পূর্ব আকাশে রবি সবে জায়নামাজ পেতেছে,প্রভু ঘরে তখন ঢোকেনি!আমার তখন ভোরের ঘুমের মায়ায় নাক ডাকে!ধানের শিশ থেকে যেন ভোরে ধান ছাড়াছে মেশিনে!
হঠাৎ মায়ের ডাকগুলো আমার কানে এসে ঝাপ্টা মারে,আর এই ভাবে কদ্দিন!নামাজ কালাম কর,আল্লার কাছে সবাইকে যেতে হবে!
মা, এখন আমি তোমার ছোট্টোবেলার কর্নের সঙ্গে যাবো!বেচারা কর্ন ছেলেটা বেশ!ওর সঙ্গে ছোট্টোবেলা থেকে আমার বেশ সখ্যতা আছে!ওকে যখন যা বলি তাই শোনে!ওর কপালে আছে ত্রিশূল!হাতে আছে যীশুর কাঠশূল!
মাঝেমাঝে রবিবার করে কুয়াশা মাখা ভোরে , ঘাড়ে
ব্রম্ভার ভুত চাপে!আমারা দুজন মাদার টেরিজা হোমে সব মাদারের পেছনে গিয়ে দাড়ায়!ক্রুশে বিদ্ধ যীশুর গায়ে রক্ত!ভয় লাগে!চোখের পাতা নামায়!একমনে যীশু বলে,আমি খুব যন্ত্রনায়! আমার দেহের আর কত রক্ত ঝরাবে!তোমরা!আমাদের দুই হাতের পাতা জোড়ালেগেই থাকে!
পরীক্ষার রেজাল্টা,কর্নের সঙ্গে মন্দিরে যায়,গর্ভমূলের যন্ত্রনা!মুখে থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে!দেখে কিছু আমি আর চাইনি!সবাই শুধু ঘন্টা নাড়ে!
মা আমার কথা শুনে বলে,তুই কি নাস্তিক!আমি কাঁদি! সাদা পাতায় যন্ত্রনা গুলো আজ ও আমি মুছি!
৪টি মন্তব্য
লীলাবতী
কিছু আবেগ প্রকাশের ভাষা থাকেনা ।আপনার এই লেখাও তেমনি । তবে ভালো লেগেছে লেখা।
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা ভিন্ন লেখায় অনেক ভালোলাগা ।
শিশির কনা
ভালো লেগেছে খুব।
প্রজন্ম ৭১
ভালো লেগেছে ।