ইংল্যান্ড আওয়ামিলীগে হাইব্রিডের আগমন…পর্ব ১ ..
(লিখাটি অনেক লম্বা ধৈর্য না থাকলে ,পড়ার কোন দরকার নেই ;আমি ছোট খাট লিখা লিখতে পছন্দওকরি না )
লিখাটার শুরুর প্রথমেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মূলনীতি গুলো একটু মনে করিয়ে দিতে চাই !!
বাঙালিজাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা,অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি,সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার !!
সাম্প্রদায়িক বক্তব্য আগুন নিয়ে খেলার মত !!একজন মৌলবাদী যদি “আমার কোন সহযোদ্ধাকে মালাউন বলে গালি দেয় ; তখন বিবেকে বলি ওরা তো ধর্মান্ধ !! ওদের চোখ এখনও অন্ধ !! ধর্মীয় সম্প্রীতির ইতিহাস বাংলাদেশের হাজার বছরের। সেই সম্প্রতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা আওয়ামীলীগের রাজনীতি ধারণ করে।কিন্তু হাইব্রিড কেউ যদি এখানে ডুকে যায় ; তবে এই সমপ্রীতি আর সৌহার্দ ঠিকে থাকাটাই কঠিন !!
একটু গল্প স্বল্প করে লিখি …
প্রিয় বন্ধুরা আমার জানা মতে সাম্প্রদায়িক বিষ্বাপ্প এই উপমহাদেশে এসেছিল ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ, ইংরেজদের ভাষায় সিপাহী বিদ্রোহের পর উপমহাদেশের রক্ষণশীল মতবাদে বিশ্বাসী মুসলমান নেতারা প্রথম উপলব্ধি করলেন রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত না করলে মুসলমানদের স্বার্থ বা ইসলাম রক্ষা করা যাবে না এবং ক্ষমতায় যেতে হলে হিন্দুদের মোকাবেলার পাশাপাশি প্রবল ক্ষমতাশালী ইংরেজদের বিরোধিতার পথ ছেড়ে সহযোগিতার পথ অনুসরণ করতে হবে। এর আগে রক্ষণশীল কট্টর ইংরেজবিরোধী ছিলেন।
রক্ষণশীল এই উপলব্ধির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু নেতা বললেন, হিন্দুত্ব রক্ষা করতে হলে মুসলমানদের প্রতি বৈরিতার পাশাপাশি ইংরেজদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ধর্ম, ভাষা, জাতিসত্তা নির্বিশেষে ভারতীয়দের প্রথম ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের এক যুগের ভেতরই উপমহাদেশে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও বিভেদের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
ইংরেজরা উগ্র হিন্দু ও মুসলিম নেতাদের এহেন মনোভাব লক্ষ্য করে ভারতবর্ষে মুসলমানিত্ব ও হিন্দুত্বকে উস্কে দিয়ে বিভাজন নীতি অনুসরণ করে যেভাবে মৌলবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের মূলে জলসিঞ্চন করেছে- তার পরিণামে দেশভাগ হয়েছে, ধর্মের নামে হানাহানি বেড়েছে, সম্প্রীতি ও মানবতা মুখথুবড়ে পড়েছে !!
’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল উপমহাদেশের ক্রমবর্ধমান মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ। এই মুক্তিযুদ্ধের ফসল হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বিজয় চার বছরও ধরে রাখা যায়নি।
দ্বিজাতিতত্ত্বের অনুসারীরা প্রথম সুযোগেই স্বাধীন বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সহযোগীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
১৯৭৫-এর পর থেকে বাংলাদেশ সমাজ ও রাজনীতির সাম্প্রদায়িককরণে’র যে প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ক্ষমতায় থাকাকালেও তা অব্যাহত রয়েছে কোন কোন নেতা কিংবা প্রভাব শালীদের কাজ কর্মে !!
যেসব ধর্মান্ধরা বা মৌলবাদীরা সক্রেটিসকে হ্যামলক পানে মেরেছিলো, তাদের নাম পর্যন্ত কেউ জানে না, তবু মৃত্যুর এত বছর পরেও সক্রেটিস উজ্জ্বল। সত্য প্রকাশে যারা গ্যালিলিওকে বাধা দিয়েছিলো, তারা কোথায়? গ্যালিলিও আজো উজ্জ্বল।
ধর্মান্ধরা চিরকাল প্রগতিকে বাধা দিয়েছে।
অতীতের সেসব ধর্মান্ধরা হারিয়ে গেছে, প্রগতিশীলরা কাল অতিক্রম করে উজ্জ্বলতর হচ্ছে, কারণ এরা সত্যকে আশ্রয় করে, সত্যকে জানতে চায় !!
