
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ দাপটে মানুষ শুন্য করার নিমিত্তে গত ২০১৯ সালের শেষের দিক হতে পুরো ২০২০ সাল চলে গেলো এলো ২০২১ সাল তবুও থামেনি করোনার ভয়বহতা প্রকোপ। করোনার বিস্তৃতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু ।
বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু বরণ করেছেন প্রায় চল্লিশ লক্ষাধিক লোক আর আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয় প্রায় দুকোটি গিয়ে দাড়িয়েছে।
বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এখনো করোনায় দিশেহারা। আপনারা হয়তো অবগত আছেন ভারতে করোনা রোগীর মাঝে যে নমুনা পাওয়া গেছে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছিলো না বললেই চলে অনেকটা নতুন উপসর্গ।ভারতে করোনা আক্রান্তের অধিকাংশ মানুষ তার চিকিৎসা করাতে ব্যার্থ হয়েছেন।অনেকাংশে শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার সময়টুকুও রোগী পাননি হঠাৎ বুকে ব্যাথা শ্বাসকষ্টে সেখানে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েছেন।একটা সময়ে করোনার আঘাতে পুরো ভারত যেন শ্মশানভূমি।
ভারতীয় ও আন্তজার্তিক গণমাধ্যম গুলোর তথ্য মতে ভারতে তৈরী হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণটির নাম গবেষকরা দিয়েছেন ওয়ান-সিক্স-সেভেনটিন। গত অক্টোবর মাসে ভারতে এটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিলো তা মার্চ ২০২১ এর প্রকোপের ভয়াবহতা শুরু হয়।বিশ্বের তথ্য ভান্ডার জিআইএসএআইডি এর তথ্য মতে নতুন ধরণের এই করোনা ভাইরাসটির ধরণ বিশ্বের প্রায় ২১টি দেশে ছড়িয়েছে।এর মুলে ছিলো ভারতের সাথে যোগাযোগের ঘনিষ্টতা।বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশেই ভারতীয়দের কর্ম দক্ষতায় বসবাস।সেই হিসাবে তাদের উভয় দেশের লোকজনের যাতায়াতটা ছিলো শিথিলযোগ্য।
আমরা করোনা আগমনে শুরু থেকেই জেনে আসছি করোনার প্রকোপ হতে বাচতে স্বাস্থ সচেনতা এবং দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বিকল্প আর কোন পথ নেই।আর পুরো বিশ্ব বিশেষজ্ঞদের মতামতও তাই বলে।স্বাস্থ সচেনতার ঘাটতি থাকলেও দূরত্বে থাকার যেন কোন গাফলতি না হয়।কথাগুলো আমি যতটা সহজে লিখছি আমিও কী তা মানছি?না,এক কান দিয়ে শুনছি অন্য কান দিয়ে বের করে দিচ্ছ,মন দিয়ে পড়ছি অন্য আর ভাবছি আসলেই করোনা বিরাজমানের আমরাই দায়ী কিন্তু তারপর!আমরা সব কিছু জানি মানি তবুও যেন গাফলতিতে গা ভাসাই যা মোটেই কাম্য নয়।
পত্র পত্রিকা লোকমুখে শুনেছি,পড়ে জেনেছি এপ্রিলে ভারত যখন করোনার দ্বিতীয় থাবায় বিপর্যদস্ত তখনি ভারতের হিমালয়াঞ্চলের হরিদ্বারে বরাবরের মত কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে লাখ লাখ সনাতন হিন্দু ধর্মাবলী মানুষ একত্রে মিলিত হন।এই মেলায় শুধু ভারতীয়রাই অংশ নেননি অংশগ্রহন করেছেন আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে হিন্দুধর্ম প্রান মানুষ।সেখানে আসা যাওয়ায় ছিলো না কোন বাধা-ছিলো না নুন্যতম স্বাস্থ সচেনতা।এমনকি মুখে মাস্ক লাগানোটাও তারা প্রয়োজনবোধ মনে করেনি।তখনি অনেকে মনে করেছিলেন ভারতে এই মনে হয় করোনা ভাইরাসটির মহামারী রূপ ধারণ করা শুরু করল।বাস্তবতা তাই বলে।
