
দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলা হয়না কি চাই আর কি চাই না,
চুপ কথার স্তুপ রোজ নিয়ম মেনে দেয় সন্তাপ!
কি আর করতে পারি, আমার হয়েছে ‘শাঁখের করাত’।
ঐ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দেখি, মহাকর্ষ বলের প্রভাব।
মনোযোগ আকর্ষণের উপরি স্তরটিও সংস্কারহীন,
কৃষ্ণ – গৌর দৌড় প্রাঙ্গণে এগিয়ে যায় প্রকৃতই দরশন।
লোকে বকুল মালা বইয়ের ভাজে শুকোতেই ভালোবাসে,
ফুলদানির শোভাবর্ধক হয়ে রজনীগন্ধা, টিউলিপরা আসে।
জল আর অশ্রু রুপমাধুর্যে এক হয়ে ও স্বভাবে ভীষণ বিরুপ।
একটি আবেগে ভাসায় অপরটি বহুরুপে ফাঁসায় ; কখনোবা পরিশুদ্ধির শর্তে তৃষ্ণা মেটায়।
ফোরাত কূলে ডিহাইড্রেড হয়ে মৃত্যুই কারো কারো শেষ আশ্রয় ।
একাকীত্ত্ব, অভুক্তী সমসত্ত্ব গোত্রীয় বলেই বোধহয় বজায় রাখে সদ্ভাব।
যুগপৎ উপলব্ধির চাবুকে ক্ষত – বিক্ষত করে স্নায়ুর চাপ।
সিসিফাসের ন্যায় চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গন্তব্য ছোঁয়ার আগেই আবার গড়িয়ে পড়ি।
হয়তো এ হচ্ছে আজন্ম পাপের প্রায়শ্চিত্ত কিংবা এ-ই সে নিয়তি যার পদতলে পিষ্ট দুর্ভাগা পদবী।
যাদের ভাগ্য নিয়ত সুপ্রসন্ন তারা ও কি ভালো আছে?
স্মাইলিং ডিপ্রেশনে ভুগছে কত তাবড়-তাবড় নক্ষত্র,
আমি তো অতি সাধারণ, আমার আটপৌঢ়ে চৌকাঠে হাজারটা বারণ।
ও সব জ্ঞানী গুণীদের মানায় , আমার মতো ছা – পোষাদের নয়।
আমাদের ভালো থাকতে হয় সর্বাবস্থায়,
শালীন ভাষায় __
নিজের ডেরায় নয়নতারার মতো ফুটে থাকতে হয়।
৫টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
নিজের ডেরায় নয়নতারা। অসম্ভব সুন্দর!
আটপৌরে চৌকাটে হাজারো বারণ। পরিশুদ্ধিতেও তৃষ্ণা মেটানো যায় জানতাম না। অসাধারণ কবি। কলম চালু থাকুক। শুভ কামনা সবসময়।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ আবেগময় এক কাব্যিক ভাবনার প্রকাশ কবি আপু ভাল থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
লোকে বকুল মালা বইয়ের ভাজে শুকোতেই ভালোবাসে,
ফুলদানির শোভাবর্ধক হয়ে রজনীগন্ধা, টিউলিপরা আসে… চমৎকার উপমা!
মোঃ মজিবর রহমান
স্মাইলিং ডিপ্রেশনে ভুগছে কত তাবড়-তাবড় নক্ষত্র,
আমি তো অতি সাধারণ, আমার আটপৌঢ়ে চৌকাঠে হাজারটা বারণ।
ও সব জ্ঞানী গুণীদের মানায় , আমার মতো ছা – পোষাদের নয়।
আমাদের ভালো থাকতে হয় সর্বাবস্থায়,
কেমন করে লিখে যায় কলম ধারকের হাতে বুঝিই না। চমৎকার লিখন।
হালিমা আক্তার
বকুলের সাথে ছুঁয়ে থাকে ভালোবাসার আবেশ। শুকিয়ে গেলেও সুবাস জড়িয়ে থাকে। রজনীগন্ধা, টিউলিপ প্রতিনিয়ত ফুলদানি থেকে বদল করতে হয়। চমৎকার লিখেছো।