বুকেতে মুখেতে
সুখের হাসিতে
কিসের সুখ, বল বল…?
চোখের কোনেতে
হৃদয় মনেতে
কিসের জল, টলোমলো…?
আকাশ মাঝে
মেঘের সাজে
ভেসে ভেসে, কেন চলা…?
দুখেতে হেঁসে
কথার রেশে
না বলা, কি কথা বলা…?
ব্যাথার দুখেতে
দুখের সুখেতে
কেন এতো, জল পড়া…?
বেদনার জলে
বিরহের ছলে
কেন এ বুকেতে খরা…?
একান্ত কিছু কথাঃ #বৃষ্টি যে আমার কাছে ভালোবাসার এক অমৃত সুধার মত। কখনো যাকে বুঝি আবার কখনো বুঝতে পারিনা। তবু কোন এক মায়ায় আমাকে জড়ায় প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। কিছুক্ষন আগেই ফিরলাম বাসায় অফিসের কাজ শেষ করে, খবরের মানুষ আমি, সারাক্ষন খবরের সন্ধানে থাকি। কিন্তু কিসের খবর আমি জোগাড় করি সারাদিন, সমাজের শোষিতের খবর, নিপিড়িতের খবর, কিংবা ছোট্ট একটী শিশুর ধর্ষিত হবার খবর, নীতিহীন রাজনীতির খবর, নাকি সহিংসতা বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোন অকাল মৃতের কবর খোঁড়ার খবর। কিন্তু নিজের মনের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অক্ষরে অক্ষরে ক্ষতবিক্ষত যে পান্ডুলিপিটা আছে তার খবর কি আমি আসলে বুঝি বা রাখতে পারি তার খবর।
প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় বলেছিলেনঃ কষ্ট নেবে কষ্ট? হরেক রকম কষ্ট আছে, কষ্ট নেবে কষ্ট। আর আমি সারাদিন উন্মাদীয় শীৎকার আর চিৎকারে বলি খবর নিবেন খবর, বাঁচারঃ আকুতির খবর, মিনুতির খবর, অকাল মৃত্যুর কবর খোঁড়ার খবর আছে, খবর নিবেন খবর। অথবা আমি কি হেলাল হাফিজের মত কষ্ট কবিতার পরের লাইনের মত বলতে পারিঃ নদী এবং নারীর কষ্ট, পাখি এবং পাতার কষ্ট, অসাধারন করুন চারু নষ্ট ফেরিওয়ালার কষ্ট আছে! কষ্ট নেবে কষ্ট? না পারি না। আমাদের আবেগ প্রকাশের সুযোগ নেই, আমারা দিনরাত মানুষের আবেগ আর অনুভূতির কথা ফেরি করি কিন্তু নিজেরগুলো প্রকাশ করা মানা। তবুও কোন কোন নিশিথী রাতে আমর একলা ঘরের দেশে যখন ফিরি তখন ক্লান্ত আমার মনের কোনে হঠাৎ যদি ধরা দেয় বৃষ্টির প্রতি ভালবাসা! তখন আমার আত্মায় প্রকাশিত হয় একেকটি কবিতা, নাম নিয়ে নেয়ঃ “আত্মায় জলহীণ বৃষ্টির শব্দে” ভিজে ভিজে সপ্নের পানা।।
হাঁ #বৃষ্টি ঝিরিঝিরি আসুক বা ঝমঝম করে, যাই হোক তার রুপ, তবু তারে ভালোবাসি অনন্ত ছায়াবীথিকার মত, যা চলমান কিংবা বহমান অনন্তকালের যাত্রায়।