মূলত : প্রথম পর্বে হাইলাইট করার চেষ্টা করেছি অসাম্প্রদায়িক চেতনা !! এর প্রধান কারণ বিলেতের অনেক জায়গাতে অনেকই না বুঝে ” মৌলবাদী চেতনাকে ” সমর্থন করছেন !!
অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপক্ষে বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যকে যারা কাজ করছেন সুদুর বিলেতে থেকেও ||
প্রিয় অগ্রজ্দ্বয়,
ব্যক্তিগত কামড়াকামড়ি ছিল, থাকবে!! “যেখানে বিষধর সাপের মতো ফণা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ’৭১-এর কেউটেরা। আরও আছে তাদের ছানা-পোনা, তাদের বন্ধুরা। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারবে।”
সেই সুযোগ যেন ওরা কখনও না পায়- এবিষয়টা মাথায় রাখতে হবে !!
=======================================
ইংল্যান্ড আওয়ামিলীগে হাইব্রিডের আগমন…পর্ব ( ২ )
প্রথম পর্ব লিখার পড় মনে হল ,আমার নিজের ব্যাপারটা টা এক্ষেত্রে পরিষ্কার করা দরকার……
ব্রিটেনে আছি বহু দিন ধরে !! তবে এখানকার আওয়ামিলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ সাথে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না !! ” আপাদত ব্যক্তিগত কোন উচ্চবিলাস নাই রাজনীতি করার “!!!
তবে ভবিষৎতে সুন্দর স্বদেশ নির্মানে
দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আছে !! যেহেতু ছাত্রজীবনে সক্রিয় ছাত্রলীগ করেছিলাম ,তাই গর্বের সাথে বলতে চাই আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন সচেতন তৃণমূল কর্মী !!
## আর যেহেতু আমি এখানে রাজনীতি করি না কাজেই কোন পক্ষের জন্য আমার এই লিখাটি নয় ; এটা আগেই বলে রাখা ভাল !!
## জানি আমার লিখে কোন কিছুই হবেনা ; তবে যারা এই গর্হিত কাজকে সমর্থন করেন কিংবা প্ররোচনা করেন সামাজিক ভাবে ওদের সম্পর্কে ঘৃনা আর করুণার জন্ম নিবে !!
## ##
আমি লন্ডনে দেখেছি অনেক আওয়ামিলীগ নেতারা গাড়িতে রাজাকারের ওয়াজ শুনেন !! তখন দেখে সেইম লাগছিল !! না জেনে কোন সংগঠন করাটাও এক ধরনের বোকামি !! তাই নিজেস্ব দায়্বদ্দ্বতা থেকেই সামাজিক সচেতনতার জন্য
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র !!
## গত পর্বে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটু বেশি লিখেছিলাম || লন্ডন আওয়ামীলীগের লিখা নিয়ে আগে কোন কিছু লিখেছি বলে মনে হয় না !! আর বর্তমানে এই লিখাটার এক মাত্র কারণ ” সাম্প্রদায়িক গালি ” মালাউন ” শব্দটা !! আমাকে অন্য সবার মত দারুন ভাবে আহত করেছে !!
## সারা দুনিয়া তে এখন রাজনীতিবিদরা দুই রকমের রাজনীতি করেন || পৃথিবীর বড় বড় নেতারা যেমন মাঠে রাজনীতি করেন, ঠিক তেমনি তাদের প্রতিদিনের রাজনীতিক কর্মকান্ড তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌছে দেন !! বাংলাদেশ তার ছোয়া এনেছেন সজীব ওয়াজেদ জয় !!
## একটু সন্দর করে বলি ..
“মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দীপ্ত প্রগতিশীল ‘ল্যাপটপ গেরিলা’দের কাছে যুক্তি, বুদ্ধি আর মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে ক্রমাগত হার মানছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ;আর এই কাজ গুলো যারা করছেন তাদের মধ্য অন্যতম এক অনলাইন সহযোদ্ধা হচ্ছেন প্রকৌশলী সুশান্ত দাশ গুপ্ !! শুধু তাই নয় বন্ধুরা আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরও জানাতে চাই ; সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য এই উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগনেতা দিন রাত কাজ করছেন অনলাইনে !! এই সাহসী সাইবারকর্মীরা নানা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ‘লড়াই’ করে যাচ্ছেন ল্যাপটপ হাতে !!
## অনলাইন আন্দোলন কি ?? আর কেউ না বুঝলেও বাংলাদেশে বুঝছেন “” কাদের মোল্লা ” ???
## জি আমিও আপাদের মত জানি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যক্তিগত কামড়াকামড়ি ছিল, থাকবে || কিন্তু এই আধুনিক যুগে ব্যক্তিগত ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড কাম্য নয় !!
