সোনার কইন্যা

মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার, ১০:৪৪:২৭পূর্বাহ্ন খেলাধুলা ৮ মন্তব্য

ময়মনসিংহের একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকা,নিতাই নদীর তীরে, গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশ মেঘালয় সীমান্তবর্তী এলাকা,কিছু দিন আগেই তো ঘুরে আসলাম।তখনো জানি না এটাই যে আমাদের খাঁটি সোনার কইন্যাদের এলাকা। এখান থেকেই যে মফিজ মাষ্টারের তত্বাবধানে সমস্ত সামাজিক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আমাদের আজকের এই  জাতীয় অর্জন তথা নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।

 

এখন হয়তো ক্রেডিট নেয়ার মতো অনেকেই সামনে এসে হাজির হবেন,ইতিমধ্যেই আমাদের সালাউদ্দীন ভাই তো কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে মহা বক্তব্য দিয়েই ফেলেছেন এবং এখনো দিয়েই যাচ্ছেন । এই সব ক্রেডিট ওয়ালাদের আড়ালেই হয়তো  রয়ে যাবেন আমাদের মফিজ মাষ্টার, গোলাম রাব্বানী ছোটনদের মতো মুল কারিগররা।

 

একজন পুরুষ ফুটবলার যারা এখনো ভুটানের মতো দেশের বিরুদ্ধেও সোজা হয়ে দাড়াতে শিখেনি তারা বছরে যেখানে ৫০-৬০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন সেখানে একজন নারী ফুটবলার যারা ভারত নেপালের মতো শক্তিধর দেশকেও পরাস্ত করতে ইতিমধ্যেই সক্ষমতার প্রমান দিয়েছেন তারা পান মাত্র ৩-৪ লাখ টাকা। এই বৈষম্যের ব্যাপারে জানি না আমাদের সালাউদ্দীন ভাইয়ের কি বক্তব্য হবে। জানি না যারা মেয়েদের টিপ পড়া,হিজাব পড়ার মতো আজাইরা জিনিস নিয়ে সদাই সরব থাকেন তারাইবা কি বলবেন।

 

যাইহোক আমাদের সালাউদ্দীন ভাইকে বলবো এসব হুদা ক্রেডিট ফেডিট না নিয়ে এই বুড়ো ( শেষ) বয়সে হলেও নারীদের প্রতি একটু নজর দেন,নারীদের প্রতি একটু নজর মোহাব্বত বারান।

৫৯৩জন ৪৯৯জন
0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