আমি ছিলাম এক সুন্দরী রমনীর বুকের দেয়াল।
আমাকে যত্ম করে তিনবেলা মুছতো সে।
তার সারাদিনের ক্লান্তিময় জীবনের প্রতিটি কথা,
আমাকে এক এক করে শুনাতো।
শুনাতো ভালোবাসার গল্প, বিষমাখা তীরন্দাজের গল্প।
আমি অল্প অল্প করে আমার বুকের সমস্ত
বালি কনা দিয়ে একটা ছোট্ট মহল বানালাম।
খুলে দিলাম ভালোবাসার সমস্ত দুয়ার।
জমানো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোবাসা রমনীর পায়ে
অঞ্জলি দিয়ে একটা চিরকুটে লিখেছিলাম –
ভালোবাসার এই উপহারের বিনিময়ে আমি তোমার,
একমাত্র তোমারই হলাম।
একদিন এক তীব্র ঝড়ে সবকিছু কেমন নিঃশেষ হলো,
আমি ভেঙে টুকরো টুকরো হলাম।
জানা ছিলোনা, ভেঙে গেলে আমায় বুকে রাখা যায়না।
আমাকে ছুঁড়ে ফেলা হলো একটা নর্দমার জলে,
ওরা বলে, আমি নাকি এখন পঁচা নর্দমার এক টুকরো কাচ। সেই হতে নর্দমার জলে ডুবে আছি,
মাঝে মাঝে মনে পড়ে রমনীর কথা,
যার বুকে বুনেছিলাম ভালোবাসার নকশিকাঁথা।
৬টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
ব্যথাতুর কবিতা।
প্রেম, প্রেমিক, বাস্তবতা সব কাছাকাছি বলেই চাইলেও সরে আসতে হয়। কস্ট দুজনই পায়। কিন্তু একজনের একটু বেশিই হয়।।।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ স্মৃতিময় বেদনার প্রকাশ কবি দা
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
ভালোবাসা কি এরকম ইহয়। একসময় আগলে রাখা। আবার ছুড়ে ফেলে দেয়। কি নির্মম প্রকাশ। শুভ কামনা রইলো।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।