আপনারা ভুলে গেল আমি ভুলি নাই গত কিছু দিন আগে জেল খানায় হাজিরা দিতে গিয়ে অশিক্ষিত /মুর্খ ছাত্রদলের সাবেক
সভাপতি নাছির উদ্দিন পিন্টু একজন পুলিশ কর্ম কর্তাকে “মালাউন” বলে গালি দেওয়ায় ; সব জায়গায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল !!
(আপনাদের স্বরণ করার জন্য লিংক টাও দিলাম)
http://m.bdnews24.com/bn/detail/home/898153
…
## এক আসা যাক যিনি এই সাম্প্রদায়িক কটুক্তি কে করেছেন ?? তিনি কে ?? যাকে আমি সহ অনেকেই বলছি অনুপ্রবেশ কারী কিংবা হাইব্রিড !!
আওয়ামী লীগ কর্মী দাবিদার ঐ ভদ্র লোকের নাম শাহনেওয়াজ !! তিনি আগে কখনই আওয়ামিলীগ করতেন না !! এ ব্যাপারে আমি ১০০ % নিশ্চিত হয়েছি !! কারণ তিনি থাকেন গ্রেটার ম্যানচেস্টাররের ছোট বাঙালি অধুষিত একটি শহর ওল্হ্যামের চাডারটনে !! খোজ খবর নিতে সময় লাগে নাই !! তবে ভদ্রলোক শিক্ষিত মানুষ বলে দাবিও করছেন !! কিন্তু অসভ্যের মত এমন গালি দিলেন কেন বুঝলাম না ??
কেউ বি এন পি থেকে আওয়ামিলীগে
আসতেই পারে !! বাধার কিছু নেই ; তবে আওয়ামিলীগ যেহেতু শেখ হাসিনার নির্দেশে চলে ; কাজেই নেত্রীর নির্দেশনা সবার অনুসরণ করা উচিত !!
৭ নভেম্বর ২০১৪ রোজ শুক্রবার বিকালে ধানমণ্ডিতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ”কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদন ছাড়া অন্য দলের কেউ এখন আর আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারবে না।’ দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ”মামলা থেকে বাঁচার জন্য অনেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চায়। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যোগদানের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদকে অবহিত করে অনুমোদন নিতে হবে।”
কিন্তু সম্প্রতি বিএনপি’র বিভিন্ন অনুষ্টানে অংশগ্রহন করা শাহনেওয়াজ নামক এক লোককে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনুপ্রবেশে সাহায্য করেছে কিছু আওয়ামী লীগ নেতা। আমি বুঝি না, কিভাবে জননেত্রীর আদেশকে অমান্য করে এরকম হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে?
যিনি নাকি একটি সাম্প্রদায়িক গালি দিয়েও বহাল হবিয়তে নিজেকে এখনও আওয়ামীলীগের কর্মী বলে দাবি করছেন !!
===================================
ইংল্যান্ড আওয়ামিলীগে হাইব্রিডের আগমন ও সাম্প্রদায়িক গালাগালি ..পর্ব (৩) ও শেষ পর্ব ..
### “একটা বড় ধরনের ভুলের জন্য মানুষের সারা জীবনের সঞ্চিত ‘শুদ্ধ’ কাজ গুলিও ভুল হয়ে যায়” !! বন্ধুরা আমি আগেই বলেছিলাম ; আমার মূলত লেখার উদ্দশ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনাটা সর্ব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন !!
বলতে কোন অসুবিধা নাই ;যেমন ধরেন অনেকেই নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করেন অথচ ” বিলেতের মত সভ্য দেশে থেকেও ”মালাউন ‘ বলে গালি দেন । প্রগতিশীলতা মানে শুধু ” শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া কিংবা রবি ঠাকুরের গান শুনা , তা নয় ,ব্যক্তিগত জীবনে সুস্থ চিন্তার চেষ্টা করা !!
শুধু ফেইসবুক /টুইটার /ব্লগ / টিভি টক শোতে গিয়ে বড় বড় কথা বললাম !! আর ব্যক্তি জীবনে তার দারে কাছেও থাকলাম না || তা হতে পারে না !!