উৎসর্গঃ চার জন মানুষকেঃ জিশান শা ইকরাম(কিছু কিছু সম্পর্ক রক্তের না হলেও, তা তার চেয়ে বেশি কিছু, তিনিও তাইঃ আমার জিশান মামা, যিনি না ডাকলে হয়ত সোনেলায় আসা হতনা, পাওয়া হতনা এতো এতো নিরেট নিকষ ভালবাসা), শুন্য শুন্যালয় (আমার জনম জনমের বন্ধু-স্বজনঃ মাঝে মাঝে যদি আমার লেখনি থেমে যায়, ব্যাস্ততার পরিহাসে-ঠিক তখনি আমার এই বন্ধুটি এসে বলে-লিখছো না কেন? বন্ধুর কথা ফেলা আমার স্বভাবে নেই বলেই, লিখতে থাকি নতুন উদ্যোমে, বন্ধুর অনুপ্রেরনায়) আর মিথুন কে, তার লিখা “সপ্নের সাথে কথায়” আমাকে ঠাই দিয়ে সন্মানীত করার জন্য, যা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি হয়ে থাকবে প্রতিক্ষন। আর আমার বৃষ্টিকে এবং তার প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসার আহ্বানকে।
বিঃদ্রঃ আপাতত এটা আমার শেষ সিরিজ কবিতা পোষ্ট। উন্মাদের ধারা রম্য লিখা। সিরিয়াস কবিতার সিরিজ চালাতে গিয়ে নিজের উন্মাদ সত্যাকে হারিয়ে ফেললে বেপক সমস্যা। তাই মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে দুটি কবিতা দিয়েই শেষ করতে হল সাময়িক সময়ের জন্য আমার সিরিয়াস কবিতা সিরিজ। হা সোনেলার প্রানের স্বজনরা কয়েকদিনের মধ্যে ফিরে আসছি আমার রম্য রচনা নিয়ে, সাথে থাকবে শতবছরের রম্য চরিত্র গোপাল ভাঁড়।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। মনে রাখুন উন্মাদকে।
চাইলে উন্মাদেরঃ গোপাল ভাঁড়ের পুরুন রম্য সিরিজ গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেনঃ
ইদানিং গোপাল ভাঁড়ঃ ২০১৫-১৬ঃ http://sonelablog.com/archives/27633
গোপাল ভাঁড় সিরিজঃ গোপাল ভাঁড়ের আপেক্ষিকতা তত্ব-২০১৪-১৫ঃ http://sonelablog.com/archives/31081
২৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
উন্মাদের উন্মাদনার অপেক্ষায় রইলাম। ;?
সীমান্ত উন্মাদ
উন্মাদনা কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্নের মুখমুখিও করে দেয় ;? , তখন কিন্তু উত্তর দিয়ে যেতে হবে আপু। আপনার অপেক্ষার কথা জেনে ভয় পেয়ে গেলাম। যদি উন্মাদনা না দিতে পারি?
তবুও চেষ্টা থাকবে। লিখা চলছে।
রিমি রুম্মান
গানের তালে তালে গেয়ে গেলাম শুরুতা। অনেকটা “তুমি কি দেখেছো কভু… জীবনের পরাজয়” গানের স্টাইলে সুর করে 😀
সীমান্ত উন্মাদ
কবিতাই গান হয়ে যায় যদি মিশে যাওয়া যায়। রিমি আপু গানটা রেকর্ড করে দিয়ে দেন। 😀
অনিকেত নন্দিনী
অপেক্ষা করবো। দেখি সীমান্ত উন্মাদের রম্য উন্মাদনা আমাদের খারাপ লাগা অনুভূতি গূলীকে দূর করে দিয়ে ভালোলাগার সীমান্তে নিয়ে যায় কিনা।
সীমান্ত উন্মাদ
খাইছে আমারে। কেউ অপেক্ষায় আছে শুনলে ভালোও লাগে আবার ভয়ও লাগে, যদি আশা মিটাতে না পারি। তবে উল্টোও হতে পারে, খারাপ লাগা অনুভূতিতে আরো কিছু খারাপ লাগা যুক্ত হতে পারে কিন্তু!
