কারো প্রতি অদ্ভুৎ
এক টানের আবিস্কার,
নিজেকে কোন অচেনা আবেশে
উৎসর্গ করা হবে কল্পনাতেই ছিলোনা,
এদিকে সময়টা তেমন ভালো
না।
পকেটে ছিড়ে যাওয়া মানিব্যাগে টাকা
পয়সা নাই।
কয়েকটা কনটাক্ট কার্ড, দুই তিনটা স্লিপ , আর
অল্প কিছু টাকা,
এমন সময় মনের এই উদারতা, অন্য কারো
প্রতি মায়া, টান এসব খুব বেশি পজিটিভ না।
রুপক আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভাবছিলো,
তার কি প্রেমে পড়া মানাই?
কিভাবে মানাই!
মনকে দোষারোপ করেতো আর লাভ নাই,
সবার মনই কমবেশি অবাধ্য।
মেয়েটার কাজল কালো মায়াবী
চোখ দুটো তার শরীর অবস করে দেয়,
সময়ে অসময়ে চোখে ঘুম এনে দেয়।
পড়াশুনা তেমন হচ্ছেনা,
কি যে হইলো বুঝার উপায় নাই।
চা এর অভ্যাস তেমন নাই,
তবু ইদানিং বিকেল টাইমটা
একটা চায়ের দোকানে কেটে যায়।
সামনেই চারতলা বিল্ডিংটা,
রুপক অপলক তাকিয়ে থাকে।
তার ঘুমন্ত চোখগুলো কাকে যানি খোজে,,
মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে যায়,
সময়ে অসময়ে গাছে পানি দিয়ে যায়।
টাকা খুব বেশি নাই ছেলেটার
তবুও চায়ের বিলতো খুব বেশি নাহ।
মেয়েটাও ঘরোয়া টাইপের,
বড়যোর বেলকোনিটা আর খোলা আকাশের
নিচে ছাদটায় তার সীমানা।
মেয়েটা কেন যানি বার বার ছুটে আসে
বেলকোনিতে,
কখনো গাছে পানি দেয়,
কখনো শুকনো কাপড় আবারো শুকাতে দেয়।
কোন না কোন কাজ নিয়ে সে বেলকোনিতে
আসবেই,
আর রুপকও অপেক্ষায় থাকে।
দুজনের মধ্যে অদ্ভুৎ এক কেমিস্ট্রি!!
একে অন্যের প্রতি একটা তীব্র
টান, মায়া।
এটায় হয়তো ভালোবাসা নামক
অদভুৎ রসায়ন, যার সূত্রটা দুটো
বীপরিৎ লিঙ্গের মানব মানবী
ছাড়া অন্য কেউ বোঝেনা।
রুপক চায়ের কাপে চুমুক দেয়
আর মেয়েটা দাড়িয়ে দেখে।
দেখতে দেখতে কয়েকটা বছর এভাবেই কেটে
গেলো।
রুপক এখোন বাসার নিচে মাঝে মাঝে চা
খায়। আর রুপা মাঝে মাঝে গাছে পানি
দিতে বেলকোনিতে আসে।
হাসবেন্ডকে বেলকোনি থেকে দেখতে
বেশ ভালোই লাগে।
রুপকের ও মনে পড়ে যায় আগের দিনগুলো।
সেদিনের রুপা আর আজকের রুপার
মধ্যে কোন পরিবর্তন নেই।
শুধু ভালোবাসাটা আরো বেড়েছে।
২১টি মন্তব্য
ইনজা
সুন্দর লিখণ, ভালো লাগা রইল।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
আপনাদের কাছ থেকেই অনুপ্রানিত হয়ে যতটুক লিখি আরকি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইকবাল কবীর
ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা থাকল।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ ইকবাল ভাই
মেহেরী তাজ
সুন্দর অনেক সুন্দর!
লেখা টা শুধু কবিতার আকারে হয়ে গেছে! গল্প আকারে লিখুন!
