বেশ্যা রানী
——————-
বাইজীর সুর তবো,
ঝংকার তুলে প্রানে,
নরকের কালো দাগ,
নিয়ে তার কপোলে।
লেবাসের মুখোশে,
ছি ছি করে উঠে সে।
তৃষ্ণা মিটায় ঠিকই,
শুকরিয়া বলে সে।
নিশি ভোর হলে পরে,
হাজী হয়ে ঘোরে ফিরে।
নেতা হয়ে দাপটেই,
চলে এই সমাজে।
অধ্যাপক সাহেব নামেই,
ডাকে তারে সকলে।
আযান দিলেই সে,
ছুটে যায় মসজিদে,
নামাজ আদায় করে,
সামনের কাতারে।
বেহেশতের কালো দাগও
আছে তার কপোলে।।
আর আমি হই বেশ্যা নারী,
কাইন্দা বেড়াই,দিবানিশি।
সমাজে গিয়ে দেখি,
অভিনয়ে সব,
চণ্ডীদাস আর রজকিনী।
আবার লোকে বলে,
তারাই না কি স্বামী স্তিরি।
আসল খবরতো আমিই রাখি।।
রোজহাসরে স্বাক্ষী দিবো,
আমিই সেই, বেশ্যা নারী।
কিসের আবার ব্রাম্মন হাজী?
হুদাই আমি,কাইন্দা মরি।
আমি হলাম,বেশ্যা রানী।।
৮টি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
চমৎকার বাস্তবতা তুলে এনেছেন। শুভ কামনা রইলো।
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
অনুপ্রাণিত হলাম ভালো থাকবেন
ফারজানা তৈয়ূব
সমাজ যার ঠাই হয়না নামে বাইজি
রাতের ক্ষুধা মিটাই,দিনে যে হাজি।
সকলই মেকি লোক দেখানো
ছলচাতুরীতে ভরা মাকাল ফল যেনো।
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো থাকবেন
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় এক কাব্যিক
আমরাই হাজীগাজী নর নারী
রাজা ভকির রানী—————
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
সুন্দর বলেছেন ভাই। ভালো থাকবেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাহ! দারুণ তো,,
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
তাই! ধন্যবাদ ভালো থাকবেন