শুভকামনা নিরন্তর।
লীলাবতী
সিরিজ কবিতা সমাপ্ত করার কি আবশ্যকতা ছিল? ভালোই তো লাগছিল।এই কবিতা এবং পরে একান্ত কিছু কথা পড়ে মনে কিছুটা কষ্ট আসলো কেন বুঝলাম না উন্মাদ ভাই। উৎসর্গঃ ভাল হয়েছে,যদিও লীলাবতী অনুপস্থিত সেখানে :p
সীমান্ত উন্মাদ
আপু সিরিজ কবিতা সমাপ্ত হয় নাই তো কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে দিলাম এই যা, ফিরবে আবার সিরিজ কবিতা। আর আপনার ভালোলেগেছে যেনে আমি অনুপ্রানিত হইলাম। একান্ত কথায় কষ্ট হয়ত এসেছে অনুধাবন করতে পারায়, সেটা আপনার মহত্ত্ব। লীলাবতী অনুপুস্থিত কারন মডু এবং এডমিনদের আমি ভুই(ভয়) পাই, যদি উৎসর্গের কারনে ছ্যাকা মানে ব্যান মারে। :p তবে প্রায়চিত্ত হিসেবে আপনার জন্যঃ
লীলাবতীঃ
তুমি কি এখনো
আগের মতোই
হাসো আর গান গাও
লীলাবতী
মনের নদীতে
এখনো কি বাও
ময়ূর কন্ঠী নাও?
এই লাইনগুলি উৎসর্গ করে দিলাম লীলাবতী আপু আপনাকে। \|/ :p
জিসান শা ইকরাম
সিরিজ তো ভালোই চলছিলো,বন্ধ কেন হবে?
বৃষ্টি আমাদের সবাইকেই আনমনা করে দেয়।
উৎসর্গ দেখে সন্মানিত 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
মামা সিরিজ বন্ধ হবে না, শুধু কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে দিলাম। ভাবলাম উন্মদকে তার আসল রুপে ফিরিয়ে আনা যাক। রম্য রচনায়। অন্যদিকে আরেকটা কারন আছে, যেটা আমি আপনাকে জানাবো অন্যকোথাও। বিষয়টাতে সোনেলার সবার জন্য এবং সাধারন মানুষকে একটি বিশেষ বিষয় সম্পর্কে অবহিত করার জন্য একটি বিশেষ সিরিজ লিখা আসতে চাই আমি সোনেলায়। কিন্তু তার আগে দু একটি বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করতে হবে, যার একটি হবে নিরাপত্তা, আমি মেসেজ দিব আপনাকে যেকোন উপায়ে।
সন্মান যার প্রাপ্তি, আমি তাকে সন্মানিত করতে পেরেছি, এটা আমার প্রাপ্তি। 🙂
ব্লগার সজীব
সিরিজ কাব্য বন্ধ হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।হরতাল দেবো সোনেলায়। শিরোনামে সপ্ন কি স্বপ্ন হবে ?
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা, ঠিক আছে দেন আমি সেই হরতালের সংবাদের স্ক্রীপট করে দিব, যেমনঃ
IV link: Hortal…blogger shojib.slot & shot duration: 0’30”
সীমান্ত নামের এক উন্মাদের সিরিজ কবিতা বন্ধ হবার প্রতিবাদে ব্লগার সজীবের ডাকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশ থেকে সোনেলায় লগিন না করার হরতাল কর্মসূচি ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। আর এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্যান্য ব্লগাররা। রিপোর্ট করছেন ব্লগার সজীব নিজেই। :p
বিঃদ্রঃ হরতালও তিনিই পালন করছেন! \|/ :D)
ওটা স্বপ্নই হবে। আমার প্রিন্টিং থুক্কু টাইপিং মিসটেক। ;(
অনেক অনেক শুভকামনা সজীব। ভালো থাকুন বেলা অবেলার কাব্য গল্প গানে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ হরতালের ক্ষতিপূরণ কে দিবে?আগে উত্তর তার পর কর্মসূচী….আমি মধ্যম জনগোষ্টি।
সীমান্ত উন্মাদ
এইটাই আজ ঝাতির কাছে আমারো প্রশ্ন? কারন আমিও আপনার মত মধ্যম জনগোষ্ঠির একজন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আর আমার বৃষ্টিকে এবং তার প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসার আহ্বানকে।
এ আবার কে?সতিনের ভাগ বসাল।
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা ভাই। বৃষ্টি যে কে হেইডা আমিও মাঝে মাঝে বুঝি মাঝে মাঝে বুঝি না।
আর সতিনের ভাগ মানে কি? সতিন হইবো যদি আমার আগে কোন বউ থাকে জীবনে ১৮+ বসন্ত পার করলাম সেই কবে আজো একখান বউ পাইলাম না আপনে সতীন লই আইলেন। কি কন মিয়া, আপনারে আবার রংধনু পাইলোনি। :p
মজাক কইরলাম, শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
স্বপ্ন
বেদনার জলে
বিরহের ছলে
কেন এ বুকেতে খরা…? 🙁 বুকের খরা যায় কিভাবে? সব কিছু মিলিয়ে ভালো একটি পোষ্ট।
সীমান্ত উন্মাদ
আমিও জানিনা। পানি ঢাইল্লা দেখছি খরা কাটেনা। :p
আপনে একটা গবেষনা চালান দেহি, খরা কাটানোর উপায় পাইলে আমারে জানাইয়েন পিলিজ লাগে।
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা ঠিক আছে আপনার রম্য এর অপেক্ষায় থাকলাম।
তবে এই লেখা টা বেশ লেগেছে।
সীমান্ত উন্মাদ
লিখাটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, অনুপ্রেরনা পাইলাম। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
খেয়ালী মেয়ে
আকাশ মাঝে
মেঘের সাজে
ভেসে ভেসে, কেন চলা…? (y)
বেদনার জলে
বিরহের ছলে
কেন এ বুকেতে খরা…? (y) ………………একটু বেশীই ভালো লাগলো লাইনগুলো….
