চলমান ইস্যু নিয়ে ভেতরে-বাইরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। চায়ের কাপে ঝড় তোলা সেই আলোচনা ব্লগেও উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। এই ব্লগ সাইটেও একজন সম্মানীত ব্লগার জনাব নাজমুল আহসান তার লেখা মূর্তি , ভাস্কর্য ও অন্যান্য (https://sonelablog.com/মূর্তি-বনাম-ভাস্কর্য/)শিরোনামে একটি লেখা সম্পাদনা করেছেন।
চলমান ইস্যুকে রাজনীতি বলে অভিহিত করেছেন। তার সেই লেখার প্রেক্ষিতেই আমার এই লেখা “রাজনীতিকে ঘৃণা নয় বরং অপরাজনীতি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত থাকুক” । ব্লগার জনাব নাজমুল হাসানের কাছে কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
অনেকে রাজনীতিকে দুষছেন। আমি জানিনা তাদের এই রাজনীতি ভীতি কেন। রাজনীতির প্রতি অনিহা জাতিকে বিবেবহীন করে ফেলে। বিট্রিশ আমাদেরকে যা শিখিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটা হলো রাজনীতি হীনতা। আমার এই প্রতিষ্ঠান রাজনীতি মুক্ত এই শ্লোগান দেখা যায় কোথাও কোথাও। অথচ ভিতরে ভিতরে সবাই রাজনীতি করে।
ভেবে দেখুনতো আমাদের পূর্ব পুরুষগণ রাজনীতি না করলে 47 সে দেশ ভাগ হতো কিনা, 52 ভাষা আন্দোলন, 69 এর গণআন্দোলন, 71 এ স্বাধীনতা যুদ্ধ কি হতো, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কখেনো কি সম্ভব হতো যদি রাজনীতি না হতো। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু যদি মাওঃ ভাষানী, মাওঃ শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ., শহীদ সরোয়ার্দির কাছে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দিক্ষা না নিতেন তাহলে কি বাংলাদেশ স্বাধীন হতো?
আমরা আজ যে স্বাধীনতা ভোগ করছি, স্বাধীনভাবে মায়ের ভাষায় কথা বলতে সক্ষম হয়েছি তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র রাজনীতির কারনে। সুতরাং রাজনীতি ভীতি নয় বরং অপরাজনীতি থেকে দূরে থাকা দরকার।
ছাত্রদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, বাক স্বাধীনতার চর্চা অব্যাহত রাখতে, ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করতে, সকলের মাঝে সৌহাদ্য সম্প্রীতি বজায় রাখতে সঠিক রাজনীর চর্চার কোন বিকল্প নাই।
আমরা সবাই যদি রাজনীতিকে ঘৃণার চোখে দেখে বসে থাকি তাহলে হয়তো দেশ উন্নত হবে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে কিন্তু বাক স্বাধীনতা থাকবে না, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা ব্যহত হবে, অপরাধ ডাল পালা মেলতে থাকবে সর্বত্র। তার কিছুটা আচঁ করা যায় বর্তমান সময়কে পর্যবেক্ষণ করলে।
এক শ্রেণীর ধান্দাবাজরা আমাদের মাথায় রাজনীতিহীন মানসিকতা ঢুকিয়ে দিতে সদা তৎপর। আপনি যদি সংঘবদ্ধ না হন, আপনার যদি কোন দল বা সমর্থন না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবেন যেখানে নৈতিকতাহীনরা সবসময় সংঘবদ্ধ, কিভাবে আপনি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রণয়ন কিংবা কার্যকরের কথা বলবেন কিংবা দাবী আদায়ের জন্য কিভাবে সড়কে কথা বলবেন, কিভাবে আপনার দাবীর স্বপক্ষে জনমত গঠন করবেন। বরং সংঘবদ্ধতা ছাড়া ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে গেলে আপনি বা আপনার পরিবার এই ধরণের অপরাধে ভিকটিম হতে পারে। ভেবেছেন কখনো?
মনে রাখতে হবে আমাদের আজ যা কিছু অর্জন তা আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে প্রাপ্ত। তাদের কাছে আমাদের দায় আছে। এ দায় কিছুটা হলেও শোধ করা যাবে যদি রাজনীতির শুদ্ধ চর্চা অব্যাহত থাকে। তাই রাজনীতিকে ঘৃণা নয় বরং অপরাজনীতি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত থাকুক। সেই প্রত্যাশা করি সকলের কাছে।
৭টি মন্তব্য
নাজমুল আহসান
শুদ্ধ রাজনৈতিক চর্চা কোনটা?
কোন দলকে সমর্থন দিতে হবে পরিষ্কার করে নাম বলেন।
মোঃ খুরশীদ আলম
কোন ব্লগার কোন বিশেষ দল বা সংগঠন করতে কাউকে উদ্বুদ্ধ করার অধিকার সংরক্ষণ করেনা। ব্লগ রাজনৈতিক দলের প্রচার মাধ্যম নয়। সুতরাং আপনার জিজ্ঞসার সরাসরি কোন জবাব হয় না।
ভাল শার্টটা, ভাল প্যান্টা, ভাল দেশী মুরগীটা, বড় বড় ডিমটা, ভাল দেশী গরুর গোশতটা, মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ার নিশ্চয়তায় ভাল মেডিসিনটা যেখাবে পরখ করে করে বাছাই করেন সেভাবেই ভাল রাজনৈতিক দলটাও বাছাই করে নিন। নিজের মাথাটাকে খাটান। মস্তিস্ককে উর্বর করুন। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন অবিরাম। প্রত্যাশা রেখে গেলাম। ধন্যবাদ।
নাজমুল আহসান
আমার মস্তিষ্ক উর্বর নয়। সেজন্যে “ভালো” রাজনৈতিক দল খুঁজতে গিয়ে চোর-ছ্যাঁচোড় আর শুয়োর ছাড়া কিছু পাইনি। সেক্যুলারিজম চর্চা করা দল যেমন চোর, ইসলামের লেবাসধারী ভণ্ডরাও তেমন চোর।
আপনার মস্তিষ্ক উর্বর, সেটা বোঝা যাচ্ছে।
নাজমুল আহসান
আপনি আমার পোস্টটা পড়েছেন। এরপর আমার নাম উল্লেখ করে আক্রমণাত্মক ভাষায় নিজে একটা পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু, আমার পোস্টে কমেন্ট করতে পারেননি। কেন পারেননি, সেটাও বোঝা যাচ্ছে।
নাজমুল আহসান
আপনার উর্বর মস্তিষ্ক যে আমার পোস্টের মাজেজা ধরতে পারেনি, এটাও বোঝা যাচ্ছে।
মোঃ খুরশীদ আলম
জনাব আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। কোন ব্যক্তি বিশেষকে আক্রমণ করে আমি কিছু বলিনি বা লিখিওনি। আমার পোষ্ট দেয়ার কারণ উল্লেখ করে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেছিমাত্র। কারণ আপনি ঐ পোষ্ট না দিলে হয়তো আমার এ পোষ্ট দেয়া হত না। তারপরও আপনি কোন ভাবে ব্যথিত হলে আমি সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী ভাই।
দয়া করে এবার একটু হাসুন। ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
রাজনীতি আর ধর্ম দুটোই নিজের মতো চলুক