“পরবর্তী রেসিপি কি? বেগুন দিয়া ব্যাঙ ভাজি?”
কবির কথা ফেলতে মানা,
ফেললে হতে পারে জরিমানা,
কে আর সাহসে রাখে, এমন যদি হয়য় দস্যিপনা!!
তথাস্তু বলে শুরু করাই যেতে পারে,
একটু ধীরে, গোছালো ভাব নিয়ে চূড়ান্ত অ-গোছালো ভাবে,
বেগুনের হয়/থাকে হরেক রকম, গুনের যেমন গুন থাকে
রঙ বাহারে, বাহারি রঙে।
লম্বা বেগুন চিক্কণ বেগুন, গোল গোল তাল বেগুন
তাল-গোল বেগুন সে অ হয় ঢের। সাদা সাদা সাহেব বেগুন
মুঠো উপচানো সুডৌল/সুঠাম সাদা সাদা দুধ-সাদা গোল বেগুন।
(এ বেগুন দেখলে ভয় লাগে, তাই রান্নালোচনায় খুব করেই বাদ)
হাসি-মুখ বেগুন দোকানির সেই মৃদু-হাসি আহ্বান, ‘আপা নিয়ে যান
রান্না-ব্যবহারে সাধ ও স্বস্তি পাবেন’, অজ্ঞানতার কারণে বাদ দিচ্ছি।
নিলাম সাদা লম্বা বেগুন, সাবধানে কেটে লম্বালম্বি, ধুয়ে মুছে সাফ করে।
পানি ঝরিয়ে রেখে দিলাম, শান্ত শরীরে।
দেশি পিঁয়াজের বেরেস্তা ভেজে নিতে হবে ঘানি-ভঙ্গা সরিষার তেলে
দিতে হবে লবণ ছিটিয়ে, ভাজার আগে আগে, বেরেস্তা হবে ঝরঝরে কুড়মুড়ে,
রসুন কুচি আরা আদা কুচি আগাম ভাজতে হবে, কাঁচা লঙ্কা ফেলে;
সামান্য আলুবোখারা আর কাজু বাদাম পেস্ট তৈরি থাকবে হাতের কাছে,
এবারে লম্বা কর কাঁটা পিয়াজ কুচি ফেলে দিয়ে বেগুন হাল্কা নেড়েচেড়ে
তেলের দিকে লক্ষ্য রেখে চুল এবার বন্ধ হবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে ব্যাঙ-মাংসের অপেক্ষায়।
সুশ্রী নাদুস নুদুস ব্যাঙ ঝাঁপি থেকে তুলে আদর সোহাগ করে
ধুয়ে নিতে হবে খার-সাধুর ঘ্রাণ-পানিতে।
এবারে সাবধানে তীক্ষ্ণ ছুরিতে বিদ্ধ করে ফালি ফালি করে কেটে নিতে হবে
আলগোছে, রক্তপাতহীন ভাবে প্রেম-ছুরিতে।
অকস্মাৎ ব্যাঙটি এক লাফে চড়ে বসে রান্না-কবির কোলে
কবিকে ছাড়া কিছুতেই সে শোবে-না সে তপ্ত-কড়াইয়ে বুকে!!
রান্না-কবি!!
সে তো কবেই পুড়ে-পুড়ে খাক হয়ে আছে কবিতা-কড়াইয়ে!!
৩০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আমি আগে মেডেল লইয়া লই। 🎖🎖🎖
ছাইরাছ হেলাল
মেডেলের মাথা-মুথা নষ্ট না হলে সে একান্তই আপনার!!
দেখা যাক কতক্ষণ টিকে থাকে এই গগনসম-পিরিতি!!
