রহীমের বাবা না হয় রহীমের পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছে পড়ার জন্য। কিন্তু কুসুম ? কুসুম এসেছে এখানে পড়াশুনা করেছে নিজের হাড় ভাঙ্গা খাটুনি করা টাকা ব্যায় করে।
বিয়ে করতে হয়েছে অন্ধকারে ঝাপ দিয়ে ।যে ছেলেকে সে সাত দিন আগেও চিনতো না।
অন্ধকারে ঝাপ দিতে হয় তার সব বোন গুলোকে।ঝাপ দেয়া ছাড়া উপায় থাকেনা কারন জানা কথা তার বাবামা খোজ নিবে না ছেলের বা ছেলের পরিবারের। যারা
” হ্যাঁ” করে তার সাথেই বিয়ে নামক কাজ টি সমাধান করতে হয়।
ফল স্বরূপ পাত্র খারাপ হলে “মেয়ের কপাল খারাপ”। “যা পেয়েছো তা নিয়েই থাকো” । “যেমন, তেমন তো বিয়ে হবে”? “পাত্র উপযুক্ত হলে কি তোর সাথে বিয়ে হতো”? আর বিয়ে ভেঙ্গে দিলে তো কথাই নাই সেটা হবে ” সংসার টিকিয়ে রাখতে পারিস না” । এই রকম ব্যাক্য বানে জর্জরীতো হতে হবে এই বাড়ির বোন দের ।
যেন মেয়ে রাকে কষ্ট দিয়েই তাদের আনন্দ ।
ঠিক আছে তোমরা আনন্দ অনেক করেছো মেয়েদের জীবন নিয়ে।
এখন তাদের একেক জনের একেক কষ্ট করা জীবন।
তা থেকে মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস ফেলার জন্য যে বাবার বাড়ি যাবে তা কি বাবার বাড়ির ভাইরা দিবে? বা মা ? অনেক সময় সে মাও দায়না ।
‘বিয়ে হয়ে গেছে , এখন কেন বাবার বাড়ি’ ? বাবার বাড়িতে ভাই দের অধিকার ,বোন দের নয়।
এই যেমন কুসুম। তার জীবনেও একই তিক্ত অভিজ্ঞতা ।
কি হয়েছে কুসুমের ?
কুসুম যখন ভালো রেজাল্ট করে ভার্সিটিতে পড়তে যাবে তখন তাকে যেতে দিতে বাধা দায় বাবা নয় ভাই আর মা। জোর করে ভর্তি হয় সে ।তারপরে জানা গেল সে স্কলারসিপ পেয়েছে ।
বাস বন্ধ হয়ে গেল ফুড চার্জ । কেন স্কলারশিপ পেয়েছ সেটা দিয়েই চালাও । “এই টাকার মধ্যে ফুড চার্জ যুক্ত না ” । বললেও তা গার্জেন দের কর্ন কুহুরে যায় না।
বিপদে পড়ে কুসুম। বাড়ি ছাড়ার সময় হাতে কিছু টাকা যে দেয়া হয় তার সাথে নিজের কিছু যোগ করে চালাতে হয়।যা দিয়ে মোটেও চলা সম্ভব নয়।
ফলস্বরূপ ভুক্ত অর্ধ ভুক্ত , পুষ্টি হীনতায় হোস্টেল জীবন পার করতে হয়। ওজন দাঁড়ায় মাত্র নব্বয় পাউন্ড ।বা ৪৫ কেজির মত । যা কিনা যে ওজন থাকার দরকার তার চেয়ে অনেক কম । মাথা ঘুরায় দুর্বলতায় । হাঁটার শক্তি থাকে না।
বাবার অবস্থা কিন্তু ভালো ।
কিন্তু সে যে “মেয়ে ” হয়তো তাই ।
“ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট ” পুত্র হলে একদিন অর্থ কামায় করে দিবে বাবামাকে। মেয়ে দিবে কিনা কে জানে?