আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা আমি সহজে রাগতে পারি না । আপনি আমার সাথে একটার পর একটা খারাপ ব্যাবহার করে যাবেন । আমি কষ্ট পাবো, কিন্তু এটা কাউকে বুঝতে দেব না, আর একটুও রাগ করব না । এভাবে চলতেই থাকবে । আপনিও সুযোগ পেয়ে খারাপ ব্যাবহার করে যাবেন(এরকমই হয়)।
আর একটি সমস্যা আমার প্রতিটা বিসয় মনে থাকে । কে কবে সামান্য বিষয় নিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছিল বা কে ছোটলোকি পানা করেছিল। সব আমার মনে থাকে।কে আমার কাছে মিথ্যা বলেছিল বা কে স্বার্থ হাসিলের জন্য ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছে সব আমার মনে থাকে।চেষ্টা করেও এসব আমি ভুলতে পারি না। বার বার এগুলো মনে কাটার মত বিধে । খুব ছোট কোন বিষয়ও যদি আমার সাথে ঘটে তাও আমি দুই বছর পর হুবহু বলে দিতে পারি । এমনকি গত ৫ বছরে কে কে আমায় স্বার্থ ছাড়া চা খাইয়েছে তাও আমার স্পষ্ট মনে আছে ।
সবচেয়ে বিব্রতকর সমস্যা হচ্ছে আমার কোন গুরুত্বপুর্ন তারিখ মনে থাকে না।যেমন কারো জন্মদিন আমি কোনভাবেই মনে রাখতে পারি না । নিজের জন্মদিনও আমার মনে থাকে না।এটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়। দেখা গেল বন্ধু দিবসে আমার বাল্য সখারা বিশেষ কোন আয়োজন করে আমাকে ২ দিন আগে জানিয়েছে,আর আমি দিনটির কথা ভুলে হয়ত বাইরে কোথাও চলে গেছি । ফলাফলে বন্ধুদের সাথে শুধু শুধুই একটা মন মানিল্যের সৃষ্টি হয় । জেনে অবাক হবেন আমি আমার প্রাক্তন প্রেমিকার জন্ম তারিখটা পর্যন্ত মনে রাখতে পারি না(প্রায় ৫ বছর প্রেম করেছি)।অথচ বেচারি সম্পর্ক ভাঙার পরও প্রতিবছর আমাকে উইশ করে এবং গিফট পাঁঠায় ।
যে সমস্যাটায় বেশি ভুগি তা হল কোন জিনিশই আমার বেশি দিন ভালো লাগে না। আর একবার খারাপ লাগা শুরু হলে তার দিক ফিরেও আমি তাকাতে পারিনা। এজন্য আমার পরিবারের কাছে প্রায়ই ঝাড়ি খেতে হয়।
সবচেয়ে মারত্মক সমস্যা হল আমি একবার রেগে গেলে আমাকে সামলানোর মত কেউ পৃথিবীতে কেউ নেই । প্রথমে বলেছি আমি সহজে রাগতে পারি না,কিন্তু ব্যাবহার মনে থাকে। ফলে যদি কোনদিন রেগে যাই তখন আমার পুরান কথা সব মনে পড়ে যায়, ফলে রাগ বাড়তে থাকে। আর আমার রাগ সময় যত যায় তত বাড়ে।সবচেয়ে অবাক হই আমি একবার রেগে গেলে আমার রাগ দুই তিনদিন পর্জন্ত স্থায়ী হয় । এবং আজকের রাগ আমি ৪/৫ মাস পরেও খাটাতে পারি। আজকেও এই রাগের কারণে একটা ভালো মত অঘটন ঘটিয়ে এসেছি । রাগের কারণে কোন দুর্ঘটনা ঘটালে আমার কোন অনুশোচনাও হয় না ।
এই সমস্যাগুলো নিয়ে আমি বেশ ভুগছি । কেউ যদি এই সমস্যাগুলোর কোন সমাধান দিতে পারেন তবে কৃতজ্ঞ থাকব ।
১৭টি মন্তব্য
প্রজন্ম ৭১
শুধু এ সমস্যা ‘ যে সমস্যাটায় বেশি ভুগি তা হল কোন জিনিশই আমার বেশি দিন ভালো লাগে না। আর একবার খারাপ লাগা শুরু হলে তার দিক ফিরেও আমি তাকাতে পারিনা। ‘ বাদে অন্য গুলো তেমন বড় কোন সমস্যা নয়।
এটা একটু নরমাল করুন ।
"বাইরনিক শুভ্র"
যে সমস্যাগুলোর কথা লিখেছি প্রতিটাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি প্রায় ২ বছর ধরে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না ।
জিসান শা ইকরাম
সমস্যা গুলো জানলাম ।
আমারও কিন্তু প্রায় একই সমস্যা । বিশেষ করে তারিখ আমিও মনে রাখতে পারিনা।
কারো সমস্যার অন্য কেউ সমাধান দিতে পারে না । তবে পরামর্শ দিতে পারে।
"বাইরনিক শুভ্র"
পরামর্শই চাই । (ভাবির ঝাড়ি খেয়েও কি ভুল হয়??)
