সন্ধ্যা বেলা, নিঝুম চারপাশ, ধির গতিতে হাটছি আমি, কানে হেডফোন বেজে চলেছে যাক না উড়ে মিলন মাহমুদ এর সুরে, খুব একাকী মনে হচ্ছিলো নিজেকে, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মিলানো আর রাস্তায় একাকী ঘুড়ে বেড়ানো, র্যানডমলি গান টাই শুনেছিলাম, একটা লাইন ছিলো বনের পাখি যাক না উড়ে, আসবে ফিরে , ভাসবেই ভালো তোকে, গানের অর্থ বুঝিনাই, বুঝার চেষ্টাও করিনাই, সে সময় টা ছিলোনা, শুধু মনে হচ্ছিলো যেনো কথা গুলা সত্যি হয় ওরে অবুঝ মন, দূরে গেলেই চিনবি আপন জন, তবু তারে রাখিস ধরে, আসবে ফিরে ভাসবে ভালো, কেমন একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছিলো তখন, অজানা এক ভয় সাথে ভালো লাগা দুই ই কাজ করছিলো, মন খারাপের সেই রাতেই ঘটনা টা ঘটে গেলো, আমি একা হয়ে গেলাম, আমি ভালোবাসা ভুলে গেলাম, তাকে নয় নিজেকে, নিজের প্রতি হারালাম ভালোবাসা, আত্বহননের চেষ্টা চালালাম বলবো না, তার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম, এ জন্য দেখা শুরু করলাম হেমলক সোসাইটি, দিনে দিনে ৩ দিনে ৮ বার দেখলাম তারপর মনে হলো মেয়েটিকে বাচানোর চেষ্টা ছিলো অযৌক্তিক, আর ছবিটা তৈরি শুধু বানিজ্যিক কারণেই, শিক্ষনীয় কিছুই পেলাম না, না পেলাম মরার রাস্তা, না বাচার আগ্রহ, দিন গুলু কেটে যাচ্ছিলো , মন ভালো করা সম্ভব হচ্ছিলো না একদম, খুব একা হয়ে গেলাম খুব একা, ধিরে ধিরে ভালোবাসা শুরু হলো শুরু হলো বেচে থাকার অল্ম রসের চেষ্টা, যদিও করা না করা একই কথা, ভিতূ মানুষ রা আত্বহত্যা করতে জানেনা, শুধু বলতেই জানে , আত্বহত্য করার জন্য দরকার পড়ে কলিজার, আমার মত মানুষের কলিজা বলতে কিছু আছে কিনা জানিনা, সেই সময় মনে পড়ে গেলো তার কথা, একদিন প্রশ্ন করলাম খুব তর্ক করছো ইদানিং এতো সাহস পেলে কোথায়? তার উত্তর ছিলো সাহস পাবার নয়, এটা এচিবমেন্ট, অর্জন করতে হয়, অপেক্ষা শুরু করলাম সাহসের, সাহস হলে আত্বহত্যা করবো, কিন্তু আত্বহত্যা কি আমার দ্বারা সম্ভব? তাই ভিন্ন চেষ্টা শুরু ভালো হয়না কি আত্বহত্যা না করে হত্যায় মেতে উঠলে? প্রথমে পাখি কিনবো গলা টিপে মারবো, তারপর বিড়াল এক কোপে, তারপর কুকুর গলায় দড়ি বেধে, তারপর মানুষ পিছন থেকে ইটের বাড়ি দিয়ে, তারপর মানুষ সামনে থেকে কোনো একদিন কোপ দিয়ে? এইখান থেকেই শুরু, আমার সাহস অর্জনের রাস্তা, তারপর হয়তো কোনো একদিন সেই সাহস পেয়ে যাবো দড়ি গলায় দিতে মায়া লাগবেনা।
১২টি মন্তব্য
অলিভার
হুট করেই নিজের উপর ভালবাসা কিভাবে হারালেন, কেনই বা হারালেন সেটা কিন্তু বলেননি। আর নিজের এই অপ্রয়োজনের সাহস যোগাতে গিয়ে তো অন্যের প্রাণবিসর্জনের মত অবস্থার তৈরি হচ্ছে। এই সাহসটুকু না জুগিয়েও তো জীবনের মোড় ভিন্ন দিকে ঘোরানো সম্ভব। চেষ্টা করেই দেখুন না একবার।
সোনেলা ব্লগে স্বাগতম 🙂
আশা করি নিয়মিতই লিখতে থাকবেন আমাদের জন্যে 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, হুট করে নিজের উপর ভালোবাসা কেউ কভু হারায়না, আর অন্যের প্রাণ বিসর্জন না হয় শুধু গল্পেই থাক অথবা যাযাবরের ডায়রী তে, তেমন কোনো অবস্থা আজো তৈরি হয়নি
হিলিয়াম এইচ ই
স্বাগতম সোনেলায়
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ আপনাকে
কৃষ্ণমানব
লেখার ধাচে বোঝা যাচ্ছে , জীবনটা একেবারে শূণ্যের কোঠায় পরিসমাপ্তি হয়েছে !
এই জীবনের অভিজ্ঞতা অপ্রতুল !
বেচে থাকাই জীবনের বড় স্বার্থকতা 🙂 !
আশা করি, নিজের জন্যে না হলে ও কারো মুখের অকৃত্তিম হাসির জন্যে ভালো থাকার চেষ্টা করবেণ ।
সোনেলায় স্বাগতম 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
না ভাই শূন্যের কোঠায় নামেনি এখোনো, লেখার ধাঁচ কেনো আমন হয় নিজের ও অজানা, বেচে তো থাকবই আর কারো জন্য হোক না হোক আপনাদের জন্য না হয় থাকলাম
ধন্যবাদ ভাই
খেয়ালী মেয়ে
এতো হতাশ কেনো?..
জীবন অনেক সুন্দর–সুন্দর সবকিছুকে আপন করে নেন,দেখবেন সব হতাশা ভ্যানিশ হয়ে যাবে,..
হৃদয়ের স্পন্দন
ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
সীমান্ত উন্মাদ
ব্যার্থতা জীবনে আসতেই পারে তাই বলে হতাশ হওয়া ঠিকনা। জীবন হলো পাগলা ঘোড়ার মত তাকে চাপকে চাপকে আপনার আশার গন্তব্যে নিয়ে যান। শুভকামনা থাকল নিরন্তর
হৃদয়ের স্পন্দন
শুভ কামনা আপনার জন্য ও, পরামর্শের সাথে উপমা সত্যি ভালো লাগলো
জিসান শা ইকরাম
স্বাগতম সোনেলায়।
হত্যা বা আত্মহত্যার চিন্তা কোনটাই ভালো না।
আমরা বেচে থাকার চিন্তা করি, অবশ্যই সুন্দরকে সাথে নিয়ে।
লেখা ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমার মত অধমের লেখা ভালো হয়েছে জেনে সত্যি খুশি হলাম, শুভ কামনা আর ধন্য যোগ রইলো