
কুয়াশা চারিধার, ভয়ানক অন্ধকার
নীহারিকা পথ হারায় বারবার
দুঃখ-কষ্ট জীবন মিলেমিশে একাকার
আলিঙ্গনে পাইনি কোন উপহার
কুকুরের সাথে ভাগ করে খাই উচ্ছিষ্ট খাবার।
রুগ্ন দেহে ছেঁড়া বস্ত্র গায়
কাগজ কুড়াই ফুটপাতে, ঘুমাই রাস্তায়
ঝড়, বৃষ্টি আর অনাদরে কষ্ট পাই অবহেলায়
চোখ রাঙ্গিয়ে সবায় দূরদূর করে তাড়ায়।
স্বাধীনতা দিবসের মানে আমাদের জানা নাই
বাঁচার তাগিদে প্রতিনিয়ত করে যাই লড়াই
আমাদের জীবনে ভালোবাসার নেই কোন বড়াই
মায়ের দেয়া নামে কেউ ডাকে না, সবাই বলে টোকাই।
১০টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
এ এক নিদারুণ কষ্ট!!! মায়ের দেয়া নামটি হারিয়ে যায় সময়ের স্রোতে।। তীরে তীরে তরি ভীরায় জীবনের একটু খানি সুখের লোভে।জীবন কি তাদের কাছে আছে তার চরম ব্যাখ্যা।
কবিতাটি ভালো লেগেছে কিন্ত বিষয় টিতে কষ্ট লেগেছে বড্ড!!! মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
সাখাওয়াত হোসেন
তবুও ওঁরা জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলছে অবিরত। সামান্য সহযোগিতা পেলে ওরাও দেশ ও জাতির সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
ধন্যবাদ আপু ভাল থাকবেন।
ফয়জুল মহী
উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে এইসব টোকাই। আমরা এখন উন্নত দেশ
সাখাওয়াত হোসেন
হ্যাঁ ভাইয়া সবই ভেসে যাচ্ছে চোখের জলে।
ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সময়োপযোগী কবিতা। সুন্দর।
সাখাওয়াত হোসেন
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন অবিরাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
টোকাইদের নিয়ে দারুণ লেখা। ভালো লেগেছে ভাইয়া। এদের পৈতৃক নাম , ঠিকানা হারিয়ে যায় বাঁচার সংগ্রামে। ভালো থাকুক প্রতিটি টোকাই। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
সাখাওয়াত হোসেন
আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী।
ধন্যবাদ আপু ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল অবিরত।
আরজু মুক্তা
এমনিতেই তো ঠিকানা নাই। তারপর আবার নামহীন। নিদারুণ কষ্ট
সাখাওয়াত হোসেন
আমাদের সকলের সামান্য সহযোগিতাই পারে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। ধন্যবাদ আপু, ভাল থাকবেন।