তাঁরা এতো জ্ঞানী হওয়ার পরেও এই সামান্যবোধটুকু আনতে পারছেন না? যারাই ব্লগার নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় মূল্যবোধের মধ্যে দ্বন্দ এনেছেন তাঁদের কতজন খুন আর কতজন দেশের বাইরে সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে বসে সেই একই ভুল আবারো করছেন? আর কারা খুন হচ্ছেন! দীপনদের মতো উঠতি বয়সের তরুণেরা যাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ এখনো তৈরীই হয়নি!?

        ফেসবুকে এবং অফলাইনে সামনাসামনি আমি নিজেদের ব্লগার খেতাবধারীদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম যে ‘আপনারা যারা ব্লগার, তাঁদের যতো সাহিত্য নিয়ে মেধার প্রকাশ ঘটিয়েছেন এর ১% কেন ফেসবুকে আনেন নি?’ আমি নিজে বিশ্বাস করি ব্লগিং করতে হলে সে মানুষটিকে অনেক পড়াশোনা করা ও জানাশোনা থাকতে হয় এবং রাখেন।

        কিন্তু এতো কিছু জেনে তাঁরা কি করলেন? সেই উগ্রপন্থীদের মতোই তো হাঁটলেন নাকি?

        এবং আমি যখন দেখি যে মানুষ সাধারণে এমন পৃষ্ঠা দেখায় যে পৃষ্ঠা আমরা দেখেও দেখতে পাই না তখন ঠিক সেই মানুষটিই আবার সাধারণের মাঝে দ্বন্দের মূলটাকে প্রতিষ্ঠিত করছেন অজ্ঞাতসারেই। আমার হতাশা এখানেই যে আমার থেকে অনেক ভাল জ্ঞান রেখেও কেন এমন হচ্ছে তাঁদের মাঝে!

        ধর্মীয় বোধে বিশ্বাসী, উগ্রপন্থী, সাধারণ সবার মাঝে ধর্মে অবিশ্বাস বা প্রশ্ন করার মানুষ বলতে ‘ব্লগার’ তো ব্লগাররাই নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন সবার আগে!!

        সত্যি বলতে কি ‘ব্লগার’দের ব্লগিং আমি বুঝি না, জানি না কিভাবে করেন। এমনকি এখানেও আমি বারংবার বলেছি আমি ব্লগিং বুঝি না, ইনাদের বুঝতেই নিজেকে সামিল করেছি সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ থাকায়। কিন্তু এখানেও যখন সেই একই ব্যাপার একই পথে আলোচনায় উঠে আসে তখন বলতে পারেন আমার এমন প্রশ্ন করা অযৌক্তিক? যেখানে আমি উগ্রপন্থী না হয়েও ধর্মে বিশ্বাস রেখে ধর্ম নিয়ে, বিজ্ঞান নিয়ে সানন্দে আলোচনা করি সেখানে আমাকেই হতাশায় পেয়ে বসে যে ‘এ আমরা নিজেদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছি?’

        যারাই ব্লগিং করেন তাঁদের প্রত্যককেই আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি তাঁদের জ্ঞানের জন্য, শব্দশৈলীর জন-এযে কেউ চাইলেই অবিশ্বাস করতে পারেন আবার বিশ্বাস করতেও পারেন।

      • আবু খায়ের আনিছ

        ব্লগার কারো কোন পরিচয় হতে পারে না, যদি ব্লগার পরিচয় হয়ে তাহলে বলব বাংলাদেশের আট কোটি মানুষ ব্লগার। ব্লগার এর আলাদা কোন অর্থ অামি খুজে পাই না।
        আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ করলাম, ঐ দিন আমি আর আপনি এই ব্লাগার নিয়ে এত কথা বললাম তার পর থেকেই ঘুরে ফিরে এই বিষয়টা চলে আসছে। আপনি বলছেন তাই আমি এই বিষয়টা নিয়ে চুপ। আপনার আর আমার মতামত একই ছিল তাই। নীতেশ দা

      • নীতেশ বড়ুয়া

        আনিছ ভাই, সহমত মানেই তো এই নয় যে সেই মত প্রকাশে শব্দশৈলী প্রকাশের ভঙ্গি একই হবে, তাই না? আপনি কেন ক্ষমাপ্রার্থী হবেন!