শাদমান সাকিব
নিজের সমস্যা বুঝতে পারাও সমাধানের অনেকটা পথ পেরুনোর সমান ।
"বাইরনিক শুভ্র"
ধন্যবাদ।
শিশির কনা
একমাত্র সমাধান , বিয়ে করে ফেলুন। আপনার কোন সমস্যাই থাকবেনা । বিফলে মুল্য ফেরৎ 😛
"বাইরনিক শুভ্র"
ছোট বেলা থেকেই শখ একটা বিয়ে করার। কিন্তু আমাকে বিয়ে করতে কেউ রাজি হচ্ছে না । :'(
বনলতা সেন
শিশির কনা বলেছেনঃ একমাত্র সমাধান , বিয়ে করে ফেলুন। আপনার কোন সমস্যাই থাকবেনা । বিফলে মুল্য ফেরৎ 🙂
"বাইরনিক শুভ্র"
বাইরনিক শুভ্র বলেছেনঃছোট বেলা থেকেই শখ একটা বিয়ে করার। কিন্তু আমাকে বিয়ে করতে কেউ রাজি হচ্ছে না । :’(
প্রজন্ম ৭১
হা হা হা হা হা , মজা পেলাম , মন্তব্য আর এর জবাবে ।
"বাইরনিক শুভ্র"
=D
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ , কেউ কেউ সমাধান ইতি মধ্যেই দিয়েছে ।
একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।
"বাইরনিক শুভ্র"
তাহারা যে সমাধান দিয়েছেন সেই সমস্যার সমাধান এখনও কেউ দেয়নি । দিলেই ঘটিয়ে ফেলব ।
হতভাগ্য কবি
কাউন্সিলিং সেবা নিলে ভালো বোধ করতে পারেন, কিংবা কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। মনে রাখবেন সাইকোলজিস্ট এর কাছে যাওয়া মানেই পাগল হওয়া নয় । এই সমস্যা গুলো অনেক বড় সমস্যার প্রাথমিক লক্ষন হতেও পারে।
কিছু সাইকোলোজিকাল সেবা প্রাপ্তির স্থান
–বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ঃ এ হাসপাতালের মানসিক বিভাগ সপ্তাহে ছুটির দিন বাদে সকাল আটটা থেকে বেলা দুটা পর্যন্ত খোলা থাকে। বহির্বিভাগ থেকে পাঠানো মানসিক রোগীদের জন্য এখানে রয়েছে দক্ষ মনশ্চিকিৎসক।
–ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগে প্রতি সোমবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
–বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর ট্রমা ভিকটিম (বিআরসিটি)ঃ সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা দুটা পর্যন্ত এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঠিকানাঃ ২৪ বিজয়নগর, ঢাকা।
–আইসিডিডিআরবিঃ মহাখালীতে অবস্থিত এই হাসপাতালটির ‘জাগরী’তে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা।
"বাইরনিক শুভ্র"
thanx a lot.
হতভাগ্য কবি
ধন্যবাদ আপ্নাকেও 🙂