প্রহেলিকা
এই লেখা পইড়া হাসতে হাসতে শেষ। শেষে এসে ব্যাঙ বাবাজি এমন পল্টি লইলো না’কি কবিরেও ভাজার ফন্দি। কবিতো আসলে পুড়তে পুড়তেই কবি হয়েছে। এই ব্যাঙ যতোই সুশ্রী হউক তা কিন্তু বিরোধীদলীয় সেটা ফকফকা। সাদাসাদা সাহেব বেগুনদের এখন কি হবে? তারাতো সেই কখন থেকে ব্যাঙের জন্য অপেক্ষা করছে। ব্যাঙ যে এতো তালে তালে তালাতালি করবে কে জানে? সোনেলাবাসীর কি তাহলে বেগুন দিয়া ব্যাঙ ভাজি খাওয়া হবে না? যা থাকে কপালে, দেন কবিরে সহ কড়াইয়ে ফালাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলাবাসীদের মতলব বেশি সুবিধের মনে হচ্ছে না।
এরা কী-না কবি-ভাঁজা খেতে চায়!! কী সব উদ্ভট ভয়-মুখো কথা!! এ কোন্ রাক্ষসপুরী, হাউ মাউ খাউ!!
কবিরা কী রাক্ষস-খোক্কস প্রজাতি!! তা কি করে হয়, যতই খারাপ হোক না কেন!! কবি তো!!
প্রহেলিকা
কি সব নিয়ে লেখালেখি শুরু করলেন। রেসিপি রেসিপি তাও ব্যাঙের রেসিপি। দেখুন আপনি কবি তা আমরা মানি, আপনি যে আপনার একার সম্রাজ্যে অন্য কবিদের পছন্দ করেন না তাও জানি তাই বলে ব্যাঙ এর দোহাই দিয়ে কবি পুড়িয়ে মারার কথা ভাবছেন! কি ভয়ংকর।
যাহোক, হোক ভয়ংক, কবি-ভাজা টেস্ট করতে হয় তাহলে এবার। কবিদের চোখগুলোকে মাছের মতো মনে হবে। তবে চামড়া ছিলে নিতে হবে কিন্তু আগে। তা শেষে কি রান্না শেষ হয়েছিল? ভাজি খাবো!
ছাইরাছ হেলাল
আহারে কবিরা তো কবি, তারা অমর প্রজাতি!!
এবারে আপনি একটি রেসিপি দিন, আমরা চেখে দেখি।
আমি কিন্তু কবি না, কোবি!! মনে থাকে যেন!!
ছেলা চামড়ার কাজটি আপনি-ই শুরু করে দিন।
প্রহেলিকা
ছল তো ভালোই জানেন, তাইতো আধাগল্প রেখে দিছেন। মনে ধরছে বিষয়টা, একটা ট্রাই করাই যায়। খাওয়ামু সবাইকে কবিব্যাঙ দিয়ে বেগুন ভাজা!
ছাইরাছ হেলাল
এ ভাবে ধরে ফেললে তো হবে-না!!
নামিয়ে ফেলুন ভাজাভুজি করে, একটু চেখে দেখি!!
প্রহেলিকা
মডুরা ঘুমাই আছে, আপনি চব্বিশ ঘন্টায় দুই পোস্ট দিছেন তারা দেহেন নাই! ২২ সেকেণ্ড বাকী ছিলো তো! তারা কি আসলেই ঘুম নাকি স্বজনপ্রীতি? মডুগণ এহন দেখবো না তো!
ছাইরাছ হেলাল
এটাই কবিদের স্বভাব। মোক্ষম সময়ে পাল্টি!!
প্রহেলিকা
এগুলো নতুন কিছু না, মডুদের স্বজন হইতে পারলাম না তাই চুপ করেই থাকি। আপ্নারা একটু সুযোগ নিতেই পারেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমার তো সন্দেহ হয় আপনিই মডু/ফডু!!
এ জন্যই দুই পোস্ট দিয়েও পোস্ট সহ টিকে আছি।
প্রহেলিকা
আহা আমি মডু হলে সেই কখনোই ঘ্যাচাং করে দিতাম। কবিদের যারা দেখতে পারে না, তাদের জন্য ২৪ঘন্টার জায়গায় আরও ২৪ঘন্টা বাড়িয়ে দিতাম।
ছাইরাছ হেলাল
কবিদের কবি-স্বভাব বলে কথা!! এ আর নূতন কী!!
বুঝি, সব-ই বুঝি!!
তৌহিদ
আল্লাহ এই মানুষরে কেউ থামায়না ক্যারে!!