আপনার আমার সবার প্রিয় লেখক প্রয়াত হুমায়ুন আহমদের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে “মানুষের সঙ্গে গাছের অনেক মিল আছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো, গাছের মত মানুষেরও শিকড় আছে। শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়, মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়। মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চুড়ান্ত মৃত্যুর দিকে।”
বাংলাদেশের মূল শিকড় হচ্ছে আমাদের ৭২ এর সংবিধান !!স্বাধীন দেশের স্বপ্ন জাতির পিতা আমাদের দেখিয়ে ছিলেন—-
“বাঙালিজাতীয়তাবাদ,গণতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা,অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি,সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার !!”
আজও আমি কেন ; বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল তৃনমূল কর্মীরা মনে প্রাণে এই নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজও করছেন !!
তাই কোন ক্রমেই এই শিকড়ের নীতির বিপরীত মুখী অবস্থান সমর্থন যোগ্য নয় !!
এখন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত একটি বাস্তব গল্প বলতেচাই !!
আপনারা অনেকই হয়ত জানেন ; গত কিছুদিন আগে আমি দেশে ছিলাম !! প্রথম বার ২ মাস ( আমার বাবা খুবই অসুস্থ ছিলেন ) দ্বিতীয় বার ১২ দিন (একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য )জন্য !!ব্যক্তিগত জীবনে আমি পুরানো অনেক বন্ধু -বান্ধবী খোজ খবর নেই ; এটা আমার বন্ধুরা যারা আছেন তারা ভাল করেই জানেন !!
আমার অনার্সের বন্ধু অর্থাৎ যাদের সাথে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স পড়েছিলাম ; তাদের মধ্যে একজন স্বাগত !! সে আমার ফেইসবুকের ফ্রেন্ড !! তার অনুরুধে আমাদের এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই !! সেখানে দেখা হল, আমার খুন ঘনিষ্ট আরেক বন্ধু সুজিতের সাথে !!
ব্যক্তিগত আলাপচারিতা শেষে সে যখন বল তার স্ত্রী বি সি এস এ খুব ভাল রেজান্ট করেছিল ! তখন আমি বলছিলাম “ভাবি এখন কি করেন | সে বল বন্ধু সে এখন জুনিয়র জজ হয়ে একটি কোর্টে কর্মরত !! খবর টা শুনে খুবই ভাল লাগছিল !! তার পর সে যখন বল তাদের বাড়িতে কিছু দিন আগে মৌলবাদীরা হামলা করেছে ; তখন মেজাজ কিছুটা খারাপ হয়ে গেল !! ভাব ছিলাম কে তার শশুর !! কেনই বা উনার বাড়ি মৌলবাদীরা হামলা করবে ?? ব্লা ব্লা ব্লা ……
সুজিত যখন বলছিল ; বন্ধু এর পর তেকে সুজিতের আত্বীয় স্বজন রা নাকি একটু ভয় ভয়ে থাকেন !! এখানে একটা কথা বলে রাখি !! আমার অনার্সের যারা বন্ধুছিল, সুমন সাদত , ইমরুল , কয়েস , স্বাগত , গোবিন্দ , ইয়াসমিন ,মিজু, হলি ,পরেশ,মুজাক্কির আরো অনেকের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়তেছে না ???এরা কেউ ছাত্র রাজনীতি করতেন না !! অনেকেই এখনও আমার ফেইসবুকের বন্ধুর তালিকায় আছেন !!
যাই হোক সুজিতের গল্পে আসছি !! সে খুবই ভদ্র বিনয়ী ; দেখাহলে খুব সুন্দর একটা হাসি দিয়ে কুশল বিনিময় করে !! তাই তার প্রতি আমার একটু আলাদা সম্পর্ক ছিল ভাল বন্ধু হিসাবে !!
আমি যখন চিন্তা করছিলাম কে তার শশুর !! তখন সে বলছিল ; তুই উনাকে চিনবে ??? তখন ভাবলাম অনার্স পড়ার সময় থাকেতো কোন মেয়ের সাথে দেখি নাই আড্ডা দিতে !!
তার পর সে যখন বলল “তার শশুর আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি !! তখন আর আমার অসুবিধা হল না চিনতে !! আমার সাথে তখন আমার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু সিলেট জজ কোর্টের খুবই ব্যস্ত আইনজীবী জয়ও সাথে ছিল !! আমি তাকে তখন বলেছিলাম “তোমার শশুর আগামীতে বাংলাদেশের প্রধান বিচার প্রতি হবার সুযোগ আছে ” !!
আমি বলেছিলাম কারণ ; আমি সহ আর কিছু বন্ধুরা ঐসব বিষয়্নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করি ; বয়েসের বিবেচনায় “এস কে সিনহা “আমাদের দেশের প্রধান বিচার প্রতি হবারই কথা !!
