চুপচাপ ভালোবাসা

মোস্তাফিজ আর রহমান ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার, ০৬:২২:১৮অপরাহ্ন বিবিধ ২১ মন্তব্য

কারো প্রতি অদ্ভুৎ
এক টানের আবিস্কার,
নিজেকে কোন অচেনা আবেশে
উৎসর্গ করা হবে কল্পনাতেই ছিলোনা,
এদিকে সময়টা তেমন ভালো
না।

পকেটে ছিড়ে যাওয়া মানিব্যাগে টাকা
পয়সা নাই।
কয়েকটা কনটাক্ট কার্ড, দুই তিনটা স্লিপ , আর
অল্প কিছু টাকা,
এমন সময় মনের এই উদারতা, অন্য কারো
প্রতি মায়া, টান এসব খুব বেশি পজিটিভ না।

রুপক আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভাবছিলো,
তার কি প্রেমে পড়া মানাই?
কিভাবে মানাই!
মনকে দোষারোপ করেতো আর লাভ নাই,
সবার মনই কমবেশি অবাধ্য।

মেয়েটার কাজল কালো মায়াবী
চোখ দুটো তার শরীর অবস করে দেয়,
সময়ে অসময়ে চোখে ঘুম এনে দেয়।
পড়াশুনা তেমন হচ্ছেনা,
কি যে হইলো বুঝার উপায় নাই।

চা এর অভ্যাস তেমন নাই,
তবু ইদানিং বিকেল টাইমটা
একটা চায়ের দোকানে কেটে যায়।
সামনেই চারতলা বিল্ডিংটা,
রুপক অপলক তাকিয়ে থাকে।
তার ঘুমন্ত চোখগুলো কাকে যানি খোজে,,
মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে যায়,
সময়ে অসময়ে গাছে পানি দিয়ে যায়।

টাকা খুব বেশি নাই ছেলেটার
তবুও চায়ের বিলতো খুব বেশি নাহ।
মেয়েটাও ঘরোয়া টাইপের,
বড়যোর বেলকোনিটা আর খোলা আকাশের
নিচে ছাদটায় তার সীমানা।

মেয়েটা কেন যানি বার বার ছুটে আসে
বেলকোনিতে,
কখনো গাছে পানি দেয়,
কখনো শুকনো কাপড় আবারো শুকাতে দেয়।
কোন না কোন কাজ নিয়ে সে বেলকোনিতে
আসবেই,
আর রুপকও অপেক্ষায় থাকে।
দুজনের মধ্যে অদ্ভুৎ এক কেমিস্ট্রি!!
একে অন্যের প্রতি একটা তীব্র
টান, মায়া।
এটায় হয়তো ভালোবাসা নামক
অদভুৎ রসায়ন, যার সূত্রটা দুটো
বীপরিৎ লিঙ্গের মানব মানবী
ছাড়া অন্য কেউ বোঝেনা।

রুপক চায়ের কাপে চুমুক দেয়
আর মেয়েটা দাড়িয়ে দেখে।
দেখতে দেখতে কয়েকটা বছর এভাবেই কেটে
গেলো।

রুপক এখোন বাসার নিচে মাঝে মাঝে চা
খায়। আর রুপা মাঝে মাঝে গাছে পানি
দিতে বেলকোনিতে আসে।
হাসবেন্ডকে বেলকোনি থেকে দেখতে
বেশ ভালোই লাগে।
রুপকের ও মনে পড়ে যায় আগের দিনগুলো।
সেদিনের রুপা আর আজকের রুপার
মধ্যে কোন পরিবর্তন নেই।

শুধু ভালোবাসাটা আরো বেড়েছে।

৯১৩জন ৯১৩জন
0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