উত্তরের এই শহর, এই জনপদ,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের
নানা অলি গলি পথ পেরিয়ে,
কয়েকশত বছর কে সাথে নিয়ে,
টিকে থাকা এই জনপদ আমাকে টানে।
আমি ফিরে ফিরে আসি বার বার।
এই শহর আমার মাতামহের,
এই শহর আমার মায়ের,
এই শহর আমার জন্মভুমি।
একটা সময় এই শহর আমাকে
দিয়েছিল বেহিসেবী সাহস,
দিয়েছিলো দুঃসাহস প্রতিবাদে, প্রতিরোধে।
জায়গা দিয়েছিলো মানুষের মনের কোনায়,
ভালোবাসার এক বিশাল জমিনে।
সেই শহরে হেটে হেটে সারা দুপুর,
জ্যেষ্ঠ মাসের এক তপ্ত দুপুরে
হেটে হেটে খুঁজে চলি হারানো অতীত।
হারানো সেই মানুষগুলো, যারা ভালবেসে
দিয়েছিলো বিশ্বাস, দিয়েছিলো নির্ভরতা।
সেই শহর, এখনো সেই একই আছে,
একই বাজার, একই দোকান,
একই রাজপথ, ভাঙ্গনের শেষ সীমায়,
ময়লা আবর্জনা আর হতাশার অন্ধকার।
এখানে সাহসের কোন মিছিল নেই,
এখানে প্রতিবাদের বৈঠক নেই,
আছে মাদক আর নেশার চলমান আড্ডা।
বদলে গেছে মানুষ,
বদলে গেছে কৈশোর,
সদ্য যৌবন এখন পৌঢ়ত্বের মুখোমুখী,
এখন সব আপোষের টানাপোড়েন।
এখন শুধু–
ঝরে পড়ার বিষাদময় পথচলা।
১৪টি মন্তব্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
সুন্দর লেখা
কাজি রাশেদ
ধন্যবাদ প্রিয় কবি
অনন্য অর্ণব
কোন শহরের কথা বলছেন আপনি ?
কাজি রাশেদ
আমার বেড়ে উঠার শহর। দিনাজপুর
সৌবর্ণ বাঁধন
বাহ। নিজের শহরের স্মৃতিকাতরতায় আমাদেরো স্মৃতির মোহে ফেলে দিলেন।
কাজি রাশেদ
আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণিত হলাম
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর অনুভব প্রকাশ কবি দা
কাজি রাশেদ
অনেক ভালো লাগা প্রিয় কবি
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি আপনার লেখায় যারা কমেন্ট দেয় তাদের রিপ্লাই দেন না। এটা ঠিক নয়।
কাজি রাশেদ
আপনার অভিযোগ মাঝে মাঝে সত্য। আমি চেষ্টা করে যাবো।
কাজি রাশেদ
আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণিত হলাম
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চেনা শহরের অচেনা মানিষ নিয়ে ক্ষোভের চমৎকার প্রকাশ ঘটেছে — এখানে সাহসের কোন মিছিল নেই,
এখানে প্রতিবাদের বৈঠক নেই,
আছে মাদক আর নেশার চলমান আড্ডা।
বদলে গেছে মানুষ,
বদলে গেছে কৈশোর,
সদ্য যৌবন এখন পৌঢ়ত্বের মুখোমুখী,
এখন সব আপোষের টানাপোড়েন।
এখন শুধু–
ঝরে পড়ার বিষাদময় পথচলা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া চমৎকার কবিতা। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
হালিমা আক্তার
সময়ের সাথে সাথে সব শহর বদলায়। কিছুটা পজেটিভ, কিছুটা নেগেটিভে বদলায়। সুন্দর স্মৃতিচারণ নিজ শহরকে নিয়ে। শুভ কামনা রইলো।