, রাস্তার এপারে ওপারে কত বাজার দেখলাম, আবার দেখলাম ফর্মালিন মুক্ত বাজার ও ,
সম্ভবত বাজারগুলোর নাম কোন লোকের নামেই হবে।অথবা কিছু ঐতিহ্য সম্পর্কিত কোন স্হান বা ঘটনা সমূহের নামেই নামকরণ করা হয়েছে ঐ সব বাজার ।
গাড়ীতে উঠে বসে জানালা দিয়ে রাস্তার পাশে উঁকি মেরে দেখলাম…রাস্তার দু-পাশেই নীল,লাল,হলুদ সহ না রংবর্ণের সাজে সজ্জিত ভাবে সাজিয়েছে বাজারটিকে।
ছোট বাজার কি অপরুপ দেখতে লাগল,আমি ভেবেছিলাম হয়তো বা কোন বিয়ে বাড়ী হবে।
…পরক্ষনায় চোঁখ ঝাপসা হয়ে গেল দোকানের সাইনবোর্ড দেখে, দেখি ওটা একটা বাজার , বাজারের নাম টুকটুকির বাজার।
মনে মনে চিন্তা করে দেখলাম আচ্ছা এই বাজারের নাম টুকটুকি হল কেন ?
মনখান সহজ ভাবে বিটিভির ঐ সিসিমপুরের টুকটুকির কথা স্বরণ করিয়ে দিল__যে ঐ টুকটুকির নামে হয়তো বা এই বাজারের নাম দেওয়া হয়েছে।
মনটা নীরবে উত্তর দিল–ও তাই !
গাড়ি চলছে আর চলছে…একটু পর পর শুধু দুই দিকেই দেখা যাচ্ছে যে কোন একটা বাজারের পটভূমির ফটক।
লালমিয়ার বাজার,টুনির বাজার , হাটুভাঁঙ্গা, এলেংগা,নকলা সহ অনেক বাজার তাও আবার রাস্তার দু পাশের কথা বলতেছি।
জানিনা রাস্তা থেকে গোটা বাংলাদেশে কতগুলো বাজার আছে ঠিক তেমনি করে আছে তার কিছু কাল্পনিক বা বাস্তবতার কিছু ও রসিকতা করেই দেওয়া নাম।
..এমনিতেই বাজার দেখতে দেখতে হয়রান হয়ে গেছি।
বগুড়া ক্যান্টনম্যান এর কাছাকাছি চোঁখে পড়ল একটা বাজার…তখন ঘাবড়িয়ে যাই নি।
যখন দেখলাম বাজারে বিশাল বড় একটা বিল-বোর্ডে লেখা..”ফর্মালিন মুক্ত বাজার..”
আমি কিন্তু একটু খুশি খুশিবোধ করেছিলাম যে ফর্মালিনমুক্ত হয় তো বা হয়েছে কারণ এই বাজারে মনে হয় ফর্মালিনযুক্ত খাবার বা স্ববজ্বী একদম নেই।
কিন্তু আমি কিভাবে নিশ্চিত হয়ে থাকব যে _ ঐ বাজারে কোন ফর্মালিন মেশানো কোন খাবার নেই।
হঠাত্ দেখি কিছু সবজ্বী শাখ এর দোকান…দুর থেকে একটু উকি দিয়ে দেখলাম কিছু শাক ও বেগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।
বেগুন যতটা এখনও স্টিলবডি নিয়ে দারিয়ে আছ যে_আই আরও কিছুক্ষন থাকতে পারবাম।
কিন্তু বেচারা শাঁক এর অবস্হা ভয়াভহ।
…ফট করেই মাথায় একটা ঘানটি বানিয়ে দিল। যে আরে দেশের মানুষের মনে যদি ফর্মালিন থাকে তাহলে খাবারের মাঝে একটু ফর্মালিন এ কিছু হয় না।
আর মনে হয় ঐ বিল-বোর্ডটি অনেক আগেই টাংগিয়ে দেওয়া হয়েছিল,কিন্তু এখন করও খোলার সময় নেই ।
কিন্তু বা এটাও হতে পারে…পঁচা শাঁক সবজ্বি খাব তবুও ফর্মালিনযুক্ত খাবার খাম না।
কিন্তু মনটাকে এতক্ষনে ও বোঝাতে পারলাম না যে__ভেজাল দেশের ভেজালের রাজত্বে কার কি করার! চলছে তো চলছেই….
৭টি মন্তব্য
প্রজন্ম ৭১
যে তরকারী, মাছ, ফল দেখবেন তাজা, তাতেই ফরমালিন থাকে।
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
কিন্তু বাজারে ফর্মালিন মুক্ত লেখা দিল কেন ?
জিসান শা ইকরাম
ফর্মালিন ব্যাতিত এখন আর কিছু ভালো নাও লাগতে পারে।
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
তা ঠিক 😀
স্বপ্ন নীলা
এখন বাজারে গেলে ভয়ে ভয়ে সব কিছু কিনতে হয় — কোথায় আছি আমরা
সাইদুর রহমান সিদ্দিক
-:-
অলিভার
প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যা সাপ্লাই আসে তাতে জেনে কিংবা না জেনেই বিভিন্ন রাসায়নিকের সাথে ফরমালিন দিয়ে থাকে তারা কিংবা সরবরাহকারীরা। ঢাকায় নিয়ে আসতে আসতে এমন অনেক জিনিষ রয়েছে যা নষ্ট হয়ে যাবে কিংবা এমন অবস্থায় পৌঁছে যে সেটা ক্রেতা দাম দিয়ে কিনতে চাইবে না। তাই কম আর বেশি যেমনই হোক, প্রতিটা জিনিষেই এখন ফরমালিন নামে বেনামে দিয়েই থাকে তারা।
ফরমালিন মুক্তির পথ ফরমালিনের বিকল্প যা দেহের জন্যে ক্ষতিকর নয় কিংবা সহজে পণ্যের উপর প্রভাব ফেলে না কিংবা পণ্য হতে সহজে বিলীন করা যায় এমন কিছু আবিষ্কার করা। এ ছাড়া আসলে বিশাল চাহিদা মিটিয়ে এত পণ্য সংরক্ষণ আর পরিবহন করা সম্ভব বলে মনে করি না।