উন্মাদের উন্মাদীয় চিৎকারটুকুও ভালো লাগলো-খবর নিবেন খবর, বাঁচারঃ আকুতির খবর, মিনুতির খবর, অকাল মৃত্যুর কবর খোঁড়ার খবর আছে, খবর নিবেন খবর (y)
রম্য রচনার অপেক্ষায় আছি……
সীমান্ত উন্মাদ
কবিতাখানি ভালো লেগেছে যেনে অনুপ্রানিত হইলাম। রম্য আসছে সাথে এক্সট্রা নিয়ে। সাথেই থাকবেন আশাকরি।
শুভকামনা নিরন্তর।
শুন্য শুন্যালয়
নিজের কোন সত্ত্বাকেই ভুলে যাওয়া চলবে না। তোমার নাম উন্মাদ হলেও আমরা জেনে গেছি আগের পোস্টে উন্মাদেরও কিছু কথা আছে। আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলবো নামের সাথে তোমার কামের কোনই মিল নাই, যে উন্মাদ সে এত সিরিয়াস কবিতা ক্যাম্নে লেখে? আমার কাছে সিরিয়াস কবিতাই বেশি ভাল লেগেছে, যেখানে মেঘ বৃষ্টি, জলহীন টলমলো। তাই বলে নিজের ভালো লাগা ভুলে গেলে চলে? উন্মাদীয় পোস্টই সই।
মাত্র অল্প কএক দিনেই যাকে জনম জনমের বন্ধু-স্বজন বলেছ তার কি এ লেখা ভালো না লেগে পারে? ধন্যবাদ যে কিভাবে দিতে হবে সে ভাষাই নেই। উন্মাদ এবং সিরিয়াস সীমান্ত দুজনের জন্যই শুভকামনা -{@
সীমান্ত উন্মাদ
প্রথমতো তোমার কাছে কৃতজ্ঞতা সুন্দর মন্তব্যের জন্য। মাঝে মাঝে স্মৃতির রোমন্থনের স্পর্শে সিরিয়াস কিছু কথন চলে আসে উন্মাদের মনের অজান্তে, তাই হয়ে যায় একেকটি কবিতা।
আর দ্বিতীয়ত বন্ধুত্বে কখনো ধন্যবাদ শব্দটি আসতে নেই। থাকে শুধু শুভকামনা নিরন্তর।
অনেক অনেক শুভকামনা তাই তোমার জন্য সব সময়ই থাকে যা তুমি জানো।
মিথুন
বুকের ভেতর এমনি ক্ষত, হাজারো জীবানুর বেঁচে থাকার আশ্রয়স্থল, তেমনি করে কবিতার সৃষ্টি। একান্ত কিছু কথা আর এমনি জলহীন বৃষ্টির লেখায় আমাকে যুক্ত করার জন্য আনন্দিত আর সম্মানিত হলাম, ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানবেন -{@
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা নিরন্তর জানিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন বেলা অবেলার গল্প, কাব্য,গানে।