থমকে দাড়ানো,
ক্লান্ত লোহিত সন্ধ্যের এক দীর্ঘ শ্বাস,
কেমন আছিস? বন্ধু!
দিনান্তে আর শোনা যায় না!
তাপ দগ্ধ সাহারার বুকে
ইয়াকুবার বাগানের পর্নমোচী
পাতা!
অভিমানের হিমশীতল,
সুমেরুর বরফের ফাটলে ঝরে পড়ে আছে!
আমি মরি ,আমার দীর্ঘশ্বাস মরে,
তোমার সাহারার বুকে বেড়ে ওঠা,
তোমার বাগানের জন্য!
তুমি ও মরো,
একটু হাতের আগল পাওয়ার জন্য!
তাও আবার ভাগ বসিয়েছে,
তোমার বৌ না আবার নাকি অন্য কেউ!
বৌ হলে না হয়,
পণ এক কোটি ইউরো দেওয়া যায়!
বন্ধু হলে না ভাগ করা যায়!
শিল্পের জন্য কি বৌ এর সতীত্ব বেচা যায়!
পাশে তোমার কেউ নেই!
সাহারার বুকে কে থাকবে!
আমি আছি ,
তোমার বাগানের বুক ভরা শ্বাস,
মধ্য রাতের ধ্রুবতারা!
@ বাড়ি,
তারিখ-১০/১০/১২
সময়-রাত্রি ১ঃ৫৯
৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সাহারার বুকে মধ্য রাতের ধ্রবতারা……
খুবই সুন্দর উপমা ।
জবরুল আলম সুমন
পাশে তোমার কেউ নেই!
সাহারার বুকে কে থাকবে!
আমি আছি ,
তোমার বাগানের বুক ভরা শ্বাস,
মধ্য রাতের ধ্রুবতারা! সুন্দর লিখেছেন… 🙂
Mison nobi
তুমি ও তোমার আফ্রিকার বন্দুকে স্যালুট
Ajharul H Shaikh
আফ্রিকার ছোট্টো একটি গ্রাম গেওগার। সেই গ্রামের বাসিন্দা চাষী ভাই ইয়াকুবা।তিনি ৪০ বছর ধরে তাপ দগ্ধ দূর্গম সাহারা মরুভুমির বুকে প্রান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।অবশেষে তিনি সফল হয়েছেন…যখন প্রানগুলো ১০ কিলোমিটা দীর্ঘ বাগানের রূপ নেই।এই দুঃসাহসিক কাজটি করতে একদিনে সম্পন্ন হয়নি…৪০ টা বছর সময় কাল অতিবাহিত করছেন তিনি।কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় সে দেশের সরকার এখন শিল্প গড়ার জন্য বাগানটি অধিগ্রহন করেছেন।বাগানটি বাচানোর জন্য তিনি আইনি লড়া করছেন।কিন্তু সেই দেশটির আইন ব্যবস্থা ইয়াবুবার কাছে ১ কোটি ইউরো দাবী করছেন। তবেই তিনি বাগানটি ফেরত পাবেন। এখন বীর পুরুষটি একাই লড়াই করছেন অথচ কোনো বন্ধু তার পাশে নেই। ‘কেমন আছিস? বন্ধু’ আমার কবিতাটি এই বীর পুরুষ কে আমি নিবেদন করেছি।
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটি ।
উৎসর্গ দারুন ।
আফ্রিকান বন্ধুকে সেল্যুট।
shadharonmeye
ভালো লাগল কবিতা।
বনলতা সেন
ভালো লেগেছে কবিতাটি।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার লিখেছেন
সাহারার বুকে মধ্যরাতের ধ্রুবতারা…. দারুণ উপমা