টাকা কামানো আরম্ভ করতে হল । উপায় নাই। চার দিকে অনেক সুউচ্চ অট্টালিকা । সেগুলো সব ধনী মানুষের । কিন্তু নিনা তো বাইরের দেশ থেকে আসা । রিফুজি। এখানে বাবার জমিদারী নাই। নিজের টা নিজেকে করে নিতে হবে । কাউকে কেউ দিবে না।
কিন্তু হায়! এই কি তার কপালে ছিল? টাকা আসতে না আসতেই স্বামী শুরু করে দিল টাকা তার হাতে দিয়ে দিতে হবে। কেন ?
এটা বলে তো সে নিয়ে আসেনি। আরও অনেক কিছু বলে নাই। যা বেশির ভাগ স্বামীই করে ।
এখন আসা যাক নিনার চাকরি আর তার কষ্টের কথায় । অনেক খুঁজা খুঁজিরর পর কাজ পেলো সে।
কষ্ট করল সে, কিন্তু সেই বেতনে প্রথমে ভাগ চাইলো হাজবেন্ড ।তারপর চাইতে আরম্ভ করলো শ্বশুর ।তারপর ননদ, দেওর। তারপর মা ভাই বোন ।
এই হল বেশির ভাগ প্রবাসী মানুষের আত্মীয় স্বজনের প্রত্যাশা একজন প্রবাসীর কাছ থেকে ।
বিদেশে কি তাদের কষ্ট , মনে কত খানি কষ্ট দেশের মানুষে তা বোঝার প্রয়োজন মনে করে না ।
দুর্দিনের জন্য যে সে কিছু টাকা যোগাড় করে রাখবে বা নিজের ভালো মন্দ কিছু খাবে বা কাপড় কিনবে তা যেন আর সে না করে তারিই বন্দবস্ত করতে থাকে তার চার পাশের মানুষ।
যাস্ট বিকজ সে বাইরে থাকে তাই? নাকি বোঝার অসুবিধা? সে তো সব কিছুই বোঝাতে চেষ্টা করে কিন্তু তাদের কর্ন কুহুরে তা প্রবেস করানো কঠিন ।