#চলতি জীবন ঘটনা বহুল —
#চেনা জানা কৈশোরের উজ্জ্বল দিনগুলি কে মনে নিয়ে ছিমছাম গোছানো এ শহরের অতিপরিচিত রাস্তায় হেঁটে বেড়াতে অনাবিল এক আনন্দ !! কিছুক্ষন আগে বাজার করতে গিয়েছিলাম আম্বরখানা বাজারে |
বাসার জন্য চাল -মাছ -তরকারি কিনলাম ; হয়তো আরও মাত্র কয়েকটা দিন পর মা-বাবার নিত্য প্রয়োজনীয় শপিং করার আর নিয়মিত সুযোগ পাব না |
মা এখন একটু সুস্থ | খুব ভাল হত যদি লং টাইম নিয়ে থাকতে পারতাম _মায়ের সাথে | কিন্তু তা খানিকটা অসম্ভব বলা চলে |তারপরেও যতক্ষণ আছি মা -বাবার সাথে গল্প করে ইনজয় করার চেষ্টা করছি |
বিলেতের ব্যস্ত জীবনে দেশের এই তরতাজা মাছ গুলো খুব মিস করি |একদম খাঁটি দেশি মাছ কিনলাম -স্থানীয় জেলেদের মাছ |
দেশের এই তরতাজা মাছগুলো বিলেতে কোন ভাবেই পাওয়া যায় না | ওখানে সব বরফের মাছ | আমার খুবই পছন্দের খাবার মাছ -দেশে আসার পর থেকে নিয়মিত খাবারে তালিকায় মাছের মেনুটা আছে |
মাছের বাজারের পর একটা স্টোশনারি শপে ডুকলাম-আমি দেশে আসলেই দেশের লাল-সবুজের পতাকা দিয়ে তৈরী একটা চাবির রিং সব সময় কিনি-পাল ব্রাদার্স থেকে ; এটা আমার ব্যক্তিগত গাড়ির চাবির সাথে থাকে| এই রিং টার দিকে থাকলে দেশ টাকে ফিল করি |এবার তাদের এখানে চাবির রিং যে রকম চেয়ে ছিলাম এরকম পাই নাই |এই দোকানটিতে তুলনা মূলক ভাবে কোয়ালিটির জিনিষ পাওয়া যেত |
প্রায় প্রতি বছরই আমাকে কোন না কোন কাজে দেশে আসতে হয় |গত ঈদে পাঞ্জাবি নিয়ে খুব ঝামেলায় পড়েছিলাম ; বিলেতে বেশির ভাগ পাঞ্জাবি -পাকিস্তানী স্টাইলের কোর্তার মত -কিছু কিছু আবার আরাবিয়ান স্টাইলের তোফা | যা আমি মোটেই পছন্দ করি না |কাজেই সময় বের করে কয়েকটা পাঞ্জাবি কিনতে বের হয়েছিলাম |দেশীয় পাঞ্জাবির জন্য আমার সাইজ একটু বড় ৪৮ | এটা একটা বিরাট সমস্যার কারণ |
ব্যক্তিত্ত্ব আর রুচি বোধের প্রতিছবি হলে সাজ-পোষাক |স্থান-কাল-জায়গা ভেদে পোষাক সিলেকশনটা জরুরি |
অনেক কষ্ট করে রুচিশীল কালার ও কোয়ালিটি সব কিছু মিলিয়ে ৫ টা পাঞ্জাবি কিনলাম-নিজের জন্য |
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ একটু খাট হওয়ায় এখানে বিগ সাইজের কাপড় তুলনা মূলক ভাবে কম |অথচ বাংলাদেশের তৈরী বিগ সাইজের কাপড় গুলো বিলেতের সব বড় বড় শপিং সেন্টার গুলোতে নিয়মিত পাওয়া যায় শুধু আমাদের দেশীয় পাঞ্জাবি ছাড়া |
পাঞ্জাবি বিলেতে পড়ার সময় কোথায় ?? মূলত জুম্মার নামাজ ও ঈদের নামাজে পাঞ্জাবি পড়া হয় | আমি যতই ব্যস্ত থাকি শুক্রবারের জুম্মার নামাজটা মিস করি না | এটা আমি সহও আমার বন্ধু মোনায়েম, কামরুলের পুরানো একটি ভাল অভ্যাস বলা যায় |
দেশ থেকে বিলেতে নেওয়ার মত আরেকটা জিনিস হল-খাঁটি চামড়ার পেন্টের বেল্ট | যা তুলনা মূলক ভাবে লন্ডনের চেয়ে আমাদের -দেশে বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে ভাল জিনিস পাওয়া যায় |যা মূলত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো আমাদের মত দেশগুলি থেকে তৈরী করেই -নিয়ে বিশ্ব মার্কেটে বাজার জাত করে |এটার জন্য আমার আরেক বন্ধু রাহির (খাসদবির এলাকার -যদিও সে এখন লন্ডন থাকে-একটু পরিবর্তিত হয়ে গেছে ) ;পরিচিত এক দোকান থেকে ভাল মানের খাঁটি লেদারের কিছু বেল্ট কিনলাম |
এবার দেশে এসে যে জিনিসগুলো খুব চোখে পড়ার মত নোটিশ করেছি ; রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনচিন্তা ভাবনা নাই ; নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের ভিতরে থাকায় -মনে হয় তাই ?
তবে সাধারণ মানুষের ধারণা সকারকে বেকায়দায় পেলতে জামাত ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা দেশে জঙ্গি-টঙ্গী হামলা করছে |সাধারণ মানুষ গুলো খুবই ঘৃণার চোখে রাজাকারের আন্ডা_বাচ্চাদের দেখছে |
এবার আসি সিলেট প্রসঙ্গে –
এটা নির্দ্বিধায় বলা চলে -শুধু কাজীর বাজার সেতু ছাড়া -সিলেটের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো অর্থ মন্ত্রী তেমন কিছুই করতে পারেন নাই | বিশেষ করে ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে ৮ লাইনে কিংবা ৬ লাইনে করার, এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি |
নাম-মাত্ৰ সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের অবকাঠামো এখনও আশানুরূপ হয়নি | এবিষয়ে ছোট খাট একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি আছে,গ্রামীণ ফোনের কচ্ছব গতির ইন্টারনেটর কারণে ইচ্ছা থাকার পরেও পোস্ট করতে পারতেছি না, তবে সময় পেলে লন্ডন গিয়ে ভার্চুয়াল জগতে পোস্ট করব |
তবে বিদ্যুৎতের সমস্যা বর্তমান সরকার ১০০ ভাগ সফলতার সাথে করতে সক্ষম হয়েছে | লোডশেডিং এখন খুবই কম হয় |
অনেক কিছুতে স্বার্থ থাকে না | যেমন এই ব্যক্তিগত লেখাগুলি কেন লেখি ? এখানে কোন স্বার্থ নাই !! শুধু মাত্ৰ নিজের সাথে নিজের বিনোদন আর বিবেকের জিজ্ঞাসার কারণেই লেখা |
৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝলাম চলতি জীবন ঘটনাবহুল। কিন্তু সিলেট বিভাগ দেয়ার কারণটা কি, সেটা বুঝলাম না।
৪৮” সাইজের পাঞ্জাবী আপনি আড়ং-এ পাবেন। আর চামড়ার বেল্টও।
লেখার মধ্যে বানানে বেশ ভুল চোখে পড়ছে। একটু খেয়ালি দৃষ্টি রাখলেই বানানের ভুল ঠেকানো সম্ভব।
মৌনতা রিতু
নিজের সাথে নিজের যে কথোপকথন, তাতে তৃপ্তি অনেক। বাজার দর কম ! ভাবতে হবে। আসলে মানুষের গা সওয়া ভাব হয়ে গেছে আমাদের। আসলে এখন মানুষ এতোটা চিল্লাচিল্লি করে না। তাই কেউ বোঝে না। আপনার সিলেট শহরটা এ দেশের অন্য শহরগুলোর মতো নয়। নিন্ম অঞ্চল গুলোর চিত্র কিন্তু আলাদা। হ্যাঁ, অবশ্যই দেশ উন্নতি করেছে। আমরা এগোচ্ছি।
নীলা আপুর মতো বলছি, আড়ং এ যে কোনো সাইজের পান্জাবি পাবেন।
বিদেশ থেকে দেশে আসলে মা বাবার সাথে সময় কাটানোর মতো স্বর্গীয় অনুভূতি হয়ত আর অন্য কোথাও নেই।
আলমগীর হোসাইন
ঠিক বলেছেন প্রচুর বানান ভুল, মোবাইল থেকে লিখতে গেলে, অনেক
সময় ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে খুশি হব | ধন্যবাদ !
আলমগীর হোসাইন
আর আড়ং এ পাঞ্জাবি গুলো তে ডিজাইনার পাঞ্জাবি কম !! এখানে কাপড়ের মান ভাল তবে আমার পছন্দ হয়নি ; আমি গিয়েছিলাম !!আমার একটা সমস্যা পছন্দ না হলে কোন জিনিস যত ভাল হোক আমি পড়তে পারি না !! ধন্যবাদ
(y)
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ আবার আসবেন! বাংলাদেশে।
জিসান শা ইকরাম
দিনলিপি লেখাই ব্লগ, এটি আপনার ব্লগ,
দিন শেষে বা যে কোন মুহুর্তে আপনি আপনার মনের ভাব লিখে রাখতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে লিখলেও প্রতিজনের মন্তব্যের নীচেই ‘ উত্তর দিন’ লেখা আছে, তাতে ক্লিক করলে একটি আলাদা বক্স আসবে, তাতে উত্তর লিখে ‘ মন্তব্য জমা দিন ‘ এ ক্লিক করুন। এতে যার যার মন্তব্যের উত্তর তার কাছে থাকবে।
শুভ কামনা।
আলমগীর হোসাইন
ধন্যবাদ জিসান ভাই