১২ সেপ্টেম্বর’২১ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে। একটা বিরাট সময় শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে শিক্ষার আলো ছিনিয়ে নিয়েছে বৈশ্বিক মহামারি বা অতিমারি করোনাভাইরাস। যা অনুমেয় কারণেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের ক্ষতি পুষিয়ে আনা অসম্ভব ব্যাপার। পাশাপাশি আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু কিছুটা কমেছে তবে থেমে নেই করোনার ভয়াল থাবা বা করাল গ্রাস। দেশে গণটিকা সহ টিকাদান কর্মসূচী সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে চালিয়ে নিচ্ছে। তথাপি পুরো জনগোষ্ঠীকে এখনো টিকার আওতায় আনা যায়নি কেননা এটা সময় সাপেক্ষ বিষয় এবং বিভিন্ন দেশ থকে অনেকটা টিকা প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। এতদসত্ত্বেও সরকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের এবং মেধা বিকাশের স্বার্থে স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সময়োপযোগী যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেজন্যে সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
দেশের শিশু কিশোর শিক্ষার্থীরা আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। তাই এদেশের সন্তানদের সুস্থ সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার জন্য অভিভাবক শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অংশগ্রহণমূলক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, এদেশের সব শ্রেণীর সব পেশার মানুষ করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধের জন্য প্রযোজ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে চরম উদাসীন। মাস্ক পড়তে চায় না। মানতে চায় না সামাজিক দূরুত্ব। এখন আমাদের সামনে বিরাট পরীক্ষা কীভাবে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীদের কতটুকু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবো। শিশু কিশোরদের কীভাবে মহামারির সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবো। এ বিষয়টি অবশ্যই মানবিক এবং নৈতিকভাবে সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে। অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। আমাদেরকে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে এবং সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। আমরা মানবিকতা বিবেক বুদ্ধি বিচার বিবেচনা বর্জিত হয়ে শিশুসহ সব বয়সের শিক্ষার্থীদেরকে বিরাট ভয়ংকর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে কোনো অবস্থায় ফেলে দিতে পারিনা। নিজেরা যদি নিজেদের সন্তান-সন্ততিদের বিষয়ে সচেতন না হই তাহলে কঠোর আইন বা আইন রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা অসম্ভব ব্যাপার। আপনার আর আমার সন্তানের দায়-দায়িত্ব, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের ওপরই নির্ভরশীল। আসুন সবাই আমাদের সন্তান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জীবন এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন সুনিশ্চিত করি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
বাচ্চাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব বোঝাতে হবে, সাথে উৎসাহিত করতে হবে। মহামারী পরিস্থিতির কারণে ওদের জীবন থেকে আঠারোটা মাস অন্ধকারে হারিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য-উদাসীনতার কারনে সামনের দিনগুলোতে যেন আর কোন বাধা না আসে।
এখন দেখা যাচ্ছে বাচ্চারা যতটুকু না সচেতন তারচেয়ে বেশী অসচেতন হচ্ছেন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলের বাইরে অযথা অহেতুক ভিড় করছেন, শিশুদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। আসলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১১টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার সাথে সহমত ভাই। আমরা যদি না মানি স্বাস্থবিধি তবে কিভাবে সংক্রামণ রক্ষা হবে! আল্লাহ সবাইকে নিয়ম মেনে চলার তৌফিক দিন। আমিন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনি চমৎকার মতামত দিয়েছেন ভাই — “আমরা যদি না মানি স্বাস্থবিধি তবে কিভাবে সংক্রামণ রক্ষা হবে! আল্লাহ সবাইকে নিয়ম মেনে চলার তৌফিক দিন। আমিন”।
শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভককামনা রইল।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাচ্চাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব বোঝাতে হবে, সাথে উৎসাহিত করতে হবে। মহামারী পরিস্থিতির কারণে ওদের জীবন থেকে আঠারোটা মাস অন্ধকারে হারিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য-উদাসীনতার কারনে সামনের দিনগুলোতে যেন আর কোন বাধা না আসে।
ভালো থাকুন। শুভ কামনা 🌹🌹
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
এখন দেখা যাচ্ছে বাচ্চারা যতটুকু না সচেতন তারচেয়ে বেশী অসচেতন হচ্ছেন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলের বাইরে অযথা অহেতুক ভিড় করছেন, শিশুদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। আসলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর লেখেছেন আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে সেই সব পালন করলেই কিছু করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শিশিক্ষার্থীদের অবস্থা বেশ খারাপ। পড়াশোনা বোধহয় সব ভুলে গেছে। তাই সবাই সচেতন ভাবে চলতে হবে যাতে আর বন্ধের কবলে পড়তে না হয়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপু খুব গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। শুভ কামনা রইলো।
হালিমা আক্তার
চমৎকার পোস্ট। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস করাতে হবে। আমরা চাইনা পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হোক। শুভ কামনা রইলো।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।