তারা সেদিন আমার কথা বিশ্বাস করে নাই !! সে ও জয় তখন হাসা হাসি করছিল !! জয় তো বলেই ফেলছিল বন্ধু “কোন ইতিহাস নাই এদেশে অন্য ধর্মের লোক প্রধান বিচার প্রতি হবে !! ” আমি তখন তাদের বলছিলাম ” পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে ধর্মের বিচারে মানুষের প্রমেশন হয় না !! তার কর্ম গুনে হয় !! তখন জয় বলছিল ” বন্ধু এখন অনেক নেতারা আমাদের মালাউন বলে ” আর তুমি বলছ উন্নত দেশ আর উন্নত মানুষিকতা !! সুজিত ও জয় দুজনই খুব উচ্চ শিক্ষিত ভদ্রলোক !!লক্ষ্য করছিলাম সুজিতও তা সমর্থন করছিল !! আমি তাদের বলছিলাম ” বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে !! একুশ বছর আওয়ামিলিগ ক্ষমতার বাহিরে ছিল বলেই !! তোমরা আজ একথা বলার সুযোগ পাচ্ছ “কোন ইতিহাস নাই এদেশে অন্য ধর্মের লোক প্রধান বিচার প্রতি হবে ” !!
প্রিয় পাঠক ,বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার
##অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক বিরল দৃষ্টান্ত##
স্থাপন করে আমাদের সিলেট জজ কোর্টে সাবেক আইনজীবী আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে !! মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বিচারপতি সিনহা হলেন প্রথম অমুসলিম ও আদিবাসী, যিনি সর্বোচ্চ আদালতের নেতৃত্বে এলেন !!প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন অবসরে যাচ্ছেন ১৬ জানুয়ারি। বিচারপতি এস কে সিনহা তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।দেশের একবিংশতম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এস কে সিনহা আগামী ১৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন !!বন্ধুদের কে বলা আমার কথায়ই সত্যি হল !!
### যাই হোক লম্বা সাম্পদায়িক কিচ্ছার বা গল্পের পর এখন আবার বিলেতের গল্পে আসি ;
সাম্প্রদায়িকতা কে হাই লাইটস করতে গিয়ে একটু বেশি লম্বা গল্প বলে ফেলাম !!
### অনেকই হয়তো গত পর্ব গুলো পড়েন নাই ; তাই একটু বলে রাখা ভাল !! নৈতিকতকার প্রশ্নে আমি আমার জায়গায় সব সময় সমান অবস্থানে !! অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নাই !!
### বিবাদটা ছিল প্রকৌশলী সুসান্ত vs হাইব্রিড শাহনেওয়াজ !!
প্রিয় বন্ধুরা ..
আমি আমার শাণিত যুক্তি অকাট্য, অখণ্ডনীয়, ,সৃজনশীলতা দিয়ে, মুক্তচিন্তা দিয়ে অসম্প্রদায়িক চেতনাকে তুলে ধরলাম মাত্র !!
যারা এখনও মনে করেন সাম্প্রদায়িক গালাগালি করে ; বাহ বাহ নিতে পেরেছেন !! পাল্টা পাল্টি লেখা কিংবা বক্তব্য দিয়ে এটা কে হজম করে নিবেন ; তারা কতটুকু ভুল করতেছেন ভবিষৎই বলে দিবে !!
জানি আমাদের এই নিরব প্রতিবাদ তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না !! তবে কিছু ভদ্রলোকের কাছে শাহ নেওয়াজ গংরা ঘৃনা আর করুনার মানুষ হিসাবে থাকবে !!
৩টি মন্তব্য
হৃদয়ের স্পন্দন
দারুণ যুক্তিখন্ডন সাথে মনের ভাবাবেগ 🙂
জিসান শা ইকরাম
অনেক প্রসঙ্গ এসেছে আপনার লেখায়।
লীগের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে লীগাররা নিজেরা।
সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে এরা আদর্শকে বিলিয়ে দেয়, যা জামায়াত বা বিএনপি কিছুর বিনিময়ে করবেনা।
নিজেদেরকে শক্তিমান করতে এদের কিছু কিছু কর্মী রাজাকারদের সাথেও হাত মেলায়
কিছু আছে মুখে অসাম্প্রদায়িক বললেও আসলে সাম্প্রদায়িক।
মুলত এদের কারনেই এত বড় একটি সংগঠন আজ প্রশ্নের সম্মুখীন ।
ভালো লিখেছেন।
আলমগীর হোসাইন
একটা সংগঠনের সব মানুষ ভাল থাকে না । তাই নিজেস্ব দায়্বদ্দ্বতা থেকেই সামাজিক সচেতনতার জন্য
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র !!