একটা কুসুমিত পথের ধারে নির্বাক কথার চিন্হ থাকে –
ব্যাক্তিগত নৈব্যর্তিক অপেক্ষার ধূলিকণা পাক খায় গল্পের মতো,
নির্জন গল্পমালা টুপটাপ টুপটাপ ঝরে পরে চুপচাপ।
একটা সুঘ্রান সকাল পাক খায় কুয়াশার মতো –
সফেদ বিছানা আর সুখী চেহারার চারিপাশের মায়া ঘিরে,
ধোঁয়া ওড়া কফির বুদবুদের সাথে ভেংগে যেতে থাকে সৌভাগ্য।
ভালোবাসার বুকের ভেতর নীল –
ভালোবাসার বুকের ভেতর রোদ –
ভালোবাসার বুকের ভেতর জল –
ভালোবাসার বুকের ভেতর মেঘ –
ভালোবাসার বুকের ভেতর ক্ষত –
ভালোবাসা নিজের সাথেই নিয়ত যুযুধান ; অবিরত।
একটা সুঘ্রান সকালের বুক চিরে বের হয় নির্জন গল্প,
একটা নির্জন গল্পের বুকের ভেতর জমতে থাকে দুঃখগন্ধা নীলজল।
জলের চারিধার জুড়ে একাকীত্ব, সুবর্ণরেখা আলো
বকুলগন্ধা ভোরে অলৌকিক দুন্দুভিনিনাদ – ভালো আছি, ভালো।
১১টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ভালবাসায় কত রঙ, আশা, আকাংখা আর স্বপ্ন…………………………।।
আগুন রঙের শিমুল
দিনশেষে ভালোবাসা একলা 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
জেতেও হয় একলা,
জিসান শা ইকরাম
অদ্ভুত সুন্দর ঘোর লাগা ভালো লাগা এই কবিতায়।
দুন্দুভিনিনাদ কি ?
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ দাদা।
পুরাকালে সব অনুষ্ঠানের মতো যুদ্ধের সময়ও বাদ্যযন্ত্র বাজানো হতো, সমর শংখ ফুৃঁকে যুদ্ধ শুরু হতো – আর সমরযাত্রায় বাজানো হতো ঢাক, ডমরু, দুন্দুভি এইসব … যাতে প্রজারা জানতে পারে প্রজাপালক যুদ্ধে যাচ্ছেন। দুন্দুভিনিনাদ নিনাদ হচ্ছে দুন্দুভির আওয়াজ 🙂
জিসান শা ইকরাম
নিনাদ তো জানতাম 🙂 দুন্দুভিনিনাদ এক শব্দ দেখে ভাবলাম এইটা আবার ইতালির কোন কিছু কিনা? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার কবিতায় ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই কথা বলে। পরিচিত শব্দ, অথচ অচেনা লাগে। আবার অপরিচিতগুলো এমন বাঁঁকা চোখে চেয়ে থেকে যেনো বলে কেন আমি ওদেরকে বোঝার চেষ্টা করছি না? ভালোবাসা কি বোঝানোর বস্তু, নাহ! অনুভবের।
আপনার কবিতা আমার কাছে এমনই।
আগুন রঙের শিমুল
অনুভবের বলেই সে একা একা জারুল গাছের নীচে বৃষ্টিতে ভেজে, আর তার জমজ ভাইয়ের নাম দুঃখ
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্য কারুকার্যময়!
মিষ্টি জিন
পড়তে বেশ ভাল লেগেছে।
ভালবাসার কত রূপ রং….
তারপর ও ভালবাসা ভালবাসাই
আগুন রঙের শিমুল
ধন্যবাদ মিষ্টি জিন 🙂