মোস্তাফিজ আর রাহমান
dhonnobad 🙂
দীপংকর চন্দ
ভালো লাগা থাকছে।
শুভকামনা অনেক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্যও শুভো কামনা রইলো।
অয়োময় অবান্তর
সাবলীলভাবে বেড়ে উঠা শব্দ গাঁথুনি। ভালই।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
🙂
মোস্তাফিজ আর রাহমান
আপনাদের কমেন্টগুলো সত্যি অনুপ্রেরনা-দায়ক।
ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
ভালোথাকুক গল্পের চরিত্ররা। এমনি থাক তাদের প্রেম। গাছে পানি দেওয়া আর চি খাওয়ার সময়কার চোখাচোখি প্রেম।
সুন্দর শুভকামনা।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ আপু। আপনিও ভালো থাকবেন।
অনিকেত নন্দিনী
শুরুটা ছিলো সমান্তরাল, শেষ হলো কিনা ত্রিভুজে! 😮
এই লেখা পড়তে গিয়ে বহুবার তব্দা খাইছি। সবগুলা কমুনা, তিনটা কইলাম। :p
১. রূপক আর রূপা নাম দেখে তব্দা খাইছি। নামের বহুত মিল।
২. টং চায়ের দোকানে বসে রূপক নামের ছেলেটা দূরের বারান্দায় কারণে অকারণে আসা রূপা নামের মেয়েটার চোখের কাজল দেখতে পায় জাইনা আরেকদফা তব্দা খাইছি।
৩. জামাইসুদ্ধ রূপাকে দেখার জন্যে রূপক টং চায়ের দোকানে গিয়ে বসে থাকে জেনে সবচেয়ে বড় তব্দা খাইছি। দুইন্ন্যায় এত্ত আবেগ ক্যারে? ;(
মোস্তাফিজ আর রাহমান
আবেগ না থাকলে কি আর কাল্পনিক চরিত্র গুলোকে নিয়ে গল্প লিখা সম্ভব?
হুম, আমি কিছু কিছু বেপার ইচ্ছাকৃত ভাবেই রেখেছি আপনার তব্দা খাওয়ার জন্য।
তব্দা না খেলে কি আর এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেতাম??
যেমন রুপক ও রুপার নামটাতে মিল রেখেছি, আমি ইচ্ছা করলে অন্য নাম ব্যাবহার করতে পারতাম।
আর টং থেকে রুপাদের বিল্ডিংটা বেশি দুরে না। চোখের কাজল বোঝা যায়।
আমি নিজেও দেখেছি :p রুপাকে না আবার, অন্য একজনকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।
🙂
অনিকেত নন্দিনী
হাঁউ মাঁউ খাঁউ রহস্যের গন্ধ পাঁউ। সোনেলায় এত্তু এত্তু বল্গার থাকতে এক নন্দিনীই তব্দা খাইবো এইডা বুঝলেন ক্যামতে? 😮
রূপার কাজল দেয়া চোখ না দেইখ্যা অন্য আরেকজনের কাজল দেয়া চোখ দেখলেনই যখন, গল্পটা তারে নিয়া না লেখায় আরেকদফা তব্দা খাইলাম। ^:^
মোস্তাফিজ আর রাহমান
একানে তো তব্দা খাওয়ার মতন কিছুই দেখলামনাহ 😮
আপনি এত্তো তব্দা খান কেন??
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্প নাকি! রূপক আর রুপা এত্তো মিল নামের 😮
কি আর বলবো পোষ্ট নিয়ে। নন্দিনীদির মতো আমিও তব্দা খেলাম। আচ্ছা তব্দা মানে কি? ;?
মোস্তাফিজ আর রাহমান
তব্দ মানে কি আমিও বুঝতে পারছিনা। তবে গল্পের চরিত্র দুটোর নাম ইচ্ছা করেই মিল রেখেছি।
জিসান শা ইকরাম
রূপক নামটা বেশ সুন্দর।
ভালোবাসার এমন সুন্দর সমাপ্তি হলে ভাল লাগে,
ভাল থাকুক রুপা আর রূপক।
” দুজনের মধ্যে অদ্ভুৎ এক কেমিস্ট্রি!!
একে অন্যের প্রতি একটা তীব্র
টান, মায়া।
এটায় হয়তো ভালোবাসা নামক
অদভুৎ রসায়ন, যার সূত্রটা দুটো
বীপরিৎ লিঙ্গের মানব মানবী
ছাড়া অন্য কেউ বোঝেনা। ” ……… এটুকু বেশি ভাল লেগেছে।
শুভ কামনা।
মোস্তাফিজ আর রাহমান
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকবেন। 🙂