
শুনেছি পাতাদের কোলাহল!
বাদামী শরীরে তার অজস্র শিরা ঋনাবদ্ধ। ঝরেনি আকাঙ্খি বৃষ্টির বিলাস্য নামচা!
পথিকের কানে শ্রবণহীন ডামাডোলে নিরুত্তর থাকে যাবতীয় কথাদের দায়।
পাথর ভারী হলে জলের তলে আশ্রয় হয়।
তবে আর ঘোলাটে সময়ের গায়ে কলংক লেপে কে- কোন দুঃসাহসে!
বিভ্রম অথবা বাস্তবতার মাঝ বরাবর সেতু ঝুলে আছে বিপরীত জিঘাংসার বোঝাপড়া।
আঙুলের ক্ষত মনে করিয়ে দেয়, স্বরবর্ণ ব্যঞ্জন বর্ণের তাবৎ অহংকার।
পাতাদের শরীর দেখে দেখে আরেকটু বাড়িয়ে বেড়ে ওঠার সময় নিচ্ছি শুধু পৃথিবীর কাছ থেকে।
রেসের ময়দান যেখানে জোরেসোরে বসিয়ে যাচ্ছে জুয়ার দর কষাকষি!
পঙ্গুত্ত্বের শক্তি নিয়ে আমি সেথা সিলিংএর পাখায়
পুরোনো ধ্যানগম্যির রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড টানানো দেখি। আমার চারপাশ ঘিরে থাকে ইট বালু’র গাঁথা দেয়াল। জানালা ভরা মৃত জোনাকির আলো।
উঠোনজুড়ে মরুভূমির ঋনখেলাপি চোখ,
ঘাসের বুকে জ্বলতে থাকে বারোমাসি অমাবশ্যার পিদিম।
চারা থেকেই আমি পরিচিত বটবৃক্ষ।
ছাড়িনা নগ্ন ছায়ার অভিশাপ।
আমারও ডাল থেকে পাতায় পাতায় অভিযোগের তালিকা;
তবু ছায়া দিয়ে বেড়ে ওঠায় কাউকে করি অভিশপ্ত।
গিলে যাই আরক্ত গোপন আরক।
হয়ে উঠি হৃত রাজ্যের সোনালী দুঃখ।
শব্দবন্ধ বাক্য ফিরে পেতে আমি নিরক্ষর -হাতেখড়ি নেবার চেষ্টায় বুঁদ হতে চাই….
ছবিঃ সোনেলা গ্যালারি থেকে
৩টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির এক উপলব্ধিকর অনুভব প্রকাশ কবি আপু ভাল থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
ছুড়ে মারা অভিযোগেরা আমারই দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে,
আমি অন্ধের ভান ধরি
বধিরত্ব বয়ে বেড়াই নির্বাক হয়ে,
অদৃষ্টের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়েনি কোনকালে
অভিশপ্ত দিন গুলোতে শুধুই অভিযোগ প্রসব হয়..
এই লাইনটার ওজন এতদিন কীভাবে সামলেছো সেটাই ভাবছি!
❝পাথর ভারী হলে জলের তলে আশ্রয় হয়❞
বন্যা লিপি
ছুড়ে মারা অভিযোগেরা আমারই দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে,
আমি অন্ধের ভান ধরি……”
দিনে দিনে বালুকণা জমে হয়েছে পাথরের পাহাড়।
সমুদ্র নিয়েছে তার সবটুকু ভার।
বহুদিন পরে এলে। আমিও আর ছিলাম না কোথাও। টের পাই এখনো যাচ্ছে ফরিওয়ালা হাঁক দিয়ে। এ ঘরে রসদ ফুরিয়েছে বলে কপাট খুলি নিথর দেহে…..