        আমি ক্ষমাপ্রার্থী আমার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার ভঙ্গিতে এবং যদি আমার মন্তব্যে কারো মনে বিগ্ন ঘটায়…
        এনিওয়ে, আমি অরুনিমা দিদির লেহা নিয়ে সব সময়েই শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, আছি, থাকবো।

  • মারজানা ফেরদৌস রুবা

    সবার মধ্যে একই রকম আত্মদহন চলছে কিন্তু আমরা কেউ যেনো কিছুই করতে পারছি না। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে পালিয়ে বাঁচার প্রবণতা তৈরী হয়েছে, তা থেকে বের করতে হবে তাঁদের।
    **”একজনকে মারলে একশ জন ঝঁাপিয়ে পড়লে দশজন ভয়ে পালিয়ে যায়!!”
    আপনার এই কথাটা যে কতোটা সত্য একবার প্রতিরোধ শুরু হলে সকলেই অনুধাবন করতে পারবে। কারন, চাপাতিবাজরা সংখ্যায় নগন্য। ভয় সৃষ্টি করেই তারা এগুচ্ছে। কাজেই ভয়কে জয় করতে হবে। তবেই এদের প্রতিরোধ সম্ভব।
    **”একজন মারা গেল কুড়িজন পিছিয়ে গেল!!!?? দুজন মারা গেল পঙ্চাশ জন পিছিয়ে গেল!!?? তিনজন মারা গেল একশ জন পিছিয়ে গেল!!? যখন নিজের বাপের গলাকাটা হল/ বোনের আঁচল টেনে খুলে অর্ধনগ্ন করে ধর্ষন করা হল/ নিজের মাকে গর্তে কবর দেওয়া হল/ তখন টনক নড়ল মাথার তার ছিঁড়ে এদিক ওদিক বাঘের মত গর্জন করতে লাগল!!!”
    ইতিমধ্যে আমরা তাই দেখেছি। দায় এড়িয়ে প্রতিরোধ না করে ডিপ্লোম্যাটিক অবস্থানে থেকে স্ফুলিঙ্গে বাতাস দিয়ে যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে বাড়তে দেয়া হয়েছিলো এখন সে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন তাঁদের বুকেই ছোবল মারছে।
    আমি কাউকে কাউকে উৎফুল্লতার সাথে এও বলতে শুনেছি যে, আজও চারটা উইকেট পড়ে গেছে। কিন্তু তারা নিজেরাও জানে না যে, এমন করেই একদিন এ উইকেট তাঁদেরই আপনজন কেউ হয়ে যেতে পারে।

  • অরণ্য

    “কিছু মিডিয়া আর প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব ছক কষছে জনপ্রিয়তার প্লাশ মাইনাস র বীজগাণিতিক অঙ্কের খেলা!!????”
    “গ্যাসের জন আন্দোলনের উত্তাপের হাওয়া ছাড়ার আগেই পুলিশ নেতাদের দমকল এসে নিজেদের স্বার্থে নিভিয়ে দেওয়া হয়!!!??”

    অনেক কিছুই কপি করে এনে ভেবেছিলাম কিছু লিখব। এখন ভাবছি কত আর কপি করব? সব লাইনই যে কপি করে আনা যায়!
    আমরা অসাড় হয়ে যাচ্ছি কি ধীরে ধীরে!!! ???