বেগুন দিয়া ব্যাঙ ভাজি! তাও এত বাহারি বেগুনে?
রান্নার পরে ব্যাঙ লাফিয়ে কবির কোলে! কবি কি মূর্ছনা যাননি?
ছাইরাছ হেলাল
রান্নার আগেই লাফ দিছে, তাই আর সমস্যায় পরতে হয়নি।
থামানোর উপায় জানে না কেউ, এটিই সমস্যা!!
ইঞ্জা
ব্যাপার কি ব্যাঙ নিয়ে টানাটানি?
ছাইরাছ হেলাল
শুনেছি ব্যাঙ নাকি সুস্বাদু!
ইঞ্জা
ইয়াক, আমি ভুলেও ধরবোনা, যদি শুনেছি মুরগির মতো।
ছাইরাছ হেলাল
ইয়াম্মি খাবার কে ইয়াক বলতে নেই।
শুন্য শুন্যালয়
হাহাহা। লেখাতো রান্নাবান্না ক্যাটাগরিতে যাবে। এহেম রেসিপি একান্ত অনুভূতি কেমন করে হয়, যেখানে একেবারে রাঁধুনিদের মাস্টার সেফ অনুভূতি পর্যন্ত ঝাঁকায় নড়ায় দিছেন।
আপনি বেগুনের চাষ করেন? নাকি সেলসম্যান?
ব্যাঙ আর বেগুন এর রন্ধনে কবি নিজেকেও এভাবে রেঁধে বসলো, এখন এই রান্না খাবে কে?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অনুগ্রহ করে রানাবান্নায় ফিট করে দিন।
চাষি না, সেলসম্যান ও না, বেগুন ডরাই খুব!!
মরা -কান্না কেঁদে-কেটে কেউ না কেউ খাবে, এ আশা রেখেই বাঁচে আছি।
প্রহেলিকা
লেহ্যালেহি ফালাই থুইয়া কই গেলেন!
ছাইরাছ হেলাল
যাই নাই, যাওয়ার চুলা নাই।
আল্লাহর সাথে দেখা/কথা বলার ব্যর্থ! চেষ্টা করে আসলাম।
রিতু জাহান
আহা! সাদা সাদা গোল গোল কচি বেগুন দিয়ে আইড় মাছ দেখতে পাইতেছি ব্যাঙের বদলে। ঘনো ঝোল।
বেরেস্তার গন্ধে এখনি ভর্তা খাইতে মন চাইতেছে। কিন্তু ব্যাঙ!! ওয়াক। মরলাম আমি। তা বলি, কবির হলোটা কি?
আমি বেগুন ভর্তা খুব মজা করে করি নাকি!! সবাই বলে আর কি। শুধু কর্তা বাদে। তার তো শুধু ক্ষুৎ ধরা চাই।
ভেবেছি বেটারে এবার এই রেসিপিই চালান করে দিব।
তবে ব্যাঙ যদি এমন করে লাফ ঝাপ দেয় আমি তো নাই।
একে তো ব্যাঙের ডাক আমি ভয় করি।
‘যদিও পুড়ে গেছি চিতা সাজার আগেই,
চলে গেছে কিছু যাবার আগে
তাই তেল কড়াইতে আর মন দেহ পোড়ার ভয় কিসে!!’
চরম ছিলো গুরুজি।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, দারুন মন্তব্য,
আপনি একটি রান্নাবান্না পোস্ট দিয়ে দিন।
এখন আর পোড়ার ভয় নেই।
উহ, এমন ভর্তা কত দিন খাই না!!
আরজু মুক্তা
হাসি কই রাখি!
ছাইরাছ হেলাল
ছয় অক্ষরে তো হাসিকে বাঁধা যাবে না।
শব্দ সংখ্যা অকৃপণ ভাবে বাড়িয়ে দিন।
সকাল স্বপ্ন
শেষ অবধি সব পুড়ে ছাই
না এই হাত রান্নার নয়,
তবে কবিতার কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না
কিন্তু মগজ ধুলাই কিছু টা হয়েছে আর কি!
লিখা- ভাল
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা আর রান্না কে কার কে জানে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।