#কেন সময় পেলে লেখালেখি করি…..
লন্ডনে আমার অনেক ব্যস্ত জীবন ; ঘুম থেকে উঠেই যাপিত জীবন
যুদ্ধে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাকে | জগত সংসার,মাস শেষে বাড়ির মর্গেজ,কাউন্সিল ট্যাক্স,ইলেক্টিক,গ্যাস,পানির বিল,গাড়ির ইন্সুরেন্স-রোড ট্যাক্স, ফিটনেসের বিল, বাই নাউ পেলেটারের বিল,ক্রেডিট কার্ডের বিল,সাপ লুডু খেলার মত ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় |নিজেকে ফিট রাখতে আবার সপ্তাহে দুই এক দিন জিমেও যেতে হয় |
এত ব্যস্ততাকে ফাকি দিয়ে ,কেন সময় পেলে লেখি !! এরকম প্রশ্ন অনেক বন্ধুরা যখন করেন !! তখন কিছু বলতে ইচ্ছা করেনা !! খানিকটা রাগ হয় |
যে অক্ষরের সুরঙ্গপথে এই চেনা পৃথিবী ছাড়িয়ে যে নতুন এক পৃথিবীতে চলে যাওয়া যায় তার খোঁজ পেয়েছিলাম বালক বয়সেই। পরিবারের গন্ডির ভেতরেই ছিলো সাহিত্যের হাওয়া।
বালক বয়সে সেইসব বইয়ের পাতায় চোখ রেখে টের পেয়েছিলাম, চোখের সামনে যে জীবন প্রবাহটা দেখি তার বাইরে অদৃশ্য একটা অন্তর্জাগতিক জীবনস্রোত আছে যেটা বন্দী হয়ে আছে এইসব অক্ষরে।
দেখতাম অক্ষরের ভেতর দিয়ে সেই জীবনকে দেখতে গেলে রহস্যময় লাগছে সবকিছু, কেমন মায়াবী লাগছে। সেই মায়া, সেই রহস্যের নেশা পেয়ে বসে আমাকে। বুঝতে পারি লেখার পাকচক্রে পড়বার আগে পড়েছিলাম পড়ার পাকচক্রে। নানা রকম বইপত্র পড়েছি।
কৈশরে যে পড়াশোনার ঘোর লেগেছিলো তা অব্যহত থেকেছে বরাবর। পরবর্তীকালে পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে কিছু বন্ধু বান্ধব, শিক্ষক, অগ্রজ সুহৃদ এদের সুত্র ধরে পড়াশোনার দিগন্তটা বেড়েছে।
ছাত্রজীবনে সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা যখনমাথায় এসেছিল, তখন জড়িয়ে পড়ি ছাত্র রাজনীতিতে !! সত্যিকারের পরিবর্তনের খুবই ইচ্ছাছিল ; এখনও আছে !! রাজনীতির জঙ্গম জগতও আকর্ষন করে আমাকে। ঘনিষ্ঠ হই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। রাজনীতি, দর্শন, সমাজবিজ্ঞানের বইপত্রের প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
ঐযে অসম্ভব এক নেশা বই-টই পড়ার প্রতি এখনও ব্যস্ত জীবনের ফাকে পড়ার ও মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করি মাত্র !! আমার বেশির ভাগ লেখাগুলো আমার ফেইসবুকের ওয়ালে পোস্ট করি |
নিজেস্ব চিন্তা ভাবনা গুলো অবশ্যই নিজের মত করে লিখি | নিজের একান্ত কথা গুলো শেয়ার করি অনলাইনের বন্ধুদের সাথে !!
এখানেও আরও ভিন্ন মতের প্রতিযোগিতা !! অনেকেই সম্মান দিয়ে কমেন্ট করেন আবার কেউ উল্টাপাল্টা কমেন্ট করেন !! কি আজব ব্যাপার !! তাই মাঝে মাঝে ভাবি আর লিখবনা !! কিন্তু কিছুদিন পর আর পারি না !! আবার লিখি. …..
৮টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
সময়কে বলুন, তুমি বেশি বেশি আসো আমার ঘরে। দেবো পিঁড়ি, মুড়ি দেবো গুড় দিয়ে, ঝল দেবো কাসার গ্লাছে, শীতল পাটিতে ঘুমাতে দেবো। আরো দেবো মায়াভরা স্বপ্ন।
জিসান শা ইকরাম
জানলাম আপনি কেন লেখালেখি করেন,
আপনার চিন্তা ভাবনা ভালো লাগলো……
ভালো থাকুন প্রবাসে……
নীতেশ বড়ুয়া
“পাছে লোকে কিছু বলে আর যত মত তত পথ” এইসব নিয়ে ভাবলে নিজের চিন্তা ভাবনাকে প্রকাশে বাঁধা দিয়ে কি হবে ভাইয়া?
লিখতে থাকুন। নিজের আনন্দে।
আপনার প্রবাস জীবনের নানান অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন -{@
অরুনি মায়া
যার যা মন চায় বলুক না। আপনি লিখে যাবেন নিজের ইচ্ছায়। যারা আপনার লেখা কে ভালবাসবে একটা সময় তারাই রয়ে যাবে। বাকিরা সরে যাবে। আরও লেখা দিবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম 🙂
লীলাবতী
হ্যাস ট্যাগ দেখি সোনেলায়ও কাজ করছে 🙂 ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রবাসী জীবন কি সে তো ২০০৩ সাল থেকে দেখে আসছি। তাও ভাগ্য ভালো আমাদের সোনেলা আছে, আগলে নেয়।
লিখুন প্রবাসের গল্প।
সিকদার
যে পড়ে সে লিখে। যে লিখেতে পারে সে ছাড়তে পারে না । লেখটা একটা নেশা । তাই বলি নেশা লাগিলরে নেশা কাগজে কলমে লেখার নেশা লাগিলরে । -{@
আলমগীর হোসাইন
ধন্যবাদ সবাইকে সুন্দর মন্তব্যর জন্য ।