পুরুষ তার ইচ্ছা প্রকাশ করলো, নারী তার।
নারীর নি:স্ব ভংগিতে চলে যাওয়া দেখে পুরুষ বুঝল না, সে নিজে ও যদি না পেয়ে থাকে, নারী নি:স্ব কি কিরে হল?
পুরুষ এই পর্যন্ত নারীকে তার নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী সময় দিয়েছে… একান্ত বোবা অনুভূতির সময়ে ভাষা হয়ে নারীকে প্রগলভ হতে সাহায্য করেছে। আর যখন সে কথা বলার মত সক্ষমতায় উদ্ভাসিত হয়ে বাকচাতুর্যতায় নিজেকে মেলে ধরতে শিখল, পুরুষের আর তার দরকার পড়ল না!
তাই নিজের প্রথম কর্মদিবসের সারাটাক্ষণ কাটিয়ে এসে খুবই ভাবগম্ভীরতায় নারী বলল, ‘নতুন কাজে আছি, এখন বিরক্ত করো না। আগামি কোনো একদিনে না হয়…’
মুহুর্তে নিজেকে নিজের ভিতরে গুটিয়ে নেবার একটা দুর্বার ইচ্ছে জেগে উঠে পুরুষের ভেতর। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবে, নারী, সে একা আর এই কাজ কাজ খেলায় কতক্ষণ নিবিষ্ট থাকবে। একসময় ফিরে আসবেই… ফিরবে… অবশ্যই ফিরে আসতে বাধ্য হবে। ততক্ষণ না হয় থাকুক সে তার এলেবেলে দুর্বোধ্য জগতটাতে।
একে অপরের পরিপূরক। নারী পুরুষের অলংকার, পুরুষ নারীর অহংকার।
কি প্রয়োজন জোর করে বুঝতে যাবার?
৬টি মন্তব্য
মরুভূমির জলদস্যু
সুনীলের একটা ছোট গল্পের কথা মনে পরে গেলো। -{@ -{@
মামুন
নামটা জানালে আমিও পড়তে পারতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
স্বপ্ন নীলা
দারুন লিখেছেন— অসম্ভব ভাল লাগলো—–
একে অপরের পরিপূরক
মামুন
ভালো লাগার অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ সকাল।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অবশ্যই নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।
এই সত্যটি যেদিন স্বীকৃত সত্য হিসাবে প্রতিষ্টা পাবে সেদিনের সমাজ অনেক সুন্দর হবে।
মামুন
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
সেই সুন্দর দিনটির জন্য অপেক্ষায় রইলাম…
শুভ সকাল।