একটা বিষয়ে মন-মেজাজ বেশ খারাপ হয়ে আছে। এই মেজাজ খারাপের উৎস এক ‘সেলিব্রিটি পথশিশু’ আর আমার এক আবাইল্লা বন্ধু।
পলাশীতে রাস্তার পাশে থাকা এবং আজিমপুর গার্লস স্কুলে ক্লাস এইটে পড়া সেই মেয়েটিকে সেই এলাকার অনেকেই চেনেন। পথশিশু হয়েও পড়ালেখায় ভাল করায় তাকে নিয়ে পত্রিকায় কিছু প্রতিবেদনও বেরিয়েছিল। তার আসল নাম বলছি না; ধরে নেন তার নাম ‘আসমা’। তাকে প্রথম দেখেছিলাম পলাশীর মোড়ে, ২০১৪ সালের প্রথমদিকে। একটা দেখতে ভাল উঠতি কিশোরীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার দিকে তাকিয়েছিলাম আগ্রহ সহকারেই। দেখলাম সে আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টমিষ্টি একটা হাসি দিল। আমি তখনই তার সম্মন্ধে মোটামুটি ধারণা করতে পেরেছিলাম। আমি আবার তার কাছে ফিরে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি এখানে কি কর, থাকো কই- এসব। ও বলেছিল, সে রাস্তাতেই থাকে বাপ-মায়ের সাথে। তার পাশাপাশি আমাকে বলেছিল, সে আজিমপুর গার্লস স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ে; আর সে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তার সেই স্বপ্ন দেখা আমাকেও মুগ্ধ করেছিল। তারপরও আমি তার সম্মন্ধে যেহেতু কিছু ধারণা করতে পেরেছিলাম, তাই তাকে বললাম, ‘ তুমি আমাকে আঙ্কেল বলে ডেকো।‘
এরপর, তার সাথে আমার যখনই রাস্তাঘাটে দেখা হতো, সে আমাকে ‘ভাইয়া’ বলে ডাকতে চাইলেও, আমি বলতাম, ‘আমাকে তোমার আঙ্কেল বলতে পার। আমার দুই বোনের ঘরে ছয়টা ভাগ্নে আছে। তুমি কি আমার ভাগ্নি হবা।’
সে বললো, ‘আপনার সাথে আমার বাবার চেহারায় মিল আছে। আপনাকে আমি চাচ্চু বলে ডাকবো।’
আমার নাম্বারটা সে তার মোবাইলে সেভ করেছিল, ‘চাচ্চু’ নামে।
তাকে আমি নিজের ভাগ্নি বা ভাতিজির মতই ভালবাসতাম। দেখা হলে এটা ওটা কিনে দিতাম। ও আমার কাছে আবদার করে এটা ওটা চাইতো। বিদায় নেয়ার সময় ওর মাথায় আর গালে হাত বুলিয়ে আদর করে দিতাম।
কিন্তু, ‘আসমা’কে নিয়ে নিদারুণ একটি সমস্যার সূত্রপাত সম্প্রতি। আমার এক রুমমেটের মোবাইল ছিনতাই হয়েছিল বলে সে আমার একটা সিম নিয়ে ব্যবহার করতে লাগল। ধরি সেই ছেলের নাম ‘আসিফ’। সেই সীমে আসমার নাম্বার সেভ করা ছিল। আমার সিমটা নেয়ার আগে আমি আমার নাম্বার থেকে আসমাকে একটা কল করেছিলাম, সে ধরেনি। পরে যখন আসমা কলব্যাক করল, আমার সেই আবাইল্লা রুমমেট ফোন ধইরা দেখলো মেয়ের কণ্ঠ, আর সাথে সাথে খাতির জমাইয়া দিলো।
পরে সে আমারে বললো, এরকম ‘আসমা নামে একটা মেয়ে ফোন দিছলো। আমি আসিফকে বিস্তারিত বললাম ওর সম্মন্ধে। শুনে আসিফ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিল, ‘ওরে ফেসবুকে দেখে আর কথা বইলা তো মনে হয় না ও রাস্তায় থাকে!’
আমি বলেছিলাম যে আসলেই ওর অবস্থা এইরকম। আর আসিফের মেয়েদের প্রতি দূর্বল চরিত্রটি আমার ভালই জানা ছিল। আমি ওকে বলে দিয়েছিলাম যে, তুই আসমার সাথে কিছু করিস না।
কিন্তু, ও আমার কথা না মেনে আসমার সাথে দেখা করল। আমি তখনই উল্টাপালটা কিছুর আচ করে বারবার আসিফকে অনুরোধ করলাম যেন ও আসমাকে কিছু না করে। এটাও বলেছিলাম, দেখ আসিফ তুই অন্য মেয়েদের সাথে যা খুশি কর, বা আসমা অন্য ছেলেদের সাথে যা কিছু করুক, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু আমার কাছের মানুশ হইয়া তুই ওদিকে যাইস না। আসিফও আমাকে এনসিউর করে বললো, ও ওদিকে যাবে না। আর আসমাকে সে বোনের মত দেখে।
কিন্তাতু, রপর দিন দুয়েক আগে রাত ২টার সময় ফোনে কথা বলার শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি দেখলাম আসিফ ফোনে কোন একটা মেয়ের সাথে রোমান্টিক কথাবার্তা বলছে। ধীরে ধীরে সেই কথাবার্তা একসময় ফোন সেক্সে রুপান্তরিত হল। কিন্তু, আমি যে বিষয়টা খেয়াল করেছি, সেটা আসিফ বুঝতে পারেনি। আসিফ ভেবেছিল, আমি ঘুমাচ্ছি।
পরে আসিফ ঘুম থেক ওঠার আগে ওর মোবাইল চেক করে সন্দেহবশত গতরাতে সে যে মেয়েটার সাথে কথা বলেছে, তার নাম্বারের সাথে আসমার নাম্বারটা মিলিয়ে দেখলাম।
দুটো একই নাম্বার দেখে তো আমার আর কিছুই বুঝতে বাকি থাকলো না। প্রচন্ড রাগে আর দুঃখে আমার শরীর কাঁপছিল। আমার মনে হচ্ছিল, আমি এমন এক অক্ষম পিতা যে, আমি আমার বন্ধুকে আমার কন্যাসম সেই ‘পথশিশু’র সাথে ফষ্টিনটি করা থেকে রক্ষা করতে পারিনি। আর এমন এক অক্ষম পিতা যে, বন্ধুর এই অনৈতিক আর গর্হিত কাজ থেকে নিজের মেয়েকে রক্ষা করতে পারিনি।
এই ব্যাপার নিয়ে আমার সেই রুমমেট বন্ধুর সাথে এখন আমার সম্পর্ক খারাপ।
যাই হোক, পথশিশু আসমা যখন ছোট ছিল, তখন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলেমেয়ে পড়াত। তারা তাকে পড়িয়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে সাহায্য করেছিল ২০১১ সালে। কিন্তু, এরকম ‘রাস্তার মেয়ে’দের শুধু অক্ষরজ্ঞান দিলেই হয় না; তাদের নীতি আর নৈতিকতার শিক্ষাও যে দিতে হয়, তা সেই সৌখিন সমাজসেবীরা বুঝতে পারেনি। যার কারণে কিছু সময়ের জন্য আসমার পাশে থেকে তারা পরে আর খোঁজখবর নেয়নি।
যারা ২০১১-তে আসমাকে পড়িয়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন, তারা কি আসমার পাশে আবারো একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন? এই দুঃসময়ে আপনাদের সাহায্য নতুন করে দরকার আসমার।
আসমা আমাদের সমাজেরই অংশ; সে এখনো একটা বাচ্চা মেয়ে; সে ভুল করতেই পারে; পারে ভুলের ফাদে পা দিতে। এখন আসমাদের জন্য কিছু করার দায়িত্ব এই সমাজের। সমাজের সদস্যরা কি বিষয়টা একটু ভেবে দেখবেন?
১২টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
প্রশ্নের তীরটা আপনার দিকেই রাখলাম আমি।
আপনি কেন আসিফ এর মুখোশ উন্মোচন করছে না? আপনি কেন আসমাকে বিষয়টা বোঝাচ্ছেন না?
ফোনে মেয়ে কন্ঠ শুনলেই যারা বারবার ফোন করা শুরু করে তারা যে খুব ভালো ক্যারেক্টার এর মানুষ হয় না এটা বোঝানো আপনার দ্বায়ীত্ব, যেহেতু নিজেকে মেয়েটির বাবা বলে সম্বোধন করছেন।
শেহজাদ আমান
লেখাটা ফেসবুকে আর বিভিন্ন ব্লগে দিয়েছি যখন আমি আসিফ আর আসমার ব্যাপারটা জানলাম, তার পরের দিন। এর আগে ও পরে ব্যাপারটা নিয়ে আমি আসিফের উপর খুব ক্ষ্যাপা ছিলাম। ওর উপর আমি টেকনিক্যাল চরম রাগ দেখিয়ে আর প্রেশার ক্রিয়েট করে আমি আসমার থেকে ওকে দূরে সরিয়ে আনতে পেরেছি। আসিফ আমার রাগ আর ক্ষোভের কারনেই বুঝতে পেরেছে যে, ও আসলে কতটা খারাপ কাজ করেছে। ও তাই এমনকি আমাকে বলেছে যে, ‘আমার মরা মায়ের কসম, আমি আর ঐদিকে যাবো না।’ এখানেই আমার সফলতা আর আমি আসমাকে একটা এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আসিফ ওর মত অনেক মেয়েকেই ইউজ করছে। তাকেও ইউজ করতে চেয়েছিল।
আমি টেকনিক্যালি ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করে আসিফকে এই ব্যাপারটি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি বলেই মনে করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে আপনার দায়িত্ত্ব মেয়েটিকে রক্ষা করার।
কোনো বাবা কি নিজের মেয়েকে রক্ষার জন্যে এভাবে বলে?
শেহজাদ আমান
লেখাটা ফেসবুকে আর বিভিন্ন ব্লগে দিয়েছি যখন আমি আসিফ আর আসমার ব্যাপারটা জানলাম, তার পরের দিন। এর আগে ও পরে ব্যাপারটা নিয়ে আমি আসিফের উপর খুব ক্ষ্যাপা ছিলাম। ওর উপর আমি টেকনিক্যাল চরম রাগ দেখিয়ে আর প্রেশার ক্রিয়েট করে আমি আসমার থেকে ওকে দূরে সরিয়ে আনতে পেরেছি। আসিফ আমার রাগ আর ক্ষোভের কারনেই বুঝতে পেরেছে যে, ও আসলে কতটা খারাপ কাজ করেছে। ও তাই এমনকি আমাকে বলেছে যে, ‘আমার মরা মায়ের কসম, আমি আর ঐদিকে যাবো না।’ এখানেই আমার সফলতা আর আমি আসমাকে একটা এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আসিফ ওর মত অনেক মেয়েকেই ইউজ করছে। তাকেও ইউজ করতে চেয়েছিল।
আমি তো ওর নিজের বাবা না। যার কারনে সরাসরি আসমাকে কিছু বলতে পারিনি কড়াভাবে। তারপরও আমি টেকনিক্যালি ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করে আসিফকে এই ব্যাপারটি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি বলেই মনে করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাঁচিয়েছেন মেয়েটির আবেগ। তবে এই আসিফের মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে ভাবতেও আমার ঘেণ্ণা হয়। আমার কোনো বন্ধু যদি এমন হয়, আমি তাকে শোধরানোর চেষ্টা করবো। কারণ এদের মতোরাই নারীদের শ্লীলতাহানী করে।
শেহজাদ আমান
আসলে আপু, মেয়েটির আবেগকে বাচানোর এখানে কোন ব্যাপার ছিল না। মেয়েটিও রাস্তার পাশে থেকে থেকে রাস্তার মেয়েদের মতোই কাজকর্ম করে মাঝে মাঝে। তবে, একটা মানুষ যদি খারাপ হয়, তবে তাকে আরও নিচে নামিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। তাকে ওখান থেকে টেনে তুলবার চেষ্টার নামই সফলতা। এটাই আমি ‘আসমা’র ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছি।
আর আসিফের ক্ষেত্রে বলা যায় ঘটনার জন্য ওরই দায় বেশি। তবে, এখানে একহাতে তালি বাজেনি। আসমার ব্যাপারটাও আমাদের দেখতে হবে। প্রশ্ন রাখতে হবে, একটা ১৫-১৬ বছরের মেয়ে এরকম দুনিয়া ভাইজা খাওয়া টাইপের হবে কেন? আমাদের সমাজের চেষ্টা করতে হবে তাকে ভাল একটা পরিবেশ আর জীবন উপহার দেয়ার।
ফারহানা নুসরাত
আপনার উচিত ছিল আপনার বন্ধুর প্রতি আরও কঠোর হওয়া। আর আসমাকে জীবনের ভাল মন্দ দিকগুলো বারবার বুঝিয়ে বলা। যেকোন বাবা এমনটাই করবেন।
শেহজাদ আমান
লেখাটা ফেসবুকে আর বিভিন্ন ব্লগে দিয়েছি যখন আমি আসিফ আর আসমার ব্যাপারটা জানলাম, তার পরের দিন। এর আগে ও পরে ব্যাপারটা নিয়ে আমি আসিফের উপর খুব ক্ষ্যাপা ছিলাম। ওর উপর আমি টেকনিক্যাল চরম রাগ দেখিয়ে আর প্রেশার ক্রিয়েট করে আমি আসমার থেকে ওকে দূরে সরিয়ে আনতে পেরেছি। আসিফ আমার রাগ আর ক্ষোভের কারনেই বুঝতে পেরেছে যে, ও আসলে কতটা খারাপ কাজ করেছে। ও তাই এমনকি আমাকে বলেছে যে, ‘আমার মরা মায়ের কসম, আমি আর ঐদিকে যাবো না।’ এখানেই আমার সফলতা আর আমি আসমাকে একটা এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আসিফ ওর মত অনেক মেয়েকেই ইউজ করছে। তাকেও ইউজ করতে চেয়েছিল।
আমি তো ওর নিজের বাবা না। যার কারনে সরাসরি আসমাকে কিছু বলতে পারিনি কড়াভাবে। তারপরও আমি টেকনিক্যালি ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করে আসিফকে এই ব্যাপারটি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি বলেই মনে করি…।
মৌনতা রিতু
আপনার পোষ্ট পড়ে আমার কেন যেন আপনার নৈতিকতা নিয়ে মনে প্রশ্ন জেগেছে। আবাল মনে হইছে পুরোটা। মাথা গরম হয়েছে আমার। আসমাকে যদি আপনি মেয়ের মতোই মনে করেন! তবে তাকে নিয়ে রুমমেটের সাথে এ আপনার কেমন আলাপন? আপনার উচিৎ ছিল রুমমেটকে কষে এক চড় মারা। আসমাকেও আপনি বোঝাতে পারতেন। আসলে কি জানেন তো একটু মজা দেখতে চেয়েছেন আপনিও।নৈতিকতা শিখানোর দায়িত্ব নিজেকে একটু নিতে হয়। আমি এখানে কিছু মেয়েকে দেখাশুনা করি। ওদের কথাবার্তায় অসংলগ্ন দেখলেই চরম পর্যায়ে শাষনও করি। কারন, পুরুষ, অন্যের মেয়েকে মেয়ের মতো মনে করলেই সে বাবা হয় না। বাবা সে বাবাই।
আশা করি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।
শেহজাদ আমান
লেখাটা ফেসবুকে আর বিভিন্ন ব্লগে দিয়েছি যখন আমি আসিফ আর আসমার ব্যাপারটা জানলাম, তার পরের দিন। এর আগে ও পরে ব্যাপারটা নিয়ে আমি আসিফের উপর খুব ক্ষ্যাপা ছিলাম। ওর উপর আমি টেকনিক্যাল চরম রাগ দেখিয়ে আর প্রেশার ক্রিয়েট করে আমি আসমার থেকে ওকে দূরে সরিয়ে আনতে পেরেছি। আসিফ আমার রাগ আর ক্ষোভের কারনেই বুঝতে পেরেছে যে, ও আসলে কতটা খারাপ কাজ করেছে। ও তাই এমনকি আমাকে বলেছে যে, ‘আমার মরা মায়ের কসম, আমি আর ঐদিকে যাবো না।’ এখানেই আমার সফলতা আর আমি আসমাকে একটা এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, আসিফ ওর মত অনেক মেয়েকেই ইউজ করছে। তাকেও ইউজ করতে চেয়েছিল।
আমি তো ওর নিজের বাবা না। যার কারনে সরাসরি আসমাকে কিছু বলতে পারিনি কড়াভাবে। তারপরও আমি টেকনিক্যালি ব্যাপারটি হ্যান্ডেল করে আসিফকে এই ব্যাপারটি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি বলেই মনে করি…।
অপার্থিব
আছমা বয়সন্ধিকালে আছে , এই বয়সে তার মধ্যে প্রেমের অনুভুতি জাগ্রত হইতেই পারে। আর আপনি যদি “আসমার বাপ “ও হইয়া থাকেন তবুও আপনার বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশে অনেক বিখ্যাত মানুষের জীবনে এমন ঘটনা আছে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা প্রেম , ফোনে কথা বলা এই সব শেখে বন্ধুদের মাধ্যমে। আজিম পুর গার্লস স্কুলে তার বান্ধবীরা যদি এই সব করতে পারে তবে সে পারবে না কেন ? তবে আপনার বন্ধুর যদি কোন বদ মতলব থাকে তবে তারে গণ ধোলাই দেয়া একান্ত কর্তব্য। আসমারে সঙ্গী নির্বাচনের গুরুত্ব শেখানো দরকার।
শেহজাদ আমান
লেখায় আমি তো উল্লেখ করেই দিয়েছি যে, আসিফের উদ্দেশ্য ছিল জাস্ট আসমাকে ইউজ করা। আর আপনি যদি এই অসম ও বিষম প্রেম ভালবাসা সমর্থন করেন, তাহলে একটা ফাচুইক্কা ব্যাপারকেই সমর্থন করবেন। বাংলাদেশের কোন বিখ্যাত মানুষের জীবনে এরকম ফাচুইক্কা ঘটনা থাকলেই সেটা জায়েজ হয়ে যায় না। ভ্লাদিমির নবোকভের ললিতা উপন্যাসে একটা ৪২ বছরের লোকের সাথে একতা ১২ বছরের মেয়ের ইয়ে দেখানো হয়েছিল, যেটা একটা ফাচুইক্কা ব্যাপার আর খাস ভীমরতি। তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের কোন মহাপুরুষের জীবনেও যদি এমন ঘটে থেকে, তাহলেও সেটা জায়েজ হয়ে যায় না। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।