  • আবু খায়ের আনিছ

    বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের উপরে মানুষ হত্যা হচ্ছে। ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হত্যার পরিমাণটা হচ্ছে 51790। শুধু মাত্র ২০১৪ সালেই খুন হয়েছে 4514 জন। অপর দিকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই বাংলাদেশে ছয়কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক আছে। বিটিআরটিসি এর তথ্য অনুযায়ী।
    এই এত সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই প্রতিদিন ফেইজবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে তাদের মতামত ব্যাক্ত করছে। যদি আমি ধরে নেই এই ৪৫১৪ জন মানুষের মধ্যে মাত্র ৫০০ মানুষ ইন্টারন্টে ব্যবহার করে তাহলে বিষয়টা কি দাড়ায়। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা বলতে পারি প্রতি মাসে অন্তত একজন ব্লগার (আপনাদের মতে) খুন হচ্ছে। কিন্তু অবাক হলেও সত্য আমরা গুটি কয়েকজন মানুষকে ব্লগার হিসাবে পরিচিয় দিচ্ছি আর তাদের হত্যা নিয়েই মাতামাতি করছি।
    আমি মানুষ হত্যার পক্ষে নয়, আমি এর সম্পূর্ণ বিরোধী। আমার ব্ক্তব্য হল, শুধু ব্লগার নাম ধারী মানুষদের নিয়েই নয় সমগ্র বাংলাদেশের মানুষদের হত্যার বিচার হোক, এবং হত্যা বন্ধ হোক।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    অরুণিমাদির লেখার ব্যাপারে কি বলবো? ওদিকে যাবার সাধ্যি নেই আমার।

    তবে সকলের মন্তব্য পড়ে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। “ব্লগার” শব্দটিতে আমারও আপত্তি আছে। কিন্তু একটি কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্চে, “ব্লগার” মানেটা কি? যারা ব্লগে ব্লগিং করেন? যেমন টুইটারে যারা টুইট করেন তারা টুইটার, তারপর ফেসবুকার। তাই আমার কাছে মনে হয় “ব্লগার” শব্দটি ঠিকই আছে। অতো কিছু জানিনা, ব্লগিং সম্পর্কে জানিওনা। এই যে এখানে আসি, পড়ি আর যা কিছু মাথায় আসে লিখে ফেলি।

    এর বেশী কিছু বলার নেই।

    • নীতেশ বড়ুয়া

      নীলা’দি, আমাইও ঠিক সেই কথাই বলতে চাইছি যে যারাই লিখেন এবং যেখানেই লিখেন তাঁরা সবাই ব্লগিং করছেন যদি ব্লগিংয়ের ধারণাতে যাই। নিজের মনের কথা বা ভাবনাকে উপস্থাপণ করার এই অন্তর্জালের পদ্ধতিকেই ভার্চুয়াল বলা হয়-এইটুক আমি জানি।

      কিন্তু আমারা আমাদের নিজেদেরকেই বিভাজনে মত্ত হয়ে উঠছি জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে।

      এবং আবারো বলছি, অরুণিমা দিদি যা লিখেন এবং যেভাবে লিখেন তাতে কিছু বলার মতো সাধ্যি আমার নেই।

  • শুন্য শুন্যালয়

    পড়েছি গতকালই, কিন্তু কি মন্তব্য দেব বুঝে উঠতে পারছিনা যে। দোষারোপের মাঠে নিখুঁত ছক্কা মেরে
    পাবলিকের মন ভুলিয়ে ভোট জিততে, আপনার লেখা প্রচুর ধারালো, এতটা ভাবা আর লেখা সম্ভব নয়। আপনার এমন ঠোঁটকাটা লেখা সবকিছু ভাংচুরের হাতছানি দেয়। শুভকামনা সবসময়ের জন্য। লিখতেই থাকুন আপু, কখনো থামা চলবেনা।

  • অপার্থিব

    ভাল লেগেছে লেখাটি। আর আমাদের দেশে মূলত শাহবাগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্লগার শব্দটি জন সাধারনের কাছে ব্যাপক ভাবে পরিচিত হয় যদিও এই আন্দোলনটি ছিল মোটামুটি সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন। ইনফ্যাক্ট ব্লগারদেরকেই সামনে রেখে শাহবাগ আন্দোলনের ব্রান্ডিং করা হয়েল এবং এই পুরো প্রক্রিয়াটির একটা রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে।ব্লগারদের ঘাড়ের উপর বন্দুক রেখে শাহবাগ আন্দোলনকে প্রমোট করায় পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীক প্রতিকুল পরিস্থিতিতে সরকার নিজেকে ডিফেন্ড করতে সক্ষম হয়েছে কিন্ত সামগ্রিক ভাবে ক্ষতি হয়েছে ব্লগ ও ব্লগারদের।

  • অরুণিমা

    মোবাইল দিয়ে সোনেলা সাইট ভিজিট করি বলে সবার মন্তব্যের জবাব আলাদা আলাদা ভাবে দিতে পারছি না বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি -{@

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