
‘গে এবং হিজড়া কিন্তু একই বিষয় নয়। গে বলতে সমকামীতা বুঝায়। অর্থাৎ, ছেলে + ছেলে মিলে যে বিকৃত যৌন কার্য সম্পূর্ণ করে তারাই গে বা সমকামী। তাদের মধ্যে অনেক মেয়েও আছে। যারা মেয়ে হয়ে মেয়েদের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। নিজেদের দৈহিক চাহিদা মিটায়! আমাদের দেশে গে বা সমকামীতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে! বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় গে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় ‘গে কলবয়’ নামক অনেক সংগঠনও রয়েছে। ফেসবুকে চার্স করলে অনেক ‘গে সাপোর্ট বাংলাদেশ, গে সমর্থক গোষ্ঠি, গে সার্ভিস সেন্টার ইত্যাদি নামক অনেক অনলাইন গ্রুপ পাওয়া যায়! গে’রা বিশেষ করে অনলাইনে বেশ সক্রিয়। তারা অনলাইনে বসে ফোন কল কিংবা ম্যাসেজ বক্সে তাদের যৌন চাহিদা মিটায়।
আমরা অনেকেই মনে করি গে আর হিজড়া একই জনগোষ্ঠী। কিন্তু নাহ, গে’রা দুনিয়ার সবচে বাজে মন মানসিকতার মানুষ। আর হিজড়া তো প্রকৃতিগত আই মিন সৃষ্টিকর্তা নিজেই তাদের তৃতীয়লিঙ্গ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, গে আর হিজড়া একই বিষয় নয়। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা হিজড়াদের সহজ ভাবে নিলেও গে’দের কখনই সহজে নিবেনা। কারণ তারা মানসিক ভাবে বিকৃত। তাদের চাহিদাগুলো ধর্ম এবং রাষ্ট্র বিরোধী। ইসলাম ধর্মে সমকামীতাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ‘কুরআনে লূতের সম্প্রদায়ের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যারা পুরুষদের মধ্যে পারস্পারিক যৌনকর্ম সংঘটনের কারণে আল্লাহর ক্রোধের মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিল। হাদিসেও সমকামী ও রুপান্তরকামী আচরণকে অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং পুরুষ সমকামীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড ও রুপান্তরিত লিঙ্গের ব্যক্তিদের নির্বাসনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।।
বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে গে বা সমকামীতা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গে’দের নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলেও, দেশের মানুষজন গে’দের মানসিক ভাবে বিকৃত হিসাবেই চিহ্নিত করে। গে’রা নারীসম্পর্কে বিশ্বাসীনা। তারা মনে করে ‘নারীদের সাথে সম্পর্ক করে ধোঁকা খাওয়ার থেকে নিজেদের মাঝে সম্পর্ক ঘটনাও বেশি উপকারী! তাদের মন মানসিকতা অনেকটা হিজড়াদের মত হলেও প্রকৃত অর্থে তারা হিজড়া না। গে’রা পরিবার এবং প্রিয়জনদের আড়ালে যৌনকার্য সংঘটিত করে যা পুরোপুরি ভাবে হারাম এবং নিষিদ্ধ। গে’রা ভাবে তারা যা করে তাই উত্তম। তাদের কাছে সমকামীর পক্ষে অনেক ভূয়া যুক্তি আছে। যা অনেকটা হাস্যকর এবং বাজে যুক্তি। তাদের মূল বানী ‘নারী সঙ্গ ত্যাগ করো, নিজলিঙ্গে সম্পর্ক গড়ো! বিজ্ঞান গে বা সমকামীদের ‘মেন্টালি সিক ‘ হিসাবে প্রমাণ করেছে। গে’দের সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেও তাদেরকে বেঁচে থাকা এবং শুধরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
আমার মতে অন্যান্য ইসলামিক রাষ্ট্রের মত বাংলাদেও গে’দের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। গে’রা সমাজের কীট,তাদের নির্মূল করা অনন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার আশে পাশে গে রুপে কোনো অমানুষ থাকলে প্রথমে বুঝিয়ে বলুন, তারপর তাকে মেন্টালি সাপোর্ট দিন। তাতেও যদি সে সুপথে না আসে তখন কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।।
‘গে মুক্ত বাংলাদেশ চাই’
৭টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
এগুলো পড়লেও ঘৃণা লাগে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার বিশ্লেষণ দাদা ভাই। সমকামিতা জঘন্য একটি পাপ। নিরন্তর শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভ সকাল
রোকসানা খন্দকার রুকু
এসব নিয়ে বেশি আলোচনা না করাই ভালো। পারীবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। সন্তানদের আগলে রাখতে হবে।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি — আমার মতে অন্যান্য ইসলামিক রাষ্ট্রের মত বাংলাদেও গে’দের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
স্বপ্ন নীলা
অসাধারণ একটি পোস্ট। এটা আলোচনার দাবীদার। কারন অনেকেই এর সাথে পরিচিত নয়–অথচ আমাদেরই পরিবারের সন্তানেরা নিজের অজান্তের এই ফাঁদে পা দিচ্ছে যা আমরা খেয়ালও করি না—-ইসলামিক দৃষ্টিতে এটা হারাম — বাংলাদেশে এটা যাতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে এজন্য দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া উচিত ———
পপি তালুকদার
বাংলাদেশে এদের অবস্থান আছে তেমন জানা ছিল না।এই বিকৃত মানুষগুলো কে সংশোধন হবার সুযোগ দেয়া উচিত নচেৎ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এই কুরুচিপুর্ণ সমকামীদের জোরালোভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত এবং শুধরানো সময় দিয়ে কঠিভাবে আইনগতভাবে বন্ধ করা উচিত।