
নীলাম্বরী,
দোয়ার খোলো।
আমি ভিজে যাচ্ছি জোৎস্নায়!
বাইরে কেমন মন খারাপের জোৎস্না বয়!
কি চাপিয়েছ উনুনে? ভাত,আলু সেদ্ধ!
দোয়ার খোল, চলো আজ পাখি হয়ে উড়ে যাই কোন আদিম বৃক্ষে।
অন্ধকার শাড়ি পড়ে যে দাঁড়িয়ে থাকে।
তার সবচেয়ে উচু ডালে দুজনে জিরিয়ে নিই,
এক পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাস মুছে দিই দুজনে।
যেখানে থেকে পৃথিবীর কেনাবেচা আর স্পর্শ করবেনা তোমাকে আমাকে।
দোয়ার খোল, নীলাম্বরী..
আলু সেদ্ধ হলো?
আসো আজ জোৎস্না কুড়াই স্রোতহারা কোন নদীর বুকে।
চলো কফিন সাজাই জোৎস্নার গন্ধ মেখে গায়ে।
তুমি নীল শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে জোৎস্না মেখে নাও..
হাতটি ধরো – চলো এবার চলে যাই গহীন কোন জঙ্গলে।
যেখানে মানুষ নয় পাখি হয়ে ডানা ঝাপটাবে
অতৃপ্ত দুটি পাখি – হাজার বছর ধরে।।
৭টি মন্তব্য
ত্রিস্তান
চমৎকার প্রেমের কাব্য। দেহ মন মনন ভিজে যাক ভরা জোছনায়।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
সুন্দর হয়েছে কবিতা।।
শুভকামনা রইল সতত।।।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাহ্ দারুন। এসব আলু ফালু সেদ্ধ তো সারাজীবন অনেক হলো। সব ছেঁড়ে ছুঁড়ে প্রেম কাব্য সাজাতে পারতেই হবে।
শুভ কামনা।
সৌবর্ণ বাঁধন
চমৎকার কাব্য। প্রবাহমস্ন স্রোতের মতো বয়ে গেলো যেন।
“দোয়ার” শব্দটা কি দুয়ার বা দরোজা অর্থে বলা হচ্ছে? ধন্যবাদ জানবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির প্রকাশ কবি দা
হালিমা আক্তার
জ্যোৎস্নায় ভিজে যাওয়ায় , ভালোবাসার এক অনবদ্য প্রকাশ। খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসম্ভব সুন্দর উপমা সমৃদ্ধ কবিতা। অন্ধকারের শাড়ি পরা বৃক্ষ দারুন লিখেছেন ভাইয়া। এসব আটপৌরে নিত্যদিনের কাজ দূরে সরিয়ে এবার প্রেমে ভিজে যাক শরীর মন। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন