“বালিকা তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসো তাহলে আমি আজ এই রেললাইনে আমার জীবন দিয়ে দিবো! আর আমার এই মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে তুমি! :'( ” বালকের এমন ভয়াবহ হৃদয় বিদারক কথা শুনিয়া বালিকা থোড়াও কেয়ার করিলো না! উপর্যুপরি বলিতে লাগিলো ” এসব বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন ” বালক আবার তার ঐতিহাসিক বানী ছাড়িলো ” আজ আবার ইতিহাস রচিত হবে। প্রেমের আরেক অমর ইতিহাস!! ” \|/
বলিতে বলিতে বালক গিয়া রেললাইনে শুইয়া পড়িলো। এইদিকে বালিকা ঠোঁট ৪৫ ডিগ্রি বাঁকাইয়া চলিয়া যাইতে লাগিলো!! ;?
তয় এরি মাঝে এন্ট্রি দিলো ভিলেন! ” ওরে কুদ্দুস!!! তুই জানিস না আত্মহত্যা মহাপাপ!! ” :@ ভিলেনের এমন ধার্মিক বাক্য শুনিয়া আমি কিঞ্চিৎ অবাক হইলাম!! পরক্ষনেই ভিলেন আমাকে তার চিরাচরিত বাক্য শুনাইলো! :p ” তুই শুধু শুধু মরবি কেন! আমি তোকে মাইরা অমর কইরা দি! আমার প্রতিশোধ নেয়া ও হইলো তোর মৃত্যুও হইলো!!! ” ;?
এইবার মোরে থমকাইতে হইলো!! বালক মানে আমাগো নায়ক থোড়াই ভিলেইন্যারে কেয়ার করিলো!!!! 😮
ইয়া ডিসুম!!! ডাসুম করিয়া নায়ক বাবাজি হয়রান হইয়া গেল!! এইদিকে ভিলেন চান্স পাইয়া তাহার মস্তিস্কের উপরিভাগে আঘাত করিয়া রেললাইনে বাইন্দা দিলো!! 😀 বালিকা ইহাকে নাটক বলিয়া চলিয়া যাইতে চাইলো!!! কিন্তু ভিলেন বালিকার পশ্চ্যাতদেশ প্রত্যক্ষদর্শন করিয়া তাহাকে পাকড়াও করিলো!!! :D. রেললাইনে আধমরা বালক ইয়া সহ্য করিতে পারিলো না!!! দড়ির সাথে ধস্তাধস্তি করিয়া ট্রেন চাপা দেয়ার কয়েক সেকেন্ড পূর্বে ছাড়া পাইতে সক্ষম হইলো! :c এইবার ভিলেন বাবাজি কোন রকমে প্রাণ লইয়া পলায়ন করিলো!!! :c
এইবার বালিকার মন গলিলো!!! এবং পুরুষকার হিসেবে আলাভ্যু বলিয়া কোলাকুলি :p করিয়া আমাদের একখান অমর প্রেমের ইতিহাস হইতে বঞ্চিত কর্লো!!! ;(
৮টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
বাংলা সিনেমার তৈরিতে হাত দিন। ভালোই হবে।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
:p
কি যে বলেন না ভাই!! !
আমারে দিয়া এসব হইবে না।
জিসান শা ইকরাম
যে বালকদের বাড়ির পাশে রেললাইন নাই, তাহারা কি বালিকাদের মন গলাইতে পারিবে না?
মন গলানোর জন্য প্রতি গ্রামে রেল লাইন স্থাপনের দাবী জানাইতেছি 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
;?
চিন্তার বিষয়!! 😀
তয় এই তো বাংলা ছিঃনেমার কাহিনী!!!
এতো আবেগাপ্লুত হওনের কাম নাই!
অরুনি মায়া
বাংলা সিনেমা প্রথম দুই মিনিট দেখলে শেষ চার মিনিটের কাহিনী বলে দেওয়া যায় |
নায়িকার ইজ্জতের উপর হামলা না হওয়া পর্যন্ত শেষ দৃশ্য হতেই পারেনা |আর হা পুলিশের আগমন কিন্তু বাদ পড়ে গেছে |
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
এটা ছিলো স্পেশাল মোমেন্ট বর্ণন!
সম্পূর্ণ ছিঃনেমা দেখিবার আগ্রহ আমার কোন কালেই থাকেনা!!
হাতে রিমোট পাইয়া ঘুরতেছিলাম আর একসময়ে এই ছিঃনেমার অংশে থমকাইছিলাম!
আমি বিনুদুন পাইয়া ভাবিলাম সবার মাঝে ছড়াইয়া দিতে।
আর আপনার কথা ঠিকই আছে।। তাদের কাহিনী শেষ পর্যন্ত গিয়ে এটাই হয়! আর এজন্য একসময়ে বাঙলা ছবির কাহিনী আগাম বর্ননা করিয়া জ্যোতিষী উপাধি পাইয়াছিলাম! 😀
অন্তরা মিতু
ভাই ও বইনেরা, আফনারা এই কাহিনী নিয়া যে যাই বলেন না কেন, এই লেখা পইড়া আজ আমি এক বিশাল রহস্য ও সমস্যার সমাধান কইরা ফেলসি । বুঝতে পারসি, আমি জীবনে কুনোদিন রেললাইনের পাশে দাঁড়াইনাই, তাই কাউরে, আই মিন “cow” রে না, “কাহাকেও” – হিরু হিসাবে পাই নাই ।
আমার এলাকায় কবে রেললাইন বসিবে, উহার অপেক্ষায় না থাকিয়া আমি এখনই কোনো এক অলরেডি স্থাপিত এবং নিয়মিত ট্রেন চলে- এমুন রেললাইনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করিবো। এবং ইনশাল্লাহ্ শীঘ্রই সবাইকে সুসংবাদ শুনাইতে পারিবো বলিয়া আমি দৃঢ় আশাবাদী। সবাই দোয়া রাইখেন…..
আরিফ হোসাইন ভাইজান, আপনারে কি বলিয়া ধন্যবাদ দিব বুঝতেসি না, আমি আমার ভাষা হারাইয়া ফেলিয়াছি… আই হ্যাভ লস্ট মাই হোম……
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপনার এমন রহস্য উদঘাটন দেখিয়া আমি পুলকিত!!!! 🙂
সকলেই যদি ইহা বুঝিতো তাহলে বাংলার বুকের সকল রেললাইন রমনীদের পদচারণায় মুখরিত হইয়া যাইতো!
আপনার হিরো খোঁজা সফল হউক!! 😀
আমারে ধন্যবাদ দেওন লাগিবে না!! আপনি আপনার বসতি হারাইছেন তাহা নিয়াই আমি চিন্তিত!!! ;?
আই হ্যাভ জাস্ট ওয়ান হোম!! নাহলে কিছু করন যাইতো :p
( এই অধমের লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সোনেলায় আমি নতুন! এখনো সবাইকে চিনি না। তবে শীঘ্রই চিনিয়া যাবো। দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন। 🙂 )