রহীমের ডায়েরি থেকে
ভাগবাটোয়ারা আর প্রবাসীর বঞ্চনা
রহীম দিনের পর দিন ,মাসের পর মাস আর বছররের পর বছর কলুর বলদের মতো পরিশ্রম করে তার দেশে রেখে আসা পরিবারের দায়িত্ব কাধে নিয়েছিল।
তার পাঠানো টাকা দিয়ে জায়গা জমি কিনে সেই জমি বাবা নিজের নামে করে এবং তা বণ্টন করে সমস্ত ছেলে মেয়ের মধ্যে।
কারন সে ওই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে ।
কি সেই ক্যাটাগরি?
সে প্রবাসী । প্রবাসে পাঠিয়েছিল বাবা তার টাকা দিয়ে । তা শোধ করে দিয়েছে রহীম আর এক ভাইকে নিয়ে এসে ,তার ঘর ভাড়া দিয়ে , পড়ার খরচ দিয়ে।
কিন্তু না তা আর শোধ হয় না । একটার পর আর একটা বায়না আসে বাবার কাছ থেকে । এই জমি, সেই জমি কিনতে হবে টাকা দাও।
আর বেচারা রহীম এর ভাগ্যে কি জুটে ভাগাভাগির সময়?
যা পড়ে অন্য প্রবাসী ভাইদের কপালে তার কপালেও তাই। শুনা গিয়েছিল তার কেনা জমি তার ভাগে দেয়া হবে।
বাবা মারা যাওয়ার পর দেখা যায় তার ভাগ্যে তার কেনা জমি সেগুলো একটুও নাই।
আর শহরের কেনা জমি?
সেখানে একেবারেই নাই।
এই হল রহীম এবং রহীমের মতো হাজার হাজার দুর্ভাগা প্রবাসীর বঞ্চনার গল্প ।
কে কাকে ঠকাবে ,কার কাছ থেকে কেড়ে
নেয়া যাবে তার অসুস্থ প্রতিযোগিতা ।
রহীমের ডায়েরি
৮৩জন
৭জন