একের পর এক দুর্ঘটনা। আতঙ্কিত নগর জীবন। দুর্ঘটনা। উদ্ধার অভিযান। তদন্ত কমিটি গঠন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস। বেশ কিছুদিন গরম গরম হইচই। অতঃপর। অতঃপর আবার চলছে জীবন।এভাবেই চলছে জীবনের চাকা। দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসেনা। আবার কার মৃত্যু কোথায় কিভাবে হবে সেটাও আমরা জানি না। তাই বলে একের পর এক একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। এটা তো মেনে নেয়া যায় না।
২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। উক্ত ঘটনায় ৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।
২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজার এলাকায় এক বিস্ফোরণে অনেক লোক হতাহত হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে ৫১ জনের মৃত্যু ঘটে। বছর না ঘুরতেই সেই সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন গ্যাস উৎপাদন কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে ছয় জন নিহত হন।
কয়েক দিন আগে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণ ঘটায় তিন জন নিহত হন। এর রেশ না কাটতেই আবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে নর্থসাউথ রোডে। এঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জন মারা গেছেন।
প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার ঘটার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে, পরবর্তীতে যেন আর দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়। কিন্তু এরপর! আবার যেই লাউ সেই কদু। আগের মতই সব স্বাভাবিক চলতে থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আবার নতুন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। পুরানো ঢাকার প্রায় বাড়িতে নিচ তলায় কারখানা অথবা বিভিন্ন দ্রব্যের গোডাউন। সেগুলো যে দাহ্য পদার্থ নয়, তা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবো না। অথচ চুড়িহাট্টার ঘটনার পর বলা হয়েছিল। রাসায়নিক এবং দাহ্য পদার্থের গুদাম গুলো অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া দুর্ঘটনা গুলোর প্রধান কারণ হয়ে থাকে আমাদের অসতর্কতা এবং অসাবধানতা। একটু সচেতনতাই পারে আমাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে। আমরা সকলেই এই ছোটখাটো বিষয়গুলো এড়িয়ে চলি। আমাদের যেরকম সচেতন হতে হবে, সতর্ক হতে হবে, এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা পেতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
ছবি ও তথ্য সংগ্রহ – অনলাইন থেকে।
৬টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে সুন্দর লেখা। সত্যি এটা খুব দুঃখজনক । শুভ কামনা এবং অনেক ধন্যবাদ ।
হালিমা আক্তার
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এসব খুবই দুঃখজনক!!!
হালিমা আক্তার
ঘটনা ঘটলে নড়েচড়ে বসে। আবার যেখানে ছিল সেখানেই স্থির। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
নিতাই বাবু
এসব দুর্ঘটনার জন্য আমরাই দায়ী। একটু সতর্কতা অবলম্বন করে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
হালিমা আক্তার
সত্যি বলেছেন। একটুখানি সচেতন হলে অনেক দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।