(১)
আমার এক রুমমেট ছিল অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম আসছি পর! ১.৫ -২ টাকার ডিম কে বেশি খাইল, কে ৫০ পয়সা বেশি টেকা দিয়া সিরিয়াল কিন্না খাইল এইসবের পাই টু পাই হিসাব করতো। একদিন উনি ঘোষণা দিল, এক পিস পাউরুটি আর একটা চিসের বেশি কেউ ব্রেকফাস্ট করলে, উনি ঐটা শেয়ার করতে অপারগ। আমার তখন কাজ কাম নাই, দাদা ওদিকে রাত দিন ধুমাইয়া ডলার কমায়। ওনার আসে পাশে থাকলে আমি তেলের ডিব্বা নিয়া ঘুর ঘুর করতাম। বললাম, “দাদা একদম ঠিক”! ঘন্টা ২ পর ঘুম দিয়া উঠলে ব্রেকফাস্ট খাবারই দরকার পরে না, হুদাই খরচ! দাদা মহা খুসি। অন্যরা বেজায় রাগ!
দাদা একদিন আমারে ৫০ টাকা ধরাইয়া দিয়া বলছিল ৫ কেজি মুরগির ঠ্যাং ফিলেট নিয়া আসতে, উনি ব্যস্ত, বন্ধুর বাড়িতে মুর্গা রান্না করে নিতে হবে! আমি নতুন আসছি, আমি কি আর জানি বুকের মাংসের মেলা দাম, ঠ্যাং সস্তা। মুরগার মধ্যে যে এত কাহানি ঘর ঘর কে আমি কন্ডে জানুম। আমি মোটামুটি ৫০ টাকা খরচ কইরা ৫ কেজি বুকের থলথলে মাংস নিয়া আসছি। ওনার সেকি দুক্ক। ৭ দিন আমার সাথে কথাই বলে নাই!
(২)
নিগ্গা হু ইস এট ধা ঢোর?
ইটস রেগি হু ধা টুট ইরেগি?
খেইম ঠু ঠেইক মেইগান আউট
হুয়াট ইউ হোয়ান্ট নিগ্গা?
উম হিয়ার ঠু ঠেইক হিস দঠা আউট
.
.
হাউ ওল্ড ইস ইউ?
ফিফটেইন
শীট নিগ্গা
তা দেখতে ছিলাম ব্যাড বয়স ২ উইথ দাদা। দাদার ইংলিশ উন্নতিকরনের বটিকা ছিল মুভি দেখতে বসলে প্রতিটা বাক্য মুভির লগে লগে বলা, আর চৈদ্দগুষ্টির মুভি দেখার তেরটা বাজাইয়া দেয়া। আমি নতুনে শিখছি হুসসা। মনে মনে বলি হুসসা। আর দাদারে তেলাই দাদা আফনি তো পুরা আমেরিকান। ভুল দেশে আসছেন, রং ডিসিসন। দাদা তারপর অস্ট্রেলিয়ান স্টাইলে দুই একটা বাক্য বলে দেখিয়া দিত! আমি বলি প্রতিভা আফনি একটা দাদা, তা একটা কাম দেন না দাদা। দাদা বলত, “দিব দিব, দিনকাল ভালো না, ইউ খেইম আট আ রং ঠাইম, নো তুটিং হোয়ার্ক মাইট!” আমি কোই হুসসা।
দাদার একটা বিরাট কম্পিউটার ছিলো, কম্পিউটারে আবার টুট টুট ক্রো ক্রো শব্দ করা ইন্টারনেট ছিল! সেই যুগে স্কুলে রীতিমত লাইন দিয়া ৩০ মিনিট ফ্রি ইন্টারনেট ইউস করতে হইতো। কি দিন ছিল ইমেইলের চাইতে মেইল বেশি আসতো। আমি লিভিং রুমে ঘুমাইতাম, টাকা পয়সা নাই, কাম কাজও নাই প্রায় ৩ মাস! লিভিং রুম ছাড়া গতিও নাই! দাদার বিখ্যাত কম্পিউটার খানা ঐখানে শোভা বর্ধন করত! আমি মাঝে মাঝেই গভীর রাইতে দাদার কম্পিউটার খুইলা চুপি চুপি এ এস এল জিগাইয়া বেড়ায়তাম। কম্পিউটারে বসলে বুয়েট হলের স্বভাববসত ফোল্ডার গুতানোর এক ফাঁকে দেখি ডি না ই ড্রাইভে প্রোগ্রাম ফাইল। আমি বলি হুসসা। ঐটার ভিতরে আবার ওয়ার্ড ফোল্ডার, আর যায় কোথায়, খুলে দেখি Hagar Hagar। কিন্তু একি, যে জিনিস দেখলাম, জীবনে আর দেখি নাই, দেখবও না, দেখতে চাইও না! সুন্দরী রমনীরা হাগে মোতের ভিডিও। মানুষ হয় আজিব। হুসসা হুসসা হুসসা!
ব্যাড বয়স ২ মুভিটা ভালো!
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
হুসসা! এত দিন পর!
দাদার আপডেট দিলে আরও মজা হতো।
আরও পড়তে চাই।এমন hagar hager কাহিনী।
অভি
একটু ব্যস্ত ছাইরাছ হেলাল ভাই! দাদা ভালো আছে! 😉 Hagar Hagar গল্প লিখার ট্রাই করে যাব! :p
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করব, সমস্যা নেই।
মামুন
গল্পটা ভালো লাগল।
ব্যাড বয়েস টু আসলেই ভালো লাগল। সেদিন দেখলাম।
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
অভি
ধন্যবাদ মামুন ভাই! 😀
হৃদয়ের স্পন্দন
ভাই এমন কাহিনী দু একটা মনের আনন্দ বাড়ায়, আরো চাই
অভি
রম্য লিখতে আমার ভালো লাগে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। 🙂
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা হা , হাসতে হাসতে আজ সারাদিন চলে যাবে
আরো কাহিনী জানতে চাই।
শুভ কামনা।
অভি
লিখব দাদা, সময় বের করা একটা বিরাট সমস্যা! 🙁
ব্লগার সজীব
সবই ঠিক ছিলো অভি ভাইয়া, কিন্তু শেষ দুলাইনে কি শুনালেন? 😀
অভি
😀 :D) \|/
শুন্য শুন্যালয়
আপনি অনেক মজা করে লেখেন ভাইয়া 🙂
মুরগির এমন নানা কিছিমের ভাগাভাগি এদেশে না আসলে আসলেই বোঝা যেতো না। শুধুমাত্র গলার ও প্যাকেট, তবে আফসুস এখনো কল্লার প্যাকেট দেখিনাই। আই মিস মুরগির কল্লা।
কাহানি ঘর ঘর কির সেকেন্ড পার্ট চাই ভাইয়া।
অভি
এক প্যাকেট মুরগির কল্লা! না, কেমন জানি লাগতেছে। ভয়াবহ বেপার। 😮 সেকেন্ড পার্ট আসবে! 🙂 ভালো থাকবেন! আপনি কি অস্ট্রেলিয়া থাকেন নাকি? 🙂
সাইদ মিলটন
শুন্য 🙁 আপনি দেখি সুনীলের নাইকাদের মতো ভয়াবহ :p. কাটথ্রোট ;(
শুন্য শুন্যালয়
হি হি, আপনি কি ভেবেছেন এতোগুলা গলা, কল্লা না কেটেই জমা করেছে তারা?
হুম ভাইয়া, আমি অস্ট্রেলিয়াতে থাকি। আপনার জিনিয়াস পোলাটা আশা করি ভালো আছে।
অভি
কোন সিটিতে থাকেন? জিনিয়াস কি বলেন? কিছু দিন পর একটা লেজ গজালে খুব অবাক হব না! আছে ভালোই!
সাইদ মিলটন
এইরকম পিস দেখি সবখানেই আছে :D) আমি একজনকে চিনি দেশ থেকে টিনের ট্রাঙ্ক নিয়াইছে 😀 বড় বড় গুলাপ আকা চড়া রঙে, আরেকজন আছে বদনা নিয়াসছে প্লাস্টিকের :D)
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা টিনের ট্রাঙ্ক? বড় বড় গুলাপ আঁকা? :D)
অভি
:D) :D) :D) :D)