তাদের ধর্মীও এক পুরোহিত মাহান্ত শংকর এই উৎসবে যোগ দেন।উৎসব আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হওয়ার চারদিন পর পরীক্ষায় এই পুরোহিতের মাঝে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।তখন তাকে একটি তাবুতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার এক পর্যায় সে পালিয়ে যায়।প্রথমে ট্রেনে উঠেন এরপর প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পায়ে হেটে বারাণসী যান।সেখানে তাকে নিতে তার ছেলে আসেন এবং একটি ভাড়া টেক্সিতে কয়েকজন লোকের সাথে তার গ্রামে পৌছেন।জানা যায় সঙ্গ দেয়া পুরোহিতের ছেলে সহ সবার মাঝে করোনা পজিটিভ ধরা পরে অথাৎ সে পথে যার সাথেই সে মিশেছেন তারই করোনা পজিটিভ লক্ষ্য করা গেছে।সেই গ্রামে তখনি প্রায় তের জন করোনা রোগী মারা যায়।
কুম্ভমেলায় যোগদেন প্রায় নব্বই লক্ষ লোক।তাদের অবাধ বিচরণ এবং স্বাস্থবিধি না মানায় করোনা ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।পত্রিকা বরাতে জানা যায় সেখানে প্রায় ২৬৪২ জনের মাঝে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।যাদের মধ্যে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ধর্মীও নেতাও ছিলো।বলা বাহুল্য বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক শ্রাবণ রাঠোর এই কুম্ভমেলা থেকে ফিরে আসার কয়দিন পরই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং মেলায় যোগ দিতে যাওয়া আরেকটি দলের নয় জনের হিন্দু ঋষি মারা যায়।কুম্ভ মেলার পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার প্রকোপ আশংকা হারে বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে মহামারীর রূপ ধারণ করে।মৃ্ত্যুর এমন লাশের মিছিল পৃথিবীর মানুষ বহু যুগ ধরে দেখেনি।ভয়াবহতা এতোটাই প্রকট ছিলো যে শনাক্ত রোগী জায়গা দিতে ধর্ম বর্ণ নির্ভিশেষে মসজিদ মন্দির গীর্জা সব ওপেন করে দিতে হয়েছিল।লাশ সমাধিতে শশ্মান কবরস্থানে তিল ধরার ঠাই ছিলোনা।ভারতে বর্তমান করোনা আপডেট……আক্রান্ত তিন কোটি সাত লক্ষাধিক-মৃত্যু চার লক্ষ পাচ হাজার নয়শ ঊনচল্লিশ ।
উপরের কথাগুলো বা করোনা ভাইরাসে ভারতে আজকে যে বিপর্যয় ঘটে তার মুলে ছিলো সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং সাধারন জনগনের মাঝে স্বাস্থ সচেনতায় উদাসীনতা।ভারতে করোনা পরিস্থিতি করুণ দশা দেখে আমাদের মানে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের মাথায় দুশ্চিন্তা ভর করে।কী ভাবে করোনার দ্বিতীয় ধাপ হতে দেশের জনগনকে রক্ষা করা যায় ইত্যাদি ভাবনার একটাই ফলাফল লকডাউন দাও,কঠোর লকডাউন দিতে হবে।
এক সময় ভাবলেন আরে করোনার প্রথম ধাপের লকডাউন অনেকটা আনসাকসেস হন সরকারের উদাসীনতা দুর্ণীতি সহ বিভিন্ন কারনে।তাই এবারো যদি লকডাউনই দেয়া হয় তবে মানুষ আগের বারের মত মানবে না ফলে দেশে ভুলে যাওয়া হরতাল অবরোধের মত ডন্টকেয়ার ইমেজে এ লকডাউনটাও অসার হয়ে যাবে।তাই এবার লকডাউন নাম পাল্টিয়ে সার্ট ডাউন দিতে হবে।মানে আধা মরা নয় একেবারেই মেরে ফেলতে হবে।লোকজন কোথাও কেউ বেরুতে পারবেন না।এমন একটি লকডাউন আরো আগে বাস্তবায় হলে আজকের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।কিন্তু পক্ষান্তরে আমরা কী দেখতে পাই যেমন জনগন তেমনি তাদের সরকার।এবারো লকডাউন দিলো শিল্প কারখানাগুলো খোলা রেখে অবশ্য সরকারে এ ছাড়া উপায়ও ছিলো না।লকডাউন দিয়ে জনগনকে ফ্রী বসে খাওয়ানোর মত অবস্থাও সরকারের নেই কিংবা থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আমলের কম্বল চোরের প্রেতাত্মারা এখনো মরেনি।
মানলাম সব কিছু কিন্তু লকডাউনের কারনে নিত্যনৈমিত্ত বাজার দরের যে উর্ধোগতি তা নিয়ন্ত্রণ করা কী সম্ভব ছিলোনা? আজকে আর সেদিকে যাবোনা আমার এ লেখায় মুল যে থিমটা তাহলো উপরে বর্নিত করোনা ভাইরাসের ভারতের যে ভয়াবহতা আকার ধারণ করে তার মুলে ছিলো দূরত্ব বজায় না রাখার কু-ফলাফল।তাহলে কী আমরাও মুখোমুখি হবো করোনার ভয়ংকর থাবার বাস্তবতায়?
অবস্থা দৃষ্টে তাই মনে হয়।একদিকে লকডাউন অন্য দিকে কুরবানী ঈদের প্রস্তুতি।আমরা যতটুকু জানি বর্তমান করোনা আক্রান্তের পরিমান এবং মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশী দেশের বর্ডার অঞ্চলগুলোতে।যার কারনে সরকার কঠোর লকডাউন দিয়ে যাচ্ছেন যাতে বর্ডার অঞ্চলের লোকজনেরা কোন ক্রমে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সহ অন্যান্য অপেক্ষাকৃত করোনা সেইফ মুখী অঞ্চলগুলোতে না আসতে পারেন এবং ঢাকা নারায়নগঞ্জ সহ অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনও যেন যাতায়াত করতে না পারেন।
ভারতের কুম্ভমেলর মত জনগনের অবাদ বিচরণ যাতে না হয় সেদিকটা মাথায় রেখে সরকার শত বাধা অভিযোগ উপেক্ষা করে লকডাউন দিয়ে যাচ্ছেন।
আর কয়দিন পরই কোরবানী মানে ঈদুল আযহা।ঈদুল আযহার মুল যে বিষয়টা তা হলো আল্লাহর নামে পশু কোরবানী করা।সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হলো কোরবানী ঈদের পশুগুলো অধিকাংশই বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে বর্ডার অঞ্চল হতে শহরের বিভিন্ন হাটে আসে।এছাড়াও আসে ভারত নেপাল বার্মা সহ অন্যান্য দেশ হতে।
যেহেতু করোনার প্রকোপটা বর্ডার অঞ্চলেই বেশী তাহলে কোরবানী পশুর হাটের এই যে রমরমা আয়োজন চলছে তা দেশের করোনা প্রকোপ কম অঞ্চলগুলোতে করোনা সংক্রমন ঠেকানো কী সম্ভব?রেড এ্যালার্ডকৃত অঞ্চলের পশুগুলোর সাথে আসবেন সেই সব অঞ্চলের লোকজন।মিশবেন করোনা সেইফে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলের লোকের সাথে তাতে কী করোনা সংক্রমন ছড়ানোর আশংখা উড়িয়ে দেয়া যায়?তাহলে আমরা এ কোন পথে হাটছি!আমরা কেনো এর বিকল্প পথ দেখছি না?
এরপর কোরবানীর বিভিন্ন হাট হতে পশু কিনতে চলবে হৈহৈ রৈরৈ ব্যাপার।জবাই করতেও বিভিন্ন অঞ্চলে মিশ্রিত কসাই সহ লোকজনের মাঝে রাখা সম্ভব নয় সামাজিক দুরত্ব,থাকবেনা স্বাস্থ সচেনতা,এমন কী মুখে মাস্ক রাখাটাও হয়ে যাবে অনেকটা টাফ।এর পর কোরবানীর মাংসগুলো বিভিন্ন বাড়ী বাড়ী ডেলিভারীতেও থাকে করোনা আক্রান্তের ভয়।এক শ্রেনী লোক আছেন যারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মাংস সংগ্রহ করেন।সেখানেও থাকবে করোনা সংক্রমনের ভয়।তাহলে উপায়?
উপায় একটাই আমাদের সচেতন হওয়া।যেহেতু পশুর হাট আটকানো যাবে না।কোরবানী দেয়াটাও বন্ধ করা যাবে না কারন আমরা বাংলাদেশীরা সৌদির চেয়েও বড় বেশী ধার্মিক।সৌদির কাবাঘর,হজ্ব করা, মদিনা শরীফ,মসজিদ বন্ধ রাখতে পারলেও আমরা পারবো না কারন আমরাই পৃথিবীর একমাত্র খাটি মুসলমান।আর যদি তা কেউ করতে চায় তাহলে যে করতে চাইবে তাকেই নাস্তিক বানিয়ে কোরবানী করে দিবেন।অথচ হতে পারত এমনটি-প্রতি বছরইতো আমরা কোরবানী দেই এবার না হয় নাই বা দিলাম।কেউ যদি এক লাখ টাকার একটি গরু কোরবানী দেন তাহলে সেই একলক্ষ টাকা যদি এই করোনাকালে তার নিকটাত্মীয় বহু আছেন যারা আর্থীকভাবে খুব কষ্টে আছেন তাদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন তাহলে আল্লহ কী বেজার হতেন?আমার মতে নিশ্চয় না।কারন আল্লাহ কোন বস্তু দেখেন না তিনি দেখেন বান্দার নিয়ত ও হালাল কমাই যদি তাই দেখতেন তাহলে হযরত ইব্রাহীম আঃ এর স্থলে দুম্বা আসতো না।যদি মক্কার হজ্ব করা বন্ধ হতে পারে তবে কোরবানী না দেয়া কেন দোষের হবে?
জানি আমার এ লেখা দুআনাও কাজে আসবে না কিন্তু দেশে যে হারে করোনা সংক্রমন এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে সেহিসাবে আমাদের জীবনকে আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।আমরা অবশ্যই মাস্ককে জীবনের সাথে কমন হিসাবে নিবো।দূরত্ব যতটুকু সম্ভব রক্ষা করে চলবো।নিয়মিত অন্যান্য স্বাস্থনীতি মেনে চলবো।স্রষ্টা সবাইকে রক্ষা করুন বিশেষ করে আমাদের মত গরীব দেশগুলোর প্রতি স্রষ্টার রহমত বর্ষিত হউক।
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
——————————
ছবি ভিডিও তথ্য
বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম হতে সংগ্রীহিত
১৫টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
অন্যান্য অনেকের মতোই আমি মনে করি, করোনা নিয়ন্ত্রণহীন হবার মুল কারন হলো লকডাউন, শাটডাউন এর অর্থানুসারে যেসব কঠোরতা/বিধি নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের কথা প্রচারিত হচ্ছিলো সেসবের প্রকৃত বাস্তবায়ন হয়নি। গত বছরের দুই ঈদ, এই বছরের এক ঈদ, বৈশাখ, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় উৎসব অনুষ্ঠানে যে সকল শিথিলতা দেখানো হয়েছে তাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে অধীনস্থ কতৃপক্ষদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। এমনকি জেলা পর্যায়ের নির্বাচনী কাজকর্ম গুলোতেও বিপুলসংখ্যক মানুষ দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। সাধারণ মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আগে উর্ধতনদের উচিৎ ছিলো নিজেদের সিদ্ধান্ত গুলোর সঠিক বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করা, যা আমাদের দেশে আদৌ হয়নি/হচ্ছে না।
শুধু মাত্র মাস্ক বিষয়ক কিছু ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারা যায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থবিধি মেনে চলার প্রতি কতটা অনিহা কাজ করে!
জনগণের বড় একটা অংশ এখন ভেবেই নিয়েছে স্বাস্থবিধি সংক্রান্ত যত সচেতন মুলক উপদেশ, বিধিনিষেধ এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে আসছে, মানলেও চলে না মানলেও চলবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার কাজে নিয়োগ প্রাপ্তদের বিভিন্ন প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডের জন্য সরকার এবং জনগণ একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ এখন কিছুই মানছে না। এখনো যদি পরিস্থিতি সঠিকভাবে সামাল না দেয়া হয় তাহলে এর জন্য আরও ভয়াবহ সময়ের জন্য তৈরী থাকা লাগবে। হয়তো আমরা/আমাদের কেউই পরিনতি থেকে বাদ যাবো না।
অনেকদিন পর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট দিয়েছেন। পড়ে মনে হচ্ছে আমাদের সেই মমী ভাই-ই নিজস্বতা নিয়ে লেখায় ফিরে এসেছে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
আমার বিশাল পোষ্টের চেয়ে আপনার গঠনমুলক এই মন্তব্যটি আরো বেশী গ্রহনযোগ্য।সময় পরিস্থিতি সামর্থ সব মিলিয়ে একটু বেকায়দায় আছি ।দোয়া করবেন দ্রুত যেন আগের মত সোনেলায় সময় দেয়ার সুযোগ পাই।অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাইয়া বাঙ্গালী যে কি পরিমান ছ্যাচডা জাতি করোনা তা প্রমান করে দিলো। গ্রামের লোকজন রীতিমত হাসি মশকরা করে এটা নিয়ে তাই শুধু সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা যদি না বুঝি তাহলে কে বোঝাবে। এই কঠোর লকডাউনে দেশ ধংস হচ্ছে পড়াশুনা শেষ হচ্ছে তবুও জনগন মাস্ক পরেনি। সযানিটাইজার বা সামাজিক দুরত্ব তো পরের ব্যাপার। একটি দেশ সরকার ও জনগনের একত্র সহযোগিতায় এগোয়।।
অনেক সুন্দর করে গুছিয় লিখলেন। ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
ঠিক তাই।সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণীত। ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
খুবি গঠনমূলক লেখনী,দাদা।
আমরা বাঙালি এমনিতেই অসচেতন।
ভারতের কুম্ভমেলায় সমাগম। যার ফলে ভারতবাসী হারিয়েছে অনেক প্রাণ। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে।
যদি রাজ্য সরকার একটু সচেতন হয়ে এতো সমাগম না করে অন্য পদক্ষেপ নিতো তাহলে ভালো হতো।
.
আর আমাদের দেশে লকডাউন কেন শাটডাউন দিয়েও কাজ হবে না। রাস্তাঘাটে জনসমাবেশের মতো মানুষের চলাফেরা।
দু একজন ব্যতীত নেই দূরত্ব মেনে চলা এ যেন আরও কতকিছু।
তাই আমাদের এখন মাশুল গুনতে হচ্ছে।
ঈশ্বর না করাক দিনদিন যা অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা ভালো ঠেকছে না।
এর মধ্য ঈদের হাট বসেছে।
তাতে কজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।
.
আমরা সচেতন হয়ে চলি এই প্রত্যাশা করি।
ভালো থাকুন সকলে।
মনির হোসেন মমি
অপেক্ষা ঈদের পরের অবস্থা দেখার।ধন্যবাদ দাদা।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের দেশে করোনা নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। অযোগ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত্র আমলা, কর্মকর্তা দিয়ে একটি দেশের স্বাস্থ্য সেবা চলে না। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের পরে অনেক সময় পাওয়া গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উপজেলা হাসপাতাল পর্যন্ত করোনা ইউনিট এবং কোভিড-১৯ টেস্ট করার ব্যবস্থা করা যেতো। ফলাফল- উপজেলা তো ভালো, জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতেও করোনা ইউনিট করা হয় নি, টেস্ট এর ব্যবস্থা করা যায় নি।
ঈদ এবং কুরবানীতে করোনা ছড়িয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিয়েছে নেবে। শুধু মাত্র জনগনের ধর্মীয় আবেগ বিবেচনায় সরকার এ বিষয়ে কঠোর হতে পারছে না।
বর্তমানে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কুরবানী ঈদ স্বাভাবিক ভাবে অনুষ্ঠিত হলে, ভারতের কুম্ভ মেলার মতই অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
অনেক ভালো পোষ্ট দিয়েছেন ভাই।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
আরজু মুক্তা
প্রিয়তে দিলাম। একদম সত্য বচন। সৌদির থেকেও বড় মুসলমান। এই লকডাউন তুলে দেক তখন বুঝবে।
গঠণমূলক পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নার্গিস রশিদ
১০০% সত্য কোথা। কুম্ভ মেলার মতো যেন না হয়।
মনির হোসেন মমি
হুম তা যেন না হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
বর্তমানে যে হারে সংক্রামক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবার মত আমারও একই আশঙ্কা। এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়। আর গরু ব্যবসার সাথে যারা জড়িত, যারা বিক্রি করতে নিয়ে আসবেন তারা তো আরো সচেতন। শুভ কামনা অবিরাম।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদুল ইসলাম
ভারতে কুম্ভ মেলায় জনগনের অসতর্কতা থেকে
ব্যাপক প্রাণঘাতী শুরু হয়েছিলো করোনায় আর আমাদের দেশে হবে কোরবানিরর হাট থেকে।
কেউ সচেতন নয়। দেশের চিন্তাবিদরা একেকসময়ের সিদ্বান্ত হচ্ছে প্রাণঘাতী। কি যে হবে!!
শুভকামনা ভাই।