যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যাটাকে বা রহস্যটা কি প্রথমে বোঝা দরকার। বারমুডা ত্রিকোণের রহস্যের থই পাওয়া মুশকিল বলেই বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের অভিমত। কিন্তু খুব কাছ থেকে এই ত্রিকোণকে জানবো বলেই একটা ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী জাহাজে মিয়ামি থেকে তিন দিন আগে মিয়ামি থেকে বারমুডার দিকে রওনা দিয়েছি।
আকাশ পথে কিংবা সমুদ্রপথে মিয়ামি থেকে বারমুডার দূরত্ব প্রায় ষোলশ পঁয়ষট্টি কিলোমিটার। এরকম ছোট্ট একটা জাহাজে বেরোনোর ব্যাপারটা অবশ্যই দুঃসাহসী। মারাত্মক হয়ে উঠতেও পারে । একটা মহাসাগরীয় অঞ্চলে এমন জলযান খুবই নগণ্য হলেও সব রকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় ভয় পাচ্ছি না। আসলে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়ে যাওয়ার সুযোগ যেমন আছে তেমনি দরকারে মহাসাগরে তলায় ডুবে বেঁচে থাকার উপযুক্ত মিনি সাবমেরিন এর সঙ্গেই আছে। তবে আগেভাগে কিছুই বলা যায়না। বারমুডার রহস্য ও বিপদ বহুমুখী। আকাশ, সমুদ্রের উপরিতল এবং মহাসাগরের তলদেশ শুধুমাত্র রহস্যময় নয় বরং অনেক সময় তা ভীষণ রকম আনপ্রেডিক্টেবল।
এই সারাগোসা সমুদ্রের কথাই ধরা যাক,সেও কি কম গোলমেলে ?
গোলমেলে প্রকৃতির এক অনন্য এবং খেয়ালি এই সারাগোসা সি বা সারাগোসা ঘাসের জঙ্গল। সামুদ্রিক এই ঘাসের জঙ্গলের বিস্তার উত্তর আটলান্টিকের মাঝ বরাবর। দৈর্ঘ্যে প্রায় দুই হাজার মাইল ও প্রস্থে প্রায় সাতশো মাইল চওড়া। এর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ক্যানারি স্রোত এবং উত্তর আটলান্টিক স্রোত বইছে। অবিসম্ভাবীভাবে দক্ষিণ দিকে উত্তর আটলান্টিকের উষ্ণ স্রোত বইছে। এমন অদ্ভুতুরেও বিচিত্র সামুদ্রিক অঞ্চলের পশ্চিম দিকে আমাদের গন্তব্য বারমুডা দ্বীপ।
এই যাত্রায় রিচার্ড ও আমি ছাড়াও রয়েছে আরও আঠারো জন নাবিক, বিমানচালক ও তাঁদের সহকারীরা। স্মিথসোনিয়ান সোসাইটির সহযোগিতায় আমাদের এই ভাবে বেরিয়ে পড়তে বিশেষ কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
তবে গোলমেলে এলাকায় গোলযোগ না হওয়াটাও অস্বাভাবিক। আসলে চারদিকের ভিন্ন ভিন্ন সমুদ্রস্রোত বা মহাসাগরীয় জলস্রোতের প্রকৃতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাটাকে বিচিত্র করে তুলেছে।
উত্তর আটলান্টিকের তীব্র শীতল জলের পরিবর্তে এখানে সমুদ্র বেশ উষ্ণ ,ঝোড়ো বাতাস সাধারণত নেই আর সবচেয়ে আশ্চর্যের যে মাঝ দরিয়ায় বা মহাসাগরের বুকে জলজ ঝাঁঝি,নানা রকম আগাছার পুরু চাদর বিছানো আছে। আমি দূর থেকে এমন উজ্জ্বল সোনালী ও বাদামী রঙের এই সামুদ্রিক আগাছা গুলোকে ভাসতে দেখে প্রথমে সেটাকে দ্বীপ বা ডাঙা বলে ভুল করেছিলাম।
রিচার্ড বলল ,”এরকম ভুল নাকি কলম্বাস ও করেছিলেন। “
আমি বললাম,” সেটা কিরকম ?”
সে বলল, “সেটা ১৪৯২ সালের ঘটনা। কলম্বাস স্পেনের পালোস দ্য লা ফ্রন্তেরা থেকে ভারতবর্ষের খোঁজে তাঁর নৌবহর নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। নীল জলের সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে পৌঁছে মাঝ দরিয়ার এমন ঘাসের জঙ্গল দেখে তিনি চমকে উঠলেন। ভাবলেন নতুন দেশ কিংবা দ্বীপে এসে পৌঁছালেন বোধ হয়। তবে কাছে গিয়ে তার ভুল ভাঙলো। সেগুলো যে সামুদ্রিক আগাছা তা জানতে বাকি রইলোনা। জায়গাটা চিহ্নিত করা হলো ‘এল ম্যার দ্য লস সারগাজোস’ নামে। পর্তুগীজ আর স্প্যানিয়ার্ড নাবিকদের মুখে মুখে ফিরল তার কথা। ইংরেজিতে বলা হল সারাগোসা সী।”
আমি বললাম,”বুঝলাম, কিন্তু কি প্রজাতির এই জলজ উদ্ভিদ ,ঘাস কিংবা আগাছা ?”
রিচার্ড বলল ,” যতদূর জানি সারাগাসাম নাটানাস এবং সারাগাসাম ফ্লাইট্যান্স নামে দুই প্রজাতির সামুদ্রিক আগাছা পুরো এলাকা ছেয়ে আছে। সম্ভবত ক্যারিবিয়ান উপকূলে এর সূচনা। ইদানিং বলা হয় এই উদ্ভিদগুলি এখানেই উৎপত্তি লাভ করেছিল এবং দীর্ঘকাল ধরে এখানেই আছে।”
আমি ভাবলাম, সত্যিই প্রকৃতি কি রহস্যময়ী!
রিচার্ড বলল ,”আরো রহস্য আছে ডক্টর বক্সী। “
আমি কৌতুহলী দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালাম।
রিচার্ড কৌতূহলের নিরসনের জন্য বলল, “যতদূর শুনেছি আগেকার দিনে পালতোলা জাহাজ এই এলাকায় এসে পড়ার পর আর অন্য কোন দিকে যেতে পারত না। একে নিশ্চল বাতাস তারপর জলজ শ্যাওলা বা এই সারাগোজা সাগরের আগাছায় আটকে থাকত দিনের পর দিন। ঘোড়াবাহী জাহাজগুলোর পরিত্রাহি হাল হতো। এর থেকে পরিত্রান পেতে চাইত সবাই। নিজেদের জলের চাহিদা মেটানোর জন্য জাহাজ থেকে কাজের প্রয়োজনে বয়ে নিয়ে আসা ঘোড়াগুলোকে মাঝ সমুদ্রে নিক্ষেপ করত। আর সেই থেকে এই সামুদ্রিক এলাকা হর্স ল্যাটিচুড নামে পরিচিত হল।”
কিন্তু আমি ভাবছিলাম এর সঙ্গে বারমুডা রহস্যের সংযোগ কোথায় ? আমার মনে প্রশ্নটা ঝিলিক দিল।
প্রশ্নটা করতেই রিচার্ড বলল ,”সংযোগ আছে স্যার, কনেমারা জাহাজের কথা ভুলে যাচ্ছেন ডক্টর বক্সী ? “
“না কনেমারা ফোর এর কথা ভুলিনি”, আমি বললাম ,” তবে সেটা জাহাজ ছিলনা। সেটা আসলে একটা ইয়াট । সেটা উনিশ শ পঞ্চান্ন সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা। প্রমোদ ভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন কনেমারা ফোর-এর মালিক। কিন্তু বিধ্বংসী হ্যারিকেনের আগমনের খবর পেয়ে তিনি বাইশে সেপ্টেম্বর ইয়াটটিকে বার্বাডোজের কার্লাইল উপসাগরের নিরাপদ রোডস্টিড উপকূলে নোঙর করে রেখেদিলেন।”
কিন্তু কি আশ্চর্য প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী চারদিন পরে অর্থাৎ ছাব্বিশে সেপ্টেম্বর সেটাকে পাওয়া গেল বারমুডার দক্ষিনে। কোন যাত্রী কিংবা নাবিক ছিল না। আটলান্টিকের হ্যারিকেন সিজনে সেই বছর পরপর তিনটি ঝড় আছড়ে পড়েছিল কিন্তু এতসবের পরেও কনেমারা ফোর দিব্যি ভেসে রইল।
লেখক বার্লিৎজ উইনারের লেখায় এই ঘটনার কথা আমি পড়েছি। তাছাড়া বার্বাডোজের প্রত্যক্ষদর্শী মিস্টার চ্যালেনরের একটা চিঠি এই ধারণাটাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে আমার মতে হেরিকেন জ্যানেটের মত ক্যাটেগরি ফোর ঝড়ের পাল্লায় সত্যিই কনেমারা ফোরের ওপর পড়ে থাকে তাহলে সেটার ভেসে থাকার সম্ভাবনা প্রায় হাজার ভাগের এক ভাগ। অতএব এই তথ্যের কোথাও একটা বড়সড় গলদ আছে।
আমি রিচার্ডকে সে কথাই বললাম।
তবে আর একটা ঘটনা এই রকম রহস্যকে ঘনীভূত করেছিল। সেটা আঠারোশ একাশি সালের কথা। সারাগোসা সমুদ্রের কিনারায় এলেন অস্টিন নামে একটা মালবাহী অন্য একটা নামহীন জাহাজকে মৃদুমন্দ গতিতে ভেসে যেতে দেখেন। ভালো করে দেখার জন্য কাছে যেতেই দেখেন সেই জাহাজ নেই ভোজবাজির মতো যেন হঠাৎ মিলিয়ে গিয়েছে। এটা ঠিক যেন মরুভূমির মরীচিকার মত। কিন্তু না দিন দুই পরে আবার জাহাজটিকে দেখা গেল। এলেন অস্টিন জাহাজের ক্যাপ্টেন এবার তাঁর কয়েক জন বাছা-বাছা নাবিককে সেই নামহীন জাহাজে পাঠালেন কিন্তু কি আশ্চর্য জাহাজে একটা লোকও ছিল না। একজন নাবিকও নয় , একজন না যাত্রীও ছিলনা। তবে অদ্ভুত ঘটনা নাবিক যাত্রী ছাড়া জাহাজ এখানে এলো কি করে ? কিংবা তারা যদি থেকে থাকে তাহলে কোথায় গেল ? এরকম ঘটনা সারাগোসি এলাকায় কিন্তু বারবার ঘটেছে বা ঘটে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৬০ থেকে আশির দশকে।
যাই হোক ,এলেন অস্টিনের ক্যাপ্টেন উদ্ধার কর্মীদের জাহাজটিকে গাইড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে তারা সকলেই একসঙ্গে নিউ ইয়র্কে যাত্রা করতে পারে। দিন দুই পরে, দুটি জাহাজ সমুদ্রের ঝড়ে পৃথক হয়ে গেল। এবং যখন ঝড় একটু কমল ওই নামহীন জাহাজটিকে কোথাও দেখা গেলনা । বেশ কয়েক দিন পরে, অ্যালেন অস্টিন আবার সেই অজানা জাহাজটি খুঁজে পেয়েছিল এবং সেটা আবার উদভ্রান্তভাবে ঘুরছিল। আবার জাহাজে নাবিক পাঠানো হল। আশ্চর্যজনকভাবে গতবারের মতো আবারও কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলনা।
১৯৪৪ সালে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ নৌবাহিনী অফিসার, কমান্ডার রুপার্ট গোল্ড তার বইয়ে এলেন অস্টিন সম্পর্কে বিস্তর লিখেছেন । সেখানে তিনি অনুরূপ ঘটনার বর্ণনা করেছেন। তিনিও লিখেছেন যে অজানা জাহাজটি আবার এলেনআস্টিনের কাছে পাওয়া গিয়েছিল, তবে আগের উদাহরণের মতো সেই জাহাজটিতে কেউ ছিল না। জাহাজটি এলোমেলো ভাবে স্রোতের টানে ভেসেছিল । সব নাবিক বা জাহাজি লোকেরা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কম্যান্ডার গোল্ড সহ অনেক বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে বলা যায় যে এ পর্যন্ত গল্পটি সঠিক। তবে, অবশেষে এলেন অস্টিন অজ্ঞাতনামা জাহাজটিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলে গিয়েছিল এবং সেটাকে আর কখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে মজার কথা কি জানো ?
কৌতূহলী চোখে রিচার্ড জানতে উদগ্রীব হল।
আমি বললাম ,” লন্ডনের লয়েডস এন্ড লয়েডস এর রেকর্ড থেকে জানা যায় যে এলেন অস্টিন লন্ডন থেকে ১৮৮০ সালের ৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করেছিল এবং ১৮৮১ সালের ১১ ই ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক পৌঁছেছিলেন। এটি একটি অস্বাভাবিক দীর্ঘ যাত্রা ছিল এবং স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে নামহীন জাহাজটি অনুসন্ধান করতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছিল। ওই জাহাজটির নিখোঁজ হওয়ার কারণ জানার জন্য এখনও পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে লয়েডস এর রেকর্ড থেকে পাওয়া গেছে যে ১৮৫৪ সালে নির্মিত ‘মেটা’ নামের একটি পুরানো জাহাজকে ১৮৮০ সালে নাম পরিবর্তন করে ‘এলেন অস্টিন’ রাখা হয়েছিল এবং ১৮৮১ সালে কোনও দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। এই জাহাজ বা অন্য জাহাজের জন্য এই সময়কালে কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি। তাহলে ওই নামহীন জাহাজে যে নাবিকদের পাঠানো হয়েছিল এবং তারা চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল তার সপক্ষে যুক্তি কোথায়?”
এতক্ষন ধরে আমি যা বললাম সেটা শুনে রিচার্ড স্তম্ভিত হয়ে গেল। রিচার্ড এবার আমার কথায় সম্মতি জানালো।
রিচার্ড এই মহাদেশের নাগরিক আর আমি এসেছি সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এশিয়া মহাদেশের প্রত্যন্ত নগর প্রান্তিক বা বোলপুর থেকে। কিন্তু রহস্যের জট খোলার জন্য আমরা সমানভাবে একসঙ্গে চলেছি।
বেশ কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর রিচার্ড জানালো “সারাগোসা সাগরের অদ্ভুত আচরণ বা প্রকৃতি হলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিজ্ঞানীরা ও মহাসাগর বিশেষজ্ঞরা সারাগোসা সাগরের গুরুত্ব বুঝেছেন এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর ভূমিকা অপরিসীম তা জানিয়েছেন। গত পঞ্চাশ বছর ধরে বারমুডা ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এই বিষয়ে গবেষণা ও চর্চা করে চলেছে। বিখ্যাত মহাসাগর বিজ্ঞানী সিলভিয়া আর্ল এই সারাগোসা সাগরকে বলেন ‘গোল্ডেন রেইন ফরেস্ট অফ দা ওসেন’ বা ‘মহাসাগরের সোনালী বৃষ্টি অরণ্য’।
– এখানে শৈবাল আগাছার ঝোঁপে দলে দলে মাছ আসে, আসে নানা ধরনের কচ্ছপ। আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ান ইলমাছ এখানে ডিম পাড়তে আসে ,তারপর ছানাপোনা নিয়ে ঘোরেফেরে। পরে আরেকটু বড় হলে তাদের নিয়ে ফিরে যায়। হাম্পব্যাক তিমি মাছের দল আসে। আসে টুনা ,ওয়াহু ইত্যাদি জানা অজানা মাছের ঝাঁক তবে সমুদ্রস্রোতের ভেসে আসা প্লাস্টিক দূষণ সচেতন মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
(ক্ৰমশঃ )
৮টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
রহস্যময়ী স্থান বারমুডা। বারমুডা নামটা শুনলে কৌতূহলবশত পড়তে ইচ্ছে করে। যদি এর রহস্য জানা যায়। সত্যি জাহাজ আছে, নাবিকেরা নাই। কোথায় গেল নাবিকেরা সেই একই রহস্যই রয়ে গেল। শুভ কামনা অবিরাম।
নবকুমার দাস
” ঘটনাক্রমে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকা অসংখ্য সামুদ্রিক দুর্ঘটনার সাক্ষী।তাছাড়া এমনটাই হওয়ার কথাও ,কারন এই পৃথিবীর ব্যস্ততম যাত্রাপথগুলির অন্যতম এটি। সমুদ্রের এই অঞ্চলটিতে অসংখ্য ছোট ছোট নৌকার পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজ চলে। আকাশে সরকারি , বেসরকারি ও সামরিক প্লেন যাতায়াত করে। কাছের এবং দূরের দুই রকম গন্তব্যেরই। ইউরোপ ,দুই আমেরিকা ও আফ্রিকা মিলিয়ে চার মহাদেশের কমন স্পেস এটাই। উপরন্তু এখানকার অদ্ভুত ক্ষণেক্ষণে পরিবর্তনশীল আবহাওয়া যাত্রাপথকে দুর্গম করে তোলে। “
আমি বললাম ,”সে কথা না হয় ,তোমার আমার মত কিছু লোক বুঝলো ,কিন্তু বেশিভাগ মানুষই রহস্য রোমাঞ্চ চায়। আর গাঁজাখোর লিখিয়েরা অদ্ভুতুড়ে কাহিনী বুনে আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। “
রিচার্ড বলল ,”হুম ,কথাটা মন্দ বলোনি। এই সব কাহিনী লিখে আর সিনেমা বানিয়ে কত লোকে যে কোটি কোটি ডলার কমিয়ে ফেলল
আরজু মুক্তা
চলুক উপন্যাস তার বেগে
নবকুমার দাস
ধন্যবাদ দিদিভাই, বেশিভাগ মানুষই রহস্য রোমাঞ্চ চায়। আর লিখিয়েরা অদ্ভুতুড়ে কাহিনী বুনে আখের গুছিয়ে নিচ্ছে।
এই সব কাহিনী লিখে আর সিনেমা বানিয়ে কত লোকে যে কোটি কোটি ডলার কমিয়ে ফেলল …
নিতাই বাবু
রহস্য ঘেরা বারমুডা ট্রাঙ্গেলের রহস্য নিজের মনটাকে নাড়া দেয়। কিন্তু বারমুডা ট্রাঙ্গেলের রহস্য তো বড় বড় বিজ্ঞানীরাও উদঘাটন করতে পারেনি। তবুও বারমুডার রহস্য জানতেই ইচ্ছে করে। আপনার লেখা পড়ে হয়তো কিছু-না-কিছু জানতে পারছি, বলে বিশ্বাস!
নিরন্তর শুভকামনা।
নবকুমার দাস
ধন্যবাদ দাদাভাই,আমি রহস্যের কারনগুলি খোঁজার চেষ্টা করেছি এবং হয়ত সম্ভাব্য কারনগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারব। সঙ্গে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
রিতু জাহান
এটার উপর প্রচুর মুভি, বই, বের হয়েছে।
সত্যিই এক বিস্ময় এ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
রিসেন্ট একটা মুভি দেখলাম এটার উপর।
এমন ধরনের লেখা ব্লগে আমার বেশ ভালো লাগে।
শুভকামনা
নবকুমার দাস
ধন্যবাদ দিদিভাই, বেশিভাগ মানুষই রহস্য রোমাঞ্চ চায়। আর লিখিয়েরা অদ্ভুতুড়ে কাহিনী বুনে আখের গুছিয়ে নিচ্ছে।
এই সব কাহিনী লিখে আর সিনেমা বানিয়ে কত লোকে যে কোটি কোটি ডলার কমিয়ে ফেলল … আমি রহস্যের কারনগুলি খোঁজার চেষ্টা করেছি এবং হয়ত সম্ভাব্য কারনগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারব। সঙ্গে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